পরিচ্ছেদঃ
১৮৫১। আল্লাহ্ তা’আলা যখন যমীনবাসীর উপর আসমানী বিপদ নাযিল করেন, তখন মসজিদগুলো আবাদকারীদের থেকে তা সরিয়ে রাখা হয়।
হাদীসটি দুর্বল।
এটিকে ইবনু আদী (২/১৫১) ও ইবনু আসাকির (৫/৩৩৩/২) যাফের ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আবূ সালেহ হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ যাফের ইবনু সুলাইমান যা কিছু বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশের মুতাবায়াত করা হয়নি আর তিনি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও তার হাদীস লিখা যাবে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনু আবু সালেহ হচ্ছেন মাদানী। তিনিও দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। এ ছাড়াও এটি মুনকাতি। কারণ আব্দুল্লাহ্ তার পিতা এবং সাঈদ ইবনু জুবায়ের হতে বর্ণনা করেছেন। অতএব তার এবং আনাস (রাঃ)-এর মাঝে সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।
এছাড়াও হাদীসটি সহীহ হাদীস বিরোধী। কারণ সহীহ হাদীসের মধ্যে এসেছেঃ
ذا أنزل الله بقوم عذابا أصاب العذاب من كان فيهم، ثم بعثوا على أعمالهم
আল্লাহ তা’আলা যখন কোন সম্প্রদায়ের উপর আযাব নাযিল করেন তখন আযাব তাদের মাঝের সকলকেই গ্রাস করে। অতঃপর তাদের আমলের উপর ভিত্তি করেই (কিয়ামত দিবসে) তাদেরকে উঠানো হবে।
এটিকে ইমাম বুখারী (৯/৪৭), মুসলিম (৮/১৬৫), আহমাদ (২/৪০) আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীস হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ ব্যাপক ভিত্তিক হাদীস মাসজিদগুলোকে আবাদকারী এবং অন্যদেরকেও সম্পৃক্ত করে।
إن الله إذا أنزل عاهة من السماء على أهل الأرض، صرفت عن عمار المساجد
ضعيف
-
رواه ابن عدي (151 / 2) وابن عساكر (5 / 333 / 2) عن زافر بن
سليمان عن عبد الله ابن أبي صالح عن أنس بن مالك مرفوعا. وقال: " وزافر
بن سليمان عامة ما يرويه لا يتابع عليه، ويكتب حديثه مع ضعفه ". قلت
وشيخه عبد الله بن أبي صالح، وهو المدني، ضعيف أيضا، قال في " التقريب
لين الحديث ". ثم إنه منقطع، فإن عبد الله هذا روى عن أبيه وسعيد بن جبير
، وعليه فهو منقطع بينه وبين أنس. ثم إن الحديث بظاهره مخالف للحديث الصحيح
إذا أنزل الله بقوم عذابا أصاب العذاب من كان فيهم، ثم بعثوا على أعمالهم
أخرجه البخاري (9 / 47 - نهضة) ومسلم (8 / 165) وأحمد (2 / 40) من حديث ابن عمر رضي الله عنهما مرفوعا. فهذا بعمومه يشمل عمار المساجد وغيرهم. فتأمل