পরিচ্ছেদঃ
১৬৭৩। ক্ষুধার (দুর্ভিক্ষের) সময়ে চোরের হাত কাটার বিধান নেই।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে আবূ নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (১/৩১৯) আমের ইবনু ইবরাহীম ইবনু আমের ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি তার পিতা ও চাচা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি যিয়াদ ইবনু ত্বলহা হতে, তিনি মাকহুল হতে, তিনি আবু উমামাহ (রাঃ) হতে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি এটিকে যিয়াদের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে, তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই উল্লেখ করেননি। অনুরূপভাবে আবুশ শাইখ “ত্ববাকাতুল আসবাহানীয়িন” গ্রন্থে (১১৯/৯৫) সাদা স্থান ছেড়ে রেখে দিয়েছেন (অর্থাৎ ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি)।
আর আমের ইবনু ইবরাহীম ইবনু আমের এর জীবনীতে (২/৩৮) তিনি বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য, তিনি (৩০৬) হিজরীতে মারা যান। আর তার দাদা আমের ইবনু ইবরাহীমের জীবনীতে (২/৩৬) তিনি তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি।
সর্বাবস্থায় বর্ণনাকারী এ যিয়াদ মাজহুল (অপরিচিত)। আবু নুয়াইম ছাড়া অন্য কারো নিকট তাকে দেখছি না। তিনিই হাদীসটির সমস্যা। আব্দুল কুদ্দুস যে মাকহুল হতে বর্ণনা করে তার মুতাবা’য়াত করেছেন এটা কোন উপকার করবে না।
এটিকে খাতীব বাগদাদী (৬/২৬১) যায়েদ ইবনু ইসমাঈল সায়েগ সূত্রে তার পিতা হতে, তিনি আব্দুল কুদ্দুস হতে, তিনি মাকহুল হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটা উপকারে আসবে না, কারণ এ সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। তিনি এটিকে যায়েদের পিতার জীবনীর মধ্যে উল্লেখ করেছেন আর তিনি হচ্ছেন ইসমাইল ইবনু সাইয়্যার ইবনু মাহদী। তিনি তার জীবনীতে তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই উল্লেখ করেননি। আর তিনি এ হাদীসটি ছাড়া আর কোন কিছুই উল্লেখ করেননি। যা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি মাজহুল।
তার ছেলে যায়েদও তার ন্যায়। কারণ তার জীবনী পাচ্ছি না।
আর আব্দুল কুদ্দুস হচ্ছেন ইবনু হাবীব শামী। তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী।
لا قطع في زمن مجاعة
ضعيف
-
رواه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 319) عن عامر بن إبراهيم بن عامر بن إبراهيم: حدثنا أبي وعمي عن جدي حدثنا زياد بن طلحة عن مكحول عن أبي أمامة مرفوعا. أورده في ترجمة زياد هذا ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وكذلك بيض له أبو الشيخ ابن حيان في " طبقات الأصبهانيين " (119 / 95) . وأما عامر بن إبراهيم بن عامر فقال في ترجمته (2 / 38) : إنه ثقة توفي سنة (306) . وجده عامر بن إبراهيم ترجمه (2 / 36) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وعلى كل حال فزياد هذا مجهول، لم أره عند غير أبي نعيم، فهو علة الحديث، ولا يفيده أنه تابعه عبد القدوس عن مكحول به. أخرجه الخطيب (6 / 261) من طريق زيد بن إسماعيل الصائغ: حدثنا أبي حدثنا عبد القدوس عن مكحول به
أقول: لا يفيده هذا لأنه إسناد مظلم، أورده في ترجمة والد زيد هذا وهو إسماعيل بن سيار بن مهدي، ولم يذكر في ترجمته جرحا ولا تعديلا، ولا أي شيء سوى هذا الحديث، مما يشعر بأنه مجهول. ومثله ابنه زيد، فإني لم أجد له ترجمة. وأما عبد القدوس وهو ابن حبيب الشامي، فهو متهم بالكذب