পরিচ্ছেদঃ
১৮৯১। যে ব্যক্তি খাটলির চার পার্শ্ব বহন করবে আল্লাহ্ তাআলা তার থেকে চল্লিশটি গুনাহ্ ক্ষমা করে দিবেন।
হাদীসটি মুনকার।
এটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (কাফ ২/২৮৭) ও ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে (১/৭৯) মুহাম্মাদ ইবনু উকবাহ সাদূসী সূত্রে ’আলী ইবনু আবূ সারাহ হতে, তিনি বুনানী হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ আনাস (রাঃ) হতে একমাত্র এ সনদেই হাদীসটিকে বর্ণনা করা হয়েছে, আলী এটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি খুবই দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেনঃ তার হাদীসের মধ্যে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। আবু দাউদ বলেনঃ তার হাদীসকে তারা (মুহাদ্দিসগণ) পরিত্যাগ করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ তার বর্ণনায় মুনকারগুলোর আধিক্যতা পেয়ে যাওয়ায় তাকে ত্যাগ করারই সে উপযুক্ত হয়ে যায়। হাফিয যাহাবী এ হাদীসটিকে তার মুনকার হাদীস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আর মুহাম্মাদ ইবনু উকবাহ সাদূসী সত্যবাদী, তবে তিনি বহু ভুলকারী।
আমি (আলবানী) বলছি তবে তার মুতাবায়াত করা হয়েছে। এটিকে আবু ইয়ালা (২/৮৮৩) ও ইবনু হিব্বান "আযযুয়াফা" গ্রন্থে (২/১০৪) দুটি সূত্রে ’আলী ইবনু সারাহ হতে বর্ণনা করেছেন। ইনিই সমস্যা। তার আরেকটি হাদীস (৫১৮৬ নম্বরে) আসবে।
হাদীসটির আরেকটি সূত্র এবং একটি শাহেদ রয়েছে। সূত্রটিতে আযদী তার সনদে ইবরাহীম ইবনু আবদুল্লাহ কূফী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু কায়েস হতে, তিনি হুমায়েদ ত্ববীল হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এটিকে ইবনুল জাওযী তার “আলমাওয়ূয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই। ইবরাহীম ও তার শাইখ তারা উভয়েই বড় মিথ্যুক।
সুয়ূতী “আললাআলী” গ্রন্থে (২/৪০৫), অতঃপর ইবনু ইরাক (২/৩৮৬) প্রথম সূত্রটির দ্বারা ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এর কোন যৌক্তিকতা নেই, সেটি খুবই দুর্বল হওয়ার কারণে।
আর শাহেদটিকে ইবনু আসাকির (৮/৫২১/১) তাম্মামের সূত্রে আবুল কাসেম ফাযল ইবনু জা’ফার তামীমী হতে, তিনি আবু কুসাই ইসমাঈল ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক উযরী হতে, তিনি তার পিতা ও তার চাচা হতে, তারা দু’জন মা’রূফ খাইয়্যাত হতে, তিনি অসেলাহ ইবনুল আসকা (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদ অন্ধকারাচ্ছন্ন। মা’রূফ খাইয়্যাত ছাড়া অসেলাহ এবং তাম্মামের মাঝের বর্ণনাকারীগণের কাউকেই আমি চিনি না। আর তিনিও দুর্বল হিসেবে পরিচিত।
আবু হাতিম বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। আর ইবনু আদী বলেনঃ তার হাদীসগুলো খুবই মুনকার। তিনি যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশেরই মুতাবায়াত করা হয়নি।
আবু কুসাই এর চাচার নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ ইবনু ইসহাক। তার জীবনীতে হাদীসটিকে ইবনু আসাকির উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই উল্লেখ করেননি।
আর ফাযল ইবনু জা’ফার তামীমী; হতে পারে তিনি আবুল হুসাইন আহমাদের ভাই আবুল কাসেম ইবনু আবুল মুনাদী। তিনিই যদি হন তাহলে খাতীব (১২/৩৭৪) তার জীবনী উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি তাকে তামীমী হিসেবে উল্লেখ করেননি, এবং তিনি তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি।
من حمل جوانب السرير الأربع، كفر الله عنه أربعين كبيرة
منكر
-
رواه ابن عدي في " الكامل " (ق 287 / 2) والطبراني في " الأوسط " (79 / 1 من ترتيبه) من طريق محمد بن عقبة السدوسي: حدثنا علي بن أبي سارة: سمعت ثابتا البناني سمعت أنس بن مالك مرفوعا. وقال: " لا يروى عن أنس إلا بهذا الإسناد تفرد به علي ". قلت: وهو ضعيف جدا. قال البخاري: " في حديثه نظر ". وقال أبو داود: " تركوا حديثه وقال ابن حبان: " غلب على روايته المناكير فاستحق الترك ". وساق الذهبي مما أنكر عليه هذا الحديث
ومحمد بن عقبة السدوسي صدوق يخطىء كثيرا. قلت: لكنه قد توبع، فأخرجه أبو يعلى (2 / 883) وابن حبان في " الضعفاء " (2 / 104) من طريقين آخرين عن علي بن أبي سارة، فهو الآفة. وسيأتي له حديث آخر برقم (5186) وللحديث طريق أخرى وشاهد، أما الطريق فرواه الأزدي بسنده عن إبراهيم بن عبد الله الكوفي عن عبد الله بن قيس عن حميد الطويل عن أنس به. ذكره ابن الجوزي في "الموضوعات "، وقال: " لا أصل له، إبراهيم وشيخه كذابان ". وتعقبه السيوطي في " اللآلىء " (2 / 405) ، ثم ابن عراق (386 / 2) بالطريق الأولى، ولا وجه له لما عرفت من شدة ضعفه. وأما الشاهد فأخرجه ابن عساكر (8 / 521 / 1) من طريق تمام: حدثني أبو القاسم الفضل بن جعفر التميمي - من حفظه -: أخبرنا أبو قصي إسماعيل بن محمد بن إسحاق العذري حدثني أبي وعمي قالا: أخبرنا معروف الخياط عن واثلة بن الأسقع مرفوعا به. قلت: وهذا سند مظلم، ما بين واثلة وتمام لم أعرف أحدا منهم، غير معروف الخياط، وهو معروف بالضعف، قال أبو حاتم: " ليس بالقوي ". وقال ابن عدي: " له أحاديث منكرة جدا وعامة ما يرويه لا يتابع عليه ". وعم أبي قصي اسمه عبد الله بن إسحاق، وفي ترجمته أورد ابن عساكر الحديث، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. والفضل بن جعفر التميمي يحتمل أنه أبو القاسم بن أبي المنادي أخوأبي الحسين أحمد، فإن يكن هو
فقد ترجمه الخطيب (12 / 374) ولكنه لم ينسبه تميميا، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وقد فات السيوطي هذا الشاهد فلم يورده في " اللآلىء "! مع أنه أورده في " الجامع الصغير " من رواية ابن عساكر، ولم يتكلم على إسناده المناوي، بل إنه أوهم أن الطبراني رواه عن واثلة، وإنما هو عنده عن أنس كما سبق. ثم إنه عزاه لـ " كبير " الطبراني، ولم أره فيه، ولا عزاه إليه الهيثمي (3 / 26)