১৩১৯

পরিচ্ছেদঃ

১৩১৯। আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের অবশিষ্ট সম্পদকে পবিত্র (হালাল) করার জন্যই যাকাতকে ফরয করেছেন আর মীরাসকে ফরয করেছেন যাতে তা তোমাদের পরবর্তীদের জন্য হয়।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আবু দাউদ (১৬৬৪), হাকিম (১/৪০৮-৪০৯) ও যিয়া আলমাকদেসী “আলমুখতারাহ” গ্রন্থে (৬৭/১১২/১) দুটি সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু ইয়ালা মুহারেবী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি গায়লান হতে, তিনি জাফার ইবনু ইয়াস হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ হাদীসটি শাইখায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ। হাফিