১৮৬২

পরিচ্ছেদঃ

১৮৬২। যে ব্যক্তি বিদ’আতীকে সম্মান করল সে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য সহযোগিতা করল।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে ইবনু আদী (১/৯০), আবূ উসমান নুজাইরেমী "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/৩৬) ও ইবনু আসাকির (৪/৩২২/২-১৪/১২৪/১) হাসান ইবনু ইয়াহইয়া খুশানী হতে, তিনি হিশাম ইবনু উরওয়া হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর এ সূত্রেই হাদীসটিকে হারাবী (১/৯৯), ইবনু হিব্বান “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (১/২৩৫) বর্ণনা করেছেন। তিনি খুশানী সম্পর্কে বলেনঃ তিনি খুবই মুনকারুল হাদীস। তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে যার ভিত্তি নেই তা বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি বাতিল, বানোয়াট।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। এ হাসান ইবনু ইয়াহইয়া মাতরূক যেমনটি দারাকুতনী প্রমুখ বলেছেন। তিনি কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন যেগুলোর কোন কোনটি পূর্বে আলোচিত হয়েছে। দেখুন হাদীস নং (১৯৯)।

এ হাদীসটি সেই সব হাদীসগুলোর একটি যেগুলোকে খুশানীর জীবনীতে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১/৯০) উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এগুলো আমার দেখা তার হাদীসগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশী মুনকার। আর এটিকে একমাত্র তার মাধ্যমেই জানা যায়। এ হাদীসের ব্যাপারে ইবনু আদী হতে এসব সমালোচনা বর্ণিত হয়েছে। বিষয়টি এতো সহজ না হলেও ইবনুল জাওযী “আলমাওয়ূয়াত” গ্রন্থে যা বর্ণনা করেছেন তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ তিনি ইবনু আদীর সূত্রে হাদীসটি উল্লেখ করে (১/২৭১) বলেছেনঃ ইবনু আদী বলেনঃ এটি বানোয়াট। খুশানী নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে ভিত্তিহীন হাদীস বর্ণনা করেন। এরূপ কথা ইবনুল ফুযায়েলের ভাষা হতে জানা যায়।

সম্ভবত ইবনু আদী কোন এক স্থানে অথবা অন্য কিতাবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহই বেশী জানেন। সুয়ুতী কতিপয় ইমামের উদ্ধৃতিতে তাদের উক্তিগুলো উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ ব্যক্তিকে তার মন্দ হেফযের কারণে দুর্বল হওয়া থেকে বের করে না ...।

অতঃপর সুয়ূতী বলেনঃ এ হাদীসের মুতাবায়াত করা হয়েছে। সেটিকে ইবনু আসাকির তার "তারীখ" গ্রন্থে (৮/৫০০/২) আবূ বকর মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল বাকী হতে, তিনি হাসান ইবনু আলী হতে, তিনি আবু বাকর মুহাম্মাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ওবাইদুল্লাহ ইবনু শিখখির হতে, তিনি আবুল ফাযল আব্বাস ইবনু ইউসুফ শাকলী হতে, তিনি আহমাদ ইবনু সুফইয়ান হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়ের হতে, তিনি লাইস ইবনু সা’দ হতে, তিনি হিশাম ইবনু উরওয়া হতে বর্ণনা করেছেন। আর এটি শক্তিশালী মুতাবা’য়াত।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ মুতাবায়াত শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কারণ লাইস ইবনু সা’দ সম্মানিত ইমাম তার মত ব্যক্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করার কিছু নেই। কিন্তু তার নিকট পর্যন্ত পৌছা সনদটি সহীহ কি সহীহ নয় তা যাচাই করা জরুরী। আমি এর বর্ণনাকারীদের জীবনী এক এক করে অনুসন্ধান করেছি। এরপর আব্বাস ইবনু ইউসুফ ছাড়া অন্য কারো দ্বারা সনদটির সমস্যা বের করা সম্ভব হয়নি। খাতীব বাগদাদী তার “তারীখ” গ্রন্থে (১২/১৫৩-১৫৪) অতঃপর ইবনু আসাকির (৮/৫০০/২) তার জীবনী উল্লেখ করেছেন এবং তারা উভয়েই তার থেকে বহু বর্ণনাকারীকে উল্লেখ করেছেন। তারা দু’জন তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি। তবে শুধুমাত্র খাতীব বলেছেনঃ তিনি নেককার আবেদ ছিলেন।

