পরিচ্ছেদঃ
১৩৩৭। তিনটি বস্তু কিয়ামতের দিন আরশের নিচে স্থান পাবেঃ (সেখানে) কুরআন বান্দাদের পক্ষে ঝগড়া করবে, তার পেট এবং পিঠ থাকবে। আমানাত এবং আত্মীয়তার সম্পর্কও (আরশের নিচে) স্থান পাবে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ডাক দিয়ে বলবেঃ যে ব্যক্তি আমার সাথে সম্পর্ক অটুট রেখেছে আল্লাহ্ তার সম্পর্ককে অটুট রাখবেন আর যে ব্যক্তি আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আল্লাহ্ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ওকায়লী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (পৃঃ ৩৬৬), হুমায়েদ ইবনু যানযাবিয়্যাহ "কিতাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে যেমনটি “হিদায়াতুল ইনসান” গ্রন্থে (কাফ ২/৯৯) এসেছে, এখানের ভাষাটি তারই। আর তার সূত্র হতে বাগাবী “শারহুস সুন্নাহ্” গ্রন্থে (১৩/২২/৩৪৩৩) মুসলিম ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি কাসীর ইবনু আবদিল্লাহ ইয়াশকুরী হতে, তিনি হাসান ইবনু আব্দির রহমান ইবনে আউফ কুরাশী হতে, তিনি তার পিতা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটিকে ওকায়লী ইয়াসকুরীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এর সনদটি সহীহ নয়। আত্মীয়তার সম্পর্ক আর আমানাতের ব্যাপারে এ সূত্র ছাড়া অন্য ভালো সনদে বিভিন্ন ভাষায় হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আর কুরআনের বিষয়ের বর্ণনাটি নিরাপদ নয়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু আবী হাতিম (৩/২/১৫৪) চারজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বর্ণনায় ইশকুরীকে উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কোনই মন্তব্য করেননি। সম্ভবত তার থেকে পঞ্চম ব্যক্তিও বর্ণনা করেছেন আর তিনি হচ্ছেন যায়েদ ইবনুল হুবাব যেমনটি “আল-ইসাবাহ” গ্রন্থে এসেছে। ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্যদের (৭/৩৫৪) অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অতএব তার মত ব্যক্তির হাদীসকে কখনও কখনও হাসান আখ্যা দেয়া যেতে পারে যদি তার নিচে ও উপরে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী থাকে।
ইয়াশকুরীর শাইখ হাসান ইবনু আবদির রহমানকে চেনা যায় না। তিনি অপরিচিত বৰ্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত। অতএব আমার নিকট হাদীসটির সমস্যা তিনিই, ইয়াশকুরী নয়- যেমনটি ওকায়লীর পূর্বোক্ত কথা থেকে বুঝা যায়।
এ হাসান ইবনু আবদির রহমান ইবনু আউফ কুরাশী নাকি যুহরী তা নিয়ে মতভেদ করা হয়েছে। আবু হাতিম রাযী উভয়কে পৃথক পৃথক ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এখানে উল্লেখিত আব্দুর রহমান কুরাশী হোক কিংবা যুহরী হোক উভয়েই অপরিচিত (মাজহুল)। অতএব হাদীসটির সমস্যা আব্দুর রহমানই।
ثلاثة تحت العرش يوم القيامة: القرآن يحاج العباد، له ظهر وبطن، والأمانة، والرحم تنادي: ألا من وصلني وصله الله، ومن قطعني قطعه الله
ضعيف
-
أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (ص 366) وحميد بن زنجويه في " كتاب الأدب " كما في " هداية الإنسان " (ق 99/2) والسياق له، ومن طريقه البغوي في " شرح السنة " (13/22/3433) عن مسلم بن إبراهيم: حدثنا كثير بن عبد الله اليشكري: حدثنا الحسن بن عبد الرحمن بن عوف القرشي عن أبيه مرفوعا
أورده العقيلي في ترجمة اليشكري هذا وقال: " ولا يصح إسناده، والرواية في الرحم والأمانة من غير هذا الوجه بأسانيد جياد بألفاظ مختلفة، وأما القرآن، فليس بالمحفوظ
قلت: وأورده ابن أبي حاتم (3/2/154) من رواية أربعة من الثقات، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، وثمة خامس روى عنه أيضا وهو زيد بن الحباب كما جاء في " الإصابة "، وأما ابن حبان فذكره في " الثقات " (7/354) ، فمثله قد يحسن حديثه إذا كان من دونه ومن فوقه ثقة
وشيخه الحسن بن عبد الرحمن، لا يعرف، فقد أورده ابن أبي حاتم أيضا (1/2/23) من رواية اليشكري هذا فقط! وكذلك صنع ابن حبان في " الثقات " (4/142) فهو في عداد المجهولين، فهو علة الحديث عندي، وليس اليشكري كما يشعر به كلام العقيلي المتقدم، وقلده فيه المعلق على " شرح السنة "، ومن قبله المناوي في " الفيض
تنبيه : وقع في ابن حبان: " الحسن بن عبد الرحمن بن عوف الزهري " وفي إسناد هذا الحديث (القرشي) مكان " الزهري " وكذلك هو عند ابن أبي حاتم وقال: " وليس هو بابن عبد الرحمن بن عوف الزهري، لكنه آخر بصري
وعلى هذا جرى الحافظ في " الإصابة " فإنه ترجم أولا لعبد الرحمن بن عوف الزهري
ثم قال: " عبد الرحمن بن عوف؛ آخر إن لم يذكر إلا في هذا الحديث بهذا الإسناد فلا تثبت
صحبته، بل هو أيضا لا يعرف، وعلى هذا فهذه علة ثانية. والله سبحانه وتعالى أعلم