পরিচ্ছেদঃ
১৫৯৩। পাগড়ী হচ্ছে আরবদের রাজমুকুট। দু’পা, পেট ও পিঠ সমেত একটি কাপড় জড়িয়ে পরা হচ্ছে আরবদের দেয়াল আর মু’মিন ব্যক্তির মসজিদে বসা হচ্ছে, অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষার মধ্যে নিজেকে আল্লাহর পথে নিয়োজিত রাখা।
হাদীসটি মুনকার।
হাদীসটিকে কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (১/৮) মূসা ইবনু ইবরাহীম মারওয়াযী হতে, তিনি মূসা ইবনু জা’ফার হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ কোন এক মুহাদ্দিস হাদীসটির টীকায় লিখেছেন (আমার ধারণা তিনি হচ্ছেন ইবনুল মুহিব্ব): হাদীসটি সাকেত।
আমি (আলবানী) বলছি মূসা মারওয়াযীকে ইয়াহইয়া মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর দারাকুতনী প্রমুখ বলেনঃ তিনি মাতরূক। হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে কাযাঈ ও দায়লামীর “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে আলী হতে উল্লেখ করেছেন।
অতঃপর মানবী বলেছেনঃ আমেরী বলেনঃ এটি গারীব। সাখাবী বলেনঃ এর সনদ দুর্বল। কারণ, এর সনদে হানযালাহ সাদূসী রয়েছেন। হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে কাত্তান ত্যাগ করেছেন আর নাসাঈ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। হাদীসটিকে আবু নুয়াইমও বর্ণনা করেছেন আর তার থেকে পেয়েছেন দায়লামী। লেখক যদি মূল গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করতেন তাহলে তাই ভালো ছিলো।
আমি (আলবানী) বলছিঃ কাযাঈর সনদে বর্ণনাকারী হানযালাহ নেই যেমনটি আপনারা দেখছেন। বাহ্যিক অবস্থা থেকে বুঝা যায় যে, তিনি তার কথার দ্বারা আবু নুয়াইমের সনদকে উদ্দেশ্য করেছেন। আর তিনি হাদীসটিকে তার "আলহিলইয়্যাহ" গ্রন্থে বর্ণনা করেননি। তিনি তার অন্য কিতাবে এটিকে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহই বেশী জানেন।
এ অধ্যায়ে আরো হাদীস রয়েছে। সেগুলোর একটি হচ্ছে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে নিম্নের বাক্যে বর্ণিত হাদীসঃ
“পাগড়ীগুলো হচ্ছে আরবদের রাজমুকুট। তারা যখন পাগড়ীগুলোকে রেখে দেয় তখন তারা তাদের মযাদা (ইযযাতকে) রেখে দেয়।”
এটিকে দায়লামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তার নিকট অন্য ভাষাতেও বর্ণিত হয়েছেঃ
"পাগড়ীগুলো হচ্ছে মুমিনের প্রশান্তি আর আরবদের সম্মান। আরবরা যখন তাদের পাগড়ী রেখে দেয় তখন তারা তাদের ইযযাতকে খুলে ফেলে।"
হাফিয সাখাবী “আলমাকাসিদ” গ্রন্থে (২৯১/৭১৭) বলেনঃ সবগুলোই দুর্বল। কোনটি অন্যটির চেয়ে বেশী দুর্বল।
অতঃপর আমি (আলবানী) দায়লামীর ফটাে করা কপিতে হাদীসটির সনদ সম্পর্কে অবগত হই। যা থেকে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মানবীর পূর্বোক্ত কথার মধ্যে সন্দেহ সংযুক্ত হয়েছে। এ কারণে এ ব্যাপারে সাবধান করে দেয়াই ভালো। কারণ দায়লামী হাদীসটিকে (২/৩১৫) আবূ নু’য়াইমের সূত্রে আব্দুল মালেক ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আহমাদ ইবনু সা’ঈদ ইবনু খুশাইম হতে, তিনি হানযালাহ সাদূসী হতে, তিনি তাউস হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এখানে ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন মনে করছিঃ
১। তিনি শুধুমাত্র হানযালাহ সাদূসীকেই হাদীসটির সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ থেকে মনে হতে পারে যে, হাদীসটি তার নিচের বর্ণনাকারীদের থেকে নিরাপদ, কিন্তু আসলে তা নয়। কারণ বর্ণনাকারী আহমাদ ইবনু সাঈদ ও তার দাদার জীবনী আমার নিকট যেসব গ্রন্থ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে পাচ্ছি না। এ কারণে হতে পারে সমস্যা তাদের দু’জনের একজন থেকে।
২। তার নিকট আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস থেকে বর্ণিত হয়েছে। ’আলী (রাঃ)-এর হাদীস হতে বর্ণিত হয়নি।
৩। মানবী হাদিসটিকে আবু নু’য়ায়মের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। আর যখন কোন গ্রন্থের নাম উল্লেখ না করে শুধুমাত্র এভাবে বলা হয় তখন এর দ্বারা তার “আলহিলইয়্যাহ” গ্রন্থকে বুঝানো হয়ে থাকে। এ কারণেই আমি কিছু পূর্বে বলেছিঃ তিনি "আলহিলইয়াহ" গ্রন্থে উল্লেখ করেননি। আর আবু নুয়াইমের নাম হচ্ছে আহমাদ ইবনু আব্দুল্লাহ আসবাহানী, যিনি ৪৩০ হিজরীতে মারা যান। আর যে আবু নুয়াইমের সাথে দায়লামীর সাক্ষাৎ হয়েছে তিনি হচ্ছেন আব্দুল মালেক ইবনু মুহাম্মাদ, তিনি হচ্ছেন জুরযানী হাফিয। তিনি মারা যান ৩২৩ হিজরীতে। উভয়ের জীবনী “তাযকিরাতুল হুফফায” প্রমুখ গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে।
العمائم تيجان العرب والاحتباء حيطانها وجلوس المؤمن في المسجد رباطه
منكر
-
رواه القضاعي في " مسند الشهاب " (8 / 1) عن موسى بن إبراهيم المروزي قال: أخبرنا موسى بن جعفر عن أبيه عن جده عن أبيه عن علي مرفوعا
قلت: وكتب أحد المحدثين على هامش الحديث - وأظنه ابن المحب -: " ساقط
قلت: وذلك لأن المروزي هذا كذبه يحيى، وقال الدارقطني وغيره: " متروك
والحديث عزاه السيوطي في " الجامع الصغير " للقضاعي والديلمي في " مسند الفردوس " عن علي. فقال المناوي: قال العامري: غريب. وقال السخاوي: سنده ضعيف. أي وذلك لأن فيه حنظلة السدوسي، قال الذهبي: تركه القطان وضعفه النسائي. ورواه أيضا أبو نعيم، وعنه تلقاه الديلمي، فلو عزاه المصنف للأصل كان أولى ". قلت: ليس في إسناد القضاعي حنظلة هذا كما ترى، فالظاهر أنه يعني أنه في إسناد أبي نعيم، ولم يخرجه في كتابه " الحلية "، فالظاهر أنه في كتاب آخر له. والله أعلم. وفي الباب أحاديث أخرى، منها عن ابن عباس مرفوعا بلفظ: " العمائم تيجان العرب، فإذا وضعوا العمائم وضعوا عزهم
أخرجه الديلمي في " مسند الفردوس ". وفي لفظ عنده: " العمائم وقار المؤمن وعز العرب، فإذا وضعت العرب عمائمها، فقد خلعت عزها " قال السخاوي في " المقاصد " (291 / 717) : " وكله ضعيف، وبعضه أوهى من بعض ". ثم وقفت على إسناد الديلمي في نسخة مصورة، فتبين لي أن في كلام المناوي المتقدم أوهاما يحسن التنبيه عليها، فإن الديلمي أخرجه (2 / 315) من طريق أبي نعيم عبد الملك بن محمد: حدثنا أحمد بن سعيد بن خثيم حدثني حنظلة السدوسي عن طاووس عن عبد الله بن عباس مرفوعا به. وبيانا لما أشرت إليه أقول: أولا: إعلاله للحديث بحنظلة السدوسي فقط يشعر بأنه سالم ممن دونه وليس كذلك، فإن أحمد بن سعيد هذا وجده لم أجد لهما ترجمة فيما لدي من المصادر، فمن الممكن أن تكون الآفة من أحدهما. ثانيا: أنه عنده من حديث العباس، وليس من حديث علي، رضي الله عنهما. ثالثا: أن المناوي عزاه لأبي نعيم، والمراد به عند الإطلاق في فن التخريج مؤلف " الحلية "، ولذلك قلت آنفا: " لم يخرجه في (الحلية) "، واسم أبي نعيم هذا أحمد بن عبد الله الأصبهاني، توفي سنة (430) ، وأما أبو نعيم الذي تلقاه عنه الديلمي فاسمه - كما ترى - عبد الملك بن محمد، وهو الجرجاني الحافظ، مات سنة (323) ، وهما مترجمان في " تذكرة الحفاظ " وغيره
(تنبيه) : هذا الحديث من الأحاديث الكثيرة التي خلا منها " الجامع الكبير " للسيوطي، و" الجامع الأزهر " للمناوي