পরিচ্ছেদঃ
১৮৬৪। যে শিংগা লাগাতে চায় সে যেন সতের, অথবা উনিশ, অথবা একুশ তারিখগুলোকে অনুসন্ধান করে। (কারণ) তাহলে রক্ত অস্থির হয়ে তা তোমাদের কাউকে হত্যার কারণ হয়ে যাবে না।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে ইবনু মাজাহ (২/৩৫১) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ হতে, তিনি উসমান ইবনু মাতার হতে, তিনি যাকারিয়া ইবনু মাইসারাহ হতে, তিনি নাহহাস ইবনু কাহম হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আনাস (রাঃ)-এর নিচের সকল বর্ণনাকারী দুর্বল। একজন অপরজন হতে বেশী দুর্বল।
১। নাহহাস ইবনু কাহম সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেনঃ তাকে ইবনু কাত্তান ত্যাগ করেছেন, আর নাসাঈ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার "আততাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল।
২। যাকারিয়া ইবনু মাইসারাহ সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মাসতুর (তার অবস্থা অস্পষ্ট)।
৩। উসমান ইবনু মাতার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি দুর্বল।
৪। সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, ফলে তাকে যেটি তার হাদিস নয় সেটিকে ধরিয়ে দিতে হতো। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, বহু তাদলীসকারী। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য, তবে তিনি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এর ফলে তার নিকট মুনকার হাদীস পাঠ করা হলেও তিনি তার অনুমোদন দিয়ে দেন।
হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি নিজে সত্যবাদী। তবে তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, ফলে তাকে যেটি তার হাদীস নয় সেটিকে ধরিয়ে দিতে হতো। তার ব্যাপারে ইবনু মা’ঈন মারাত্মক মন্তব্য করেছেন। উপরোক্ত বর্ণনা থেকে জানা যাচ্ছে যে, বুসয়রী যে “আযযাওয়াইদ” গ্রন্থে হাদীসটির সমস্যা হিসেবে শুধুমাত্র নাহহাসকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তা যথেষ্ট নয়।
আবার তিনি যে বলেছেনঃ হাদীসটিকে বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী আনাস (রাঃ) হতেও বর্ণনা করেছেন, যেমন ইবনু মাজাহ শেষাংশ ছাড়া বর্ণনা করেছেন। আর বাযযার হাদীসটিকে তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, যেমন এটিকে ইবনু মাজাহ্ বর্ণনা করেছেন। আর হাকিম "আলমুসতাদরাক" গ্রন্থে মু’য়ায সূত্রে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে কতিপয় বিষয় ধরার রয়েছেঃ
১। হাদীসটিকে ইমাম বুখারী ও মুসলিম আনাস (রাঃ) হতে আসলেই বর্ণনা করেননি।
২। আনাস (রাঃ) সূত্রে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তার কর্ম হিসেবে বর্ণিত হয়েছে যেমনটি পূর্বে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
৩। “মুসতাদরাক” গ্রন্থে শুধুমাত্র রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কর্ম হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। সেটিকে “সিলসিলাহ সহীহাহ” গ্রন্থে (৯০৮) উল্লেখ করেছি।
আমি (আলবানী) বলছি তবে অনুরূপ ভাবার্থের পূর্বের হাদীসটির কারণে এর সনদটি বেশী দুর্বল হওয়ার গণ্ডি থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু পনেরো দিনের কথাটি হাদীসের মধ্যে মুনকার এটুকু এককভাবে দুর্বল বর্ণনাকারী কর্তৃক বর্ণিত হওয়ার কারণে।
من أراد الحجامة فليتحر سبعة عشر أوتسعة عشر أوإحدى وعشرين ولا يتبيغ بأحدكم الدم فيقتله
ضعيف جدا
-
قال ابن ماجة (2 / 351) : حدثنا سويد بن سعيد حدثنا عثمان بن مطر عن زكريا بن ميسرة عن النهاس بن قهم عن أنس بن مالك أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا كل من دون أنس ضعيف، وبعضهم أشد ضعفا من بعض. الأول: النهاس بن قهم. قال الذهبي في " الضعفاء": " تركه القطان، وضعفه النسائي ". وقال الحافظ في " التقريب ": " ضعيف". الثاني: زكريا بن ميسرة، قال الحافظ: " مستور ". الثالث: عثمان بن مطر، قال الذهبي: " ضعفوه ". وقال الحافظ: " ضعيف ". الرابع: سويد بن سعيد
. قال الذهبي: " قال أحمد: متروك الحديث. وقال ابن معين: كذاب، وقال النسائي: ليس بثقة. وقال البخاري: كان قد عمي فلقن ما ليس من حديثه. وقال أبو حاتم: صدوق كثير التدليس. وقال الدارقطني: ثقة، غير أنه كبر، فربما قرىء عليه حديث فيه النكارة فيجيزه ". وقال الحافظ: " صدوق في نفسه، إلا أنه عمي فصار يتلقن ما ليس من حديثه، وأفحش فيه ابن معين القول ". ومن هذا البيان تعلم أن اقتصار البوصيري في " الزوائد " على إعلال الحديث بالنهاس فقط، قصور شديد. وقوله: " رواه الشيخان وأبو داود والترمذي من حديث أنس أيضا، كما رواه ابن ماجة خلا قوله: " يتبيغ بأحدكم " إلى آخره. ورواه البزار في " مسنده " من حديث ابن عباس، كما رواه ابن ماجة. ورواه الحاكم في " المستدرك" من طريق معاذ عن أنس، وقال: صحيح على شرط الشيخين ". فيه أمور
أولا: أنه لم يخرجه الشيخان عن أنس أصلا. ثانيا: أنه عن أنس من فعله صلى الله عليه وسلم كما سبق التنبيه عليه في الحديث الذي قبله. ثالثا: أني لم أره في " المستدرك " إلا من فعله صلى الله عليه وسلم، وهو الذي ذكرت فيما قبله أنه مخرج في " الصحيحة " (908) . والله أعلم. قلت: لكن الحديث الذي قبله بمعناه، فينجوبه من الضعف الشديد الذي دل عليه إسناده، لكن قوله: " لخمس عشرة " منكر، لتفرد الضعيف به كما تقدم، والله أعلم