আমি বিশ্বাস করি যে, বর্ণনার ক্ষেত্রে এ ভাষা একজনের নির্ভরযোগ্য হওয়ার প্রমাণ বহন করে না। কারণ নেককার আবেদ হওয়া, নির্ভরযোগ্য হওয়াকে অপরিহার্য করে না। কারণ কতই নেককার রয়েছেন যারা দুর্বল এবং মাতরূকদের অন্তর্ভুক্ত। এ কারণে সনদটি সহীহ হওয়ার ব্যাপারে হৃদয় পরিতৃপ্ত হচ্ছে না।

হাদীসটিকে ইবনুল জাওযী বিভিন্ন দুর্বল সনদে উল্লেখ করেছেন। যেগুলোর একটিকে আবু নুয়াইম "আলহিলইয়াহ" গ্রন্থে (৫/২১৮) আহমাদ ইবনু মুয়াবিয়্যাহ্ ইবনু বাকর হতে, তিনি ঈসা ইবনু ইউনুস হতে, তিনি সাওর ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি খালেদ ইবনু মাদান হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ খালেদের হাদীস হতে এটি গারীব। সাওর হতে ঈসা এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ আহমাদ সম্পর্কে ইবনুল জাওযী বলেনঃ তিনি বাতিল হাদীস বর্ণনা করেন। আর তিনি তা ইবনু আদী হতে গ্রহণ করেছেন। তার সম্পূর্ণ কথা হচ্ছেঃ এবং তিনি হাদীস চুরি করতেন।

অতঃপর হাদীসটিকে আবু নুয়াইম (৬/৯৭) ও ইবনু আসাকির (৯/২৪৭/১) ও ইউসুফ ইবনু আব্দুল হাদী “জামউল জুয়ুস অদদাসাকির আলা ইবনু আসাকির” গ্রন্থে (৯/১) দু’টি সূত্রে বাকিয়্যাহ ইবনুল অলীদ হতে, তিনি -আর হিলইয়্যাহ গ্রন্থে এবং ইবনু আসাকিরের নিকট এসেছে- সাওর হতে, তিনি খালেদ হতে, তিনি মুয়ায (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অনুরূপভাবে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (২০/৯৬/১৮৮) বর্ণনা করেছেন। আর আবু নুয়াইম বলেছেনঃ বাকিয়্যাহ্ এরূপই বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ মুয়ায (রাঃ) হতে। আর ঈসা ইবনু ইউনুস হাদীসটিকে সাওর হতে, তিনি খালেদ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ পূর্বের বর্ণনাটি। যেটির প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বিষয়টি জেনেছেন।

কিন্তু কোন কোন বর্ণনায় বাকিয়্যার শ্রবণকে স্পষ্ট করা হয়েছে। সাওর হতে বাকিয়্যার শ্রবণ নিরাপদ হলে সনদটি শক্তিশালী হতো, যদি খালেদ আর মুয়াযের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা থেকে নিরাপদে থাকত। (কিন্তু উভয়ের মধ্যে সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে)।

ইবনু আব্দুল হাদী যে বলেছেনঃ সনদটি ভাল, তার এ কথা ভাল নয়, যার প্রমাণ মিলে তার সূত্রে দৃষ্টি দেয়ার দ্বারা। কারণ এতে বাকিয়্যাহ কর্তৃক আন আন করে বর্ণিত হয়েছে, এছাড়া খালেদ আর মুয়াযের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি তো আছেই। অতঃপর ইবনু আব্দুল হাদী বলেনঃ মুসলিম ও ইবনু ওয়াইনাহ প্রমুখ হতে বর্ণিত হয়েছে।

আমি (আলবানী) বলছিঃ লালকাঈ "শারহু উসুলুস সুন্নাহ" গ্রন্থে (১/৩৫/১) হাদীসটিকে ইবনু মাইসারাহ হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর ইবনুল আরাবী “আলমুজাম” গ্রন্থে (২/১৯৩) হাসান হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এর সনদে দাউদ ইবনুল মুহাব্বার রয়েছেন যিনি মিথ্যুক।

من وقر صاحب بدعة فقد أعان على هدم الإسلام
ضعيف

-

رواه ابن عدي (90 / 1) وأبو عثمان النجيرمي في " الفوائد " (36/ 2) وابن عساكر (4 / 322 / 2 - 14 / 124 / 1) عن الحسن بن يحيى الخشني عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة مرفوعا. ومن هذا الوجه رواه الهروي (99 / 1) وابن حبان في " الضعفاء " (1 / 235) ، وقال في الخشني: " منكر الحديث جدا، يروي عن الثقات ما لا أصل له، والحديث باطل موضوع ". قلت: وهذا سند ضعيف جدا، الحسن بن يحيى هذا متروك كما قال الدارقطني وغيره، وقد روى أحاديث موضوعة سبق ذكر بعضها، فانظر الحديث رقم (199) . وهذا الحديث من جملة أحاديث أوردها ابن عدي في " الكامل " (90 / 1) في ترجمة الخشني، ثم قال: " وهي أنكر ما رأيت له، وهذا لا يعرف إلا به ". هذا كل ما جرح به ابن عدي هذا الحديث، وهو وإن كان ليس بالأمر الهين، فهو لا يطابق ما حكاه ابن الجوزي عنه في " الموضوعات "، فقد ساق الحديث من طريق ابن عدي، ثم قال (1 / 271) : " قال ابن عدي: موضوع، الخشني يروي عن الثقات ما لا أصل له، وإنما يعرف نحوهذا من قول الفضيل ". فلعل ابن عدي ذكر هذا في مكان أوكتاب آخر. والله أعلم

وقد تعقبه السيوطي بأقوال حكاها عن بعض الأئمة لا تخرج عن كون الرجل ضعيفا لسوء حفظه، وهذا لا ينافي الضعف الشديد الذي تبين لغيرهم ممن حكينا أقوالهم فيه وغيرهم، ولذلك فهو تعقب لا طائل تحته. ثم قال السيوطي: " وقد توبع على هذا الحديث فأخرجه ابن عساكر في " تاريخه " (8 / 500 / 2) : أنبأنا أبو بكر محمد بن عبد الباقي أنبأنا الحسن بن علي أنبأنا أبو بكر محمد بن عبيد الله بن الشخير أخبرنا أبو الفضل العباس بن يوسف الشكلي حدثنا أحمد بن سفيان حدثنا يحيى بن بكير حدثنا الليث بن سعد عن هشام بن عروة به. وهذه
متابعة قوية ". قلت: لا شك في قوة هذه المتابعة، لأن الليث بن سعد إمام جليل لا يسأل عن مثله، لكن ينبغي النظر في صحة السند إليه، ولقد بحثت عن تراجم رجاله وأحوالهم واحدا بعد واحد، فلم أجد فيهم ما يمكن إعلال السند به إلا أن يكون العباس بن يوسف هذا، وقد ترجمه الخطيب في " تاريخه " (12 / 153 - 154)، ثم ابن عساكر (8 / 500 / 2) وذكرا عنه رواة كثيرين، ولم يذكرا فيه جرحا ولا تعديلا، اللهم إلا قول الخطيب: " وكان صالحا متنسكا ". وما أعتقد أن هذه العبارة تفيد توثيق الرجل في الرواية، إذ لا تلازم بين كون الرجل صالحا متنسكا، وبين كونه ثقة ضابطا، فكم في الصالحين من ضعفاء ومتروكين، كما هو
معروف لدى من له عناية بهذا العلم الشريف، ولهذا فإن القلب لم يطمئن لصحة هذا السند، ولاسيما أن السيوطي نفسه قد نص في مقدمة كتابه " الجامع الكبير "، أن كل ما عزاه للعقيلي وابن عدي والخطيب وابن عساكر، وللحكيم الترمذي في "نوادر الأصول "، أو للحاكم في " تاريخه "، أولابن النجار في " تاريخه "، أو للديلمي في " مسند الفردوس " ; فهو ضعيف. وأما سائر رجال السند فثقات كلهم، فالذين فوق العباس هذا من رجال " التهذيب " وأما ابن الشخير فترجمه الخطيب (2/ 333) وقال: " كان صدوقا ". وأما الحسن بن علي فهو أبو محمد الجوهري ترجمه الخطيب أيضا (7 / 393) وقال: " كتبنا عنه، وكان ثقة أمينا كثير
السماع ". وأما محمد بن عبد الباقي فترجمه ابن عساكر (15 / 293 / 1 - 295 /
1) لكن ورقتان منها بياض! وله ترجمة طيبة في " اللسان " (5 / 241 - 243)
ثم رأيت الحديث في " ذم الكلام " للهروي (99 / 1) من طريق آخر عن ابن الشخير به. فالعلة شيخه العباس بن يوسف الشكلي، والله أعلم. ثم الحديث أورده ابن الجوزي من طرق أخرى واهية منها عن أبي نعيم في " الحلية " (5 / 218) عن أحمد بن معاوية بن بكر: حدثنا عيسى بن يونس عن ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن عبد الله بن بسر مرفوعا. وقال: " غريب من حديث خالد تفرد به عيسى عن ثور
قلت: لكن أحمد هذا قال ابن الجوزي: " حدث بالأباطيل ". وهو أخذه عن ابن عدي وتمام كلامه: " وكان يسرق الحديث ". ثم رواه أبو نعيم (6 / 97) وابن عساكر (9 / 247 / 1) ويوسف بن عبد الهادي في " جمع الجيوش والدساكر على ابن عساكر " (9 / 1) من طريقين عن بقية بن الوليد عن - وفي " الحلية " وابن عساكر: حدثنا - ثور عن خالد عن معاذ مرفوعا به. وكذلك رواه الطبراني في " المعجم الكبير " (20 / 96 / 188) . وقال أبو نعيم: " كذا رواه بقية، فقال: عن معاذ، ورواه عيسى بن يونس عن ثور عن خالد عن عبد الله بن بسر مثله يعني الرواية التي قبلها، وقد عرفت سقوطها، فلا تنهض لمعارضة هذه
الرواية ورجالها ثقات، لولا ما يخشى من تدليس بقية، ولكنه قد صرح بالتحديث
عند من ذكرنا، وكذلك رواه الحسن بن سفيان في " مسنده " كما في " اللآلىء " (ص 151)
وعنه رواه أبو نعيم، فإذا كان سماع بقية له من ثور محفوظا، فالسند قوي لوسلم من الانقطاع بين خالد ومعاذ، وقد غفل عنه في " المجمع " (1 /188)، فأعله بضعف بقية فقط!! وعزاه في " الجامعين " لـ (طب) عن عبد الله بن بسر، وأظنه وهما. وأما قول ابن عبد الهادي عقبه: " إسناد جيد ". فليس بجيد بالنظر لطريقه الذي عنعن فيه بقية مع الانقطاع المشار إليه. ثم قال ابن عبد الهادي: " وروي من طرق عديدة مرسلا عن إبراهيم بن ميسرة ومحمد بن مسلم وابن عيينة وغيرهم ". قلت: وقد رواه اللالكائي في " شرح أصول السنة " (1 /35 / 1) عن ابن ميسرة موقوفا عليه. ورواه ابن الأعرابي في " المعجم " (193 / 2) عن الحسن موقوفا. لكن فيه داود بن المحبر وهو كذاب

من وقر صاحب بدعة فقد اعان على هدم الاسلام ضعيف - رواه ابن عدي (90 / 1) وابو عثمان النجيرمي في " الفواىد " (36/ 2) وابن عساكر (4 / 322 / 2 - 14 / 124 / 1) عن الحسن بن يحيى الخشني عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة مرفوعا. ومن هذا الوجه رواه الهروي (99 / 1) وابن حبان في " الضعفاء " (1 / 235) ، وقال في الخشني: " منكر الحديث جدا، يروي عن الثقات ما لا اصل له، والحديث باطل موضوع ". قلت: وهذا سند ضعيف جدا، الحسن بن يحيى هذا متروك كما قال الدارقطني وغيره، وقد روى احاديث موضوعة سبق ذكر بعضها، فانظر الحديث رقم (199) . وهذا الحديث من جملة احاديث اوردها ابن عدي في " الكامل " (90 / 1) في ترجمة الخشني، ثم قال: " وهي انكر ما رايت له، وهذا لا يعرف الا به ". هذا كل ما جرح به ابن عدي هذا الحديث، وهو وان كان ليس بالامر الهين، فهو لا يطابق ما حكاه ابن الجوزي عنه في " الموضوعات "، فقد ساق الحديث من طريق ابن عدي، ثم قال (1 / 271) : " قال ابن عدي: موضوع، الخشني يروي عن الثقات ما لا اصل له، وانما يعرف نحوهذا من قول الفضيل ". فلعل ابن عدي ذكر هذا في مكان اوكتاب اخر. والله اعلم وقد تعقبه السيوطي باقوال حكاها عن بعض الاىمة لا تخرج عن كون الرجل ضعيفا لسوء حفظه، وهذا لا ينافي الضعف الشديد الذي تبين لغيرهم ممن حكينا اقوالهم فيه وغيرهم، ولذلك فهو تعقب لا طاىل تحته. ثم قال السيوطي: " وقد توبع على هذا الحديث فاخرجه ابن عساكر في " تاريخه " (8 / 500 / 2) : انبانا ابو بكر محمد بن عبد الباقي انبانا الحسن بن علي انبانا ابو بكر محمد بن عبيد الله بن الشخير اخبرنا ابو الفضل العباس بن يوسف الشكلي حدثنا احمد بن سفيان حدثنا يحيى بن بكير حدثنا الليث بن سعد عن هشام بن عروة به. وهذه متابعة قوية ". قلت: لا شك في قوة هذه المتابعة، لان الليث بن سعد امام جليل لا يسال عن مثله، لكن ينبغي النظر في صحة السند اليه، ولقد بحثت عن تراجم رجاله واحوالهم واحدا بعد واحد، فلم اجد فيهم ما يمكن اعلال السند به الا ان يكون العباس بن يوسف هذا، وقد ترجمه الخطيب في " تاريخه " (12 / 153 - 154)، ثم ابن عساكر (8 / 500 / 2) وذكرا عنه رواة كثيرين، ولم يذكرا فيه جرحا ولا تعديلا، اللهم الا قول الخطيب: " وكان صالحا متنسكا ". وما اعتقد ان هذه العبارة تفيد توثيق الرجل في الرواية، اذ لا تلازم بين كون الرجل صالحا متنسكا، وبين كونه ثقة ضابطا، فكم في الصالحين من ضعفاء ومتروكين، كما هو معروف لدى من له عناية بهذا العلم الشريف، ولهذا فان القلب لم يطمىن لصحة هذا السند، ولاسيما ان السيوطي نفسه قد نص في مقدمة كتابه " الجامع الكبير "، ان كل ما عزاه للعقيلي وابن عدي والخطيب وابن عساكر، وللحكيم الترمذي في "نوادر الاصول "، او للحاكم في " تاريخه "، اولابن النجار في " تاريخه "، او للديلمي في " مسند الفردوس " ; فهو ضعيف. واما ساىر رجال السند فثقات كلهم، فالذين فوق العباس هذا من رجال " التهذيب " واما ابن الشخير فترجمه الخطيب (2/ 333) وقال: " كان صدوقا ". واما الحسن بن علي فهو ابو محمد الجوهري ترجمه الخطيب ايضا (7 / 393) وقال: " كتبنا عنه، وكان ثقة امينا كثير السماع ". واما محمد بن عبد الباقي فترجمه ابن عساكر (15 / 293 / 1 - 295 / 1) لكن ورقتان منها بياض! وله ترجمة طيبة في " اللسان " (5 / 241 - 243) ثم رايت الحديث في " ذم الكلام " للهروي (99 / 1) من طريق اخر عن ابن الشخير به. فالعلة شيخه العباس بن يوسف الشكلي، والله اعلم. ثم الحديث اورده ابن الجوزي من طرق اخرى واهية منها عن ابي نعيم في " الحلية " (5 / 218) عن احمد بن معاوية بن بكر: حدثنا عيسى بن يونس عن ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن عبد الله بن بسر مرفوعا. وقال: " غريب من حديث خالد تفرد به عيسى عن ثور قلت: لكن احمد هذا قال ابن الجوزي: " حدث بالاباطيل ". وهو اخذه عن ابن عدي وتمام كلامه: " وكان يسرق الحديث ". ثم رواه ابو نعيم (6 / 97) وابن عساكر (9 / 247 / 1) ويوسف بن عبد الهادي في " جمع الجيوش والدساكر على ابن عساكر " (9 / 1) من طريقين عن بقية بن الوليد عن - وفي " الحلية " وابن عساكر: حدثنا - ثور عن خالد عن معاذ مرفوعا به. وكذلك رواه الطبراني في " المعجم الكبير " (20 / 96 / 188) . وقال ابو نعيم: " كذا رواه بقية، فقال: عن معاذ، ورواه عيسى بن يونس عن ثور عن خالد عن عبد الله بن بسر مثله يعني الرواية التي قبلها، وقد عرفت سقوطها، فلا تنهض لمعارضة هذه الرواية ورجالها ثقات، لولا ما يخشى من تدليس بقية، ولكنه قد صرح بالتحديث عند من ذكرنا، وكذلك رواه الحسن بن سفيان في " مسنده " كما في " اللالىء " (ص 151) وعنه رواه ابو نعيم، فاذا كان سماع بقية له من ثور محفوظا، فالسند قوي لوسلم من الانقطاع بين خالد ومعاذ، وقد غفل عنه في " المجمع " (1 /188)، فاعله بضعف بقية فقط!! وعزاه في " الجامعين " لـ (طب) عن عبد الله بن بسر، واظنه وهما. واما قول ابن عبد الهادي عقبه: " اسناد جيد ". فليس بجيد بالنظر لطريقه الذي عنعن فيه بقية مع الانقطاع المشار اليه. ثم قال ابن عبد الهادي: " وروي من طرق عديدة مرسلا عن ابراهيم بن ميسرة ومحمد بن مسلم وابن عيينة وغيرهم ". قلت: وقد رواه اللالكاىي في " شرح اصول السنة " (1 /35 / 1) عن ابن ميسرة موقوفا عليه. ورواه ابن الاعرابي في " المعجم " (193 / 2) عن الحسن موقوفا. لكن فيه داود بن المحبر وهو كذاب
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