পরিচ্ছেদঃ
১৩৪৪। তোমরা কুরআনকে সুস্পষ্ট করে বিশুদ্ধভাবে পাঠ কর।
হাদীসটি দুর্বল।
আবু আলী আসসাওয়াফ “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (৩/১৬১/২) ও আবু আলী হারাবী "আল-আওয়ালু মিনাস সানী মিনাল ফাওয়াইদ" গ্রন্থে (২/১৮) লাইস হতে, তিনি ত্বলহা ইবনু মুসাররিফ হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি আলকামাহ হতে, তিনি আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। লাইস হচ্ছেন ইবনু আবী সুলাইম, তিনি দুর্বল।
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত এ হাদীসের একটি শাহেদ এসেছে কিন্তু এ শাহেদটি খুবই দুর্বল।
আবু বাকর শায়রাযী "সাবআতু মাজালিস মিনাল আমলী" গ্রন্থে (৮/১) হাফস ইবনু সুলায়মান হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মারযুবান হতে, তিনি যুহহাক ইবনু মুযাহিম হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ আবু সা’দ আল-বাক্কালের হাদীস হতে একমাত্র এ সনদেই আমরা হাদীসটি লিখেছি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল নিম্নোক্ত কারণেঃ
১। যহহাক ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে শুনেননি।
২। সাঈদ ইবনুল মারযুবান হচ্ছেন আবু সা’দ আল-বাক্কাল, তিনি দুর্বল ও মুদাল্লিস। তিনি আন্ আন্ করে বর্ণনা করেছেন।
৩। হাফস ইবনু সুলায়মান হচ্ছেন আসাদী আল-গাযেরী। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি কিরাআতের ইমাম হওয়া সত্ত্বেও মাতরূকুল হাদীস।
অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে “মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে লাইস সূত্রে মওকুফ এবং মারফু হিসেবে (৮৬৮৪, ৮৬৮৫) বর্ণিত হাদীসে দেখেছি যে, মারফুর মধ্যে বৃদ্ধি করে বলা হয়েছেঃ “কারণ তা (কুরআন) হচ্ছে আরবী।”
অন্য সূত্রে এ বৃদ্ধি করনের পর আরো বৃদ্ধি করে বলা হয়েছেঃ কারণ অচিরেই এক জাতির আগমন ঘটবে যারা তা (কুরআনকে) শিখে বুদ্ধিমান হবে অথচ তারা তোমাদের চেয়ে উত্তম নয়।
এ সনদটি এরূপঃ তিনি (ত্ববারানী) আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ ইবনে আবী মারিয়াম হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ ফিরইয়াবী হতে, তিনি সুফিয়ান হতে, তিনি ইসমাইল ইবনু আবী খালেদ হতে, তিনি সাইয়্যার ইবনু আবিল হাকাম হতে, তিনি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আব্দুল্লাহ ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ বুখারী এবং মুসলিমের নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। ইবনু আদী “আল-কামেল” গ্রন্থে (৪/১৫৬৮) বলেনঃ তিনি ফিরইয়াবী প্রমুখ থেকে বাতিল হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি গাফেল হয়ে তার ব্রেন থেকে কী বের করছে তা না বুঝে এরূপ করেছেন, অথবা তিনি ইচ্ছাকৃতই করেছেন। কারণ আমি তার একাধিক হাদীস দেখেছি নিরাপদ নয়।
হায়সামীও (৭/১৬৫) তার দ্বারায় সমস্যা বর্ণনা করেছেন। আর এর পূর্বে লাইস ইবনু আবী সুলায়েম দ্বারা সমস্যা বর্ণনা করেছেন। মানবী ধারণা করেছেন যে, এ সনদের মধ্যেও ইবনু আবী সুলায়েম রয়েছেন।
হাদীসটির আরেকটি শাহেদ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেটিও খুবই দুর্বল। সেটি সামনের হাদীসটি।
أعربوا القرآن
ضعيف
-
أخرجه أبو علي الصواف في " الفوائد " (3/161/2) وأبو علي الهروي في " الأول
من الثاني من الفوائد " (18/2) عن ليث عن طلحة بن مصرف عن إبراهيم عن علقمة
عن عبد الله مرفوعا
قلت: وهذا إسناد ضعيف، ليث هو ابن أبي سليم وهو ضعيف
وله شاهد من حديث ابن عباس مرفوعا به، ولكنه واه جدا
أخرجه أبو بكر الشيرازي في " سبعة مجالس من الأمالي " (8/1) عن حفص بن سليمان
: نا سعيد بن المرزبان عن الضحاك بن مزاحم عنه. وقال
" قال الحاكم: لم نكتبه من حديث أبي سعد البقال إلا بهذا الإسناد
قلت: وهو ضعيف جدا فيه علل
الضحاك لم يسمع من ابن عباس
وسعيد بن المرزبان، وهو أبو سعد البقال ضعيف مدلس، وقد عنعنه
وحفص بن سليمان وهو الأسدي الغاضري قال الحافظ: " متروك الحديث مع إمامته في القراءة ". ثم رأيت حديث ابن مسعود في " معجم الطبراني الكبير " من طريق ليث به موقوفا، ومرفوعا (8684 و8685) وزاد في المرفوع: " فإنه عربي
وزاد بعد هذه الزيادة من طريق أخرى: " فإنه سيجيء قوم يثقفونه، وليسوا بخياركم
وإسناده هكذا (8686) : حدثنا عبد الله بن محمد بن سعيد بن أبي مريم: حدثنا
محمد بن يوسف الفريابي: حدثنا سعيد عن إسماعيل بن أبي خالد عن سيار أبي الحكم
عن ابن مسعود قال: فذكره موقوفا
قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، رجاله ثقات رجال الشيخين غير عبد الله هذا قال
ابن عدي في " الكامل " (4/1568) : " حدث عن الفريابي وغيره بالبواطيل، فإما أن يكون مغفلا، لا يدري ما يخرج من رأسه، أومتعمدا، فإني رأيت له غير حديث غير محفوظ
وبه أعله الهيثمي (7/165) ، وأعل ما قبله بليث بن أبي سليم، ووهم المناوي في " الجامع الأزهر " فزعم أن في هذا أيضا ابن أبي سليم
وله شاهد آخر، ولكنه واه جدا، وفي متنه زيادة مستنكرة وهو الآتي بعده