পরিচ্ছেদঃ
১৩৭৪। কিয়ামত দিবসে মুসলিমগণের (মৃত) শিশু সন্তানরা যাদের বয়স বারো বছর পূর্ণ হয়নি আরশের নিচে সুপারিশকারী হবে এবং তাদের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে। আর তাদের মধ্য থেকে যার বয়স তেরো বছরে পৌঁছে গেছে, তার পাপের জন্য তার গুনাহ্ হবে আর তার সৎকর্মের জন্য সে তার সাওয়াব পাবে।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি আবু বাকর শাফেঈ "আলফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/৯০) মুহাম্মাদ ইবনু গালেব হতে, তিনি আব্দুস সামাদ হতে, তিনি রুকন আবু আবদিল্লাহ হতে, তিনি মাকহুল হতে, তিনি আবু উমামাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আবু বাকরের সূত্রে ইবনু আসাকির বর্ণনাকারী রুকনের জীবনীর মধ্যে (৬/১৩৯/১) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু আহমাদ হাকিম হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ তার হাদীস প্রতিষ্ঠিত নয়।
ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। হাকিম বলেনঃ তিনি মাকহুল হতে বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী।
হাদীসটি আবু নুয়াইম "আখবারু আসবাহান" গ্রন্থে (২/১৫), তার থেকে দায়লামী তার "মুসনাদ" গ্রন্থে (১৫৬) অন্য সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু গালেব হতে বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি বলেছেনঃ বারো বছর। আবু বাকর আশশাফেঈ এবং ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় অনুরূপভাবে “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থেও এসেছে।
ইমাম সুয়ুতী "আস জামেউস সাগীর" গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করে গ্রন্থটিকে কালিমালিপ্ত করেছেন। তিনি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এর সনদে রুকন ইবনু আবদিল্লাহ্ রয়েছে তিনি মাতরুক। তা সত্ত্বেও জামেউস সাগীর গ্রন্থের ছাপার দায়িত্বে নিয়োজিত স্থায়ী কমিটি হাদীসটিকে হাসান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
যারা গ্রন্থটি তাহকীক করার দায়িত্বে ছিলেন তারা কি জানেন না যে ইমাম সুয়ুতী বলেছেনঃ তিনি (বর্ণনাকারী রুকন) মাতরূক, আর এ কথার অর্থ হচ্ছে তিনি খুবই দুর্বল? যা হাদীসটি হাসান হওয়ার বিপরীত ভাবাৰ্থ বহন করে। তারা এ অবস্থায় কেন বিদ্বান এবং ইমামগণের উদ্ধৃতিতে মানবী যা কিছু উল্লেখ করেছেন সেদিকে ফিরে দেখেননি। কারণ তিনি বলেছেনঃ এ রুকন সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ তাকে ইবনুল মুবারাক খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। নাসাঈ এবং দারাকুতনী বলেছেনঃ তিনি মাতরূক। অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার "আল-লিসান" গ্রন্থে হাকিমের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেনঃ তিনি বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেন।
এ কারণে মানবী “আততায়সীর” গ্রন্থে বলেনঃ তার সনদ খুবই দুর্বল।
সতর্কবাণীঃ এ সনদে উল্লেখ করা হয়েছে রুকন আবু আবদিল্লাহ আর অন্য সনদে ইবনু আদীর নিকট (৩/১০২০) রুকন ইবনু আদিল্লাহ যেমনটি “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে এসেছে। বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। কারণ রুকন ইবনু আবদিল্লাহই হচ্ছেন আবু আবদিল্লাহ।
ذراري المسلمين يوم القيامة تحت العرش شافع ومشفع، من لم يبلغ اثني عشر سنة، ومن بلغ ثلاث عشرة سنة فعليه وله
موضوع
-
رواه أبو بكر الشافعي في " الفوائد " (90/2) : نا محمد بن غالب: حدثني عبد الصمد: نا ركن أبو عبد الله عن مكحول عن أبي أمامة رفعه. ومن طريق أبي بكر رواه ابن عساكر (6/139/1) في ترجمة ركن هذا، وروى عن أبي أحمد الحاكم أنه قال: " حديثه ليس بالقائم ". وعن ابن معين: " ليس بثقة ". وعن النسائي: " متروك الحديث وقال الحاكم: " يروي عن مكحول أحاديث موضوعة
وأخرجه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2/15) وعنه الديلمي في " مسنده " (156) من طريق أخرى عن محمد بن غالب به إلا أنه قال: " اثنتي عشرة سنة ". وكذا هو في " الجامع الصغير " من رواية أبي بكر الشافعي وابن عساكر، وهو في " التاريخ " كما في " الفوائد ". والله أعلم
والحديث مما سود به السيوطي " الجامع الصغير " وقد بين في " الجامع الكبير " (14132) أن فيه ركن بن عبد الله؛ ربيب مكحول متروك. ومع ذلك تظل اللجنة القائمة على نشر "الجامع " والتعليق عليه تتعلق برموز " الجامع الصغير
فتقول نقلا عنه: " ورمز له بالحسن
فما فائدة الركون إلى الرمز - لوصح أنه من السيوطي - وهو يصرح بنقيضه، وهو بين أيديهم وتحت أبصارهم، وفي الكتاب الذي كلفوا بالقيام بتحقيقه، أم هم لا يعلمون أن معنى قول السيوطي في الراوي: " متروك " يعني أنه شديد الضعف وأن ذلك ينافي الحسن؟ ! فإذا كان كذلك فهلا رجعوا إلى المناوي ليروا ما نقله عن أهل العلم وأئمة الجرح والتعديل؟ فقال في ركن هذا: " قال في " الميزان ": وهاه ابن المبارك، وقال النسائي والدارقطني: متروك. ثم ساق له هذا الخبر. وفي " اللسان " عن الحاكم: أنه يروي أحاديث موضوعة ". ولهذا قال في " التيسير ": " إسناده واه
تنبيه : وقع في إسناد الحديث: " ركن أبو عبد الله "، وفي إسناد حديث آخر عند ابن عدي (3/1020) " ركن بن عبد الله " كما تقدم عن " الجامع الكبير "، وهكذا ترجمه ابن عدي، ولا منافاة بينهما كما قد يظن، فهو ركن بن عبد الله أبو عبد الله. والله أعلم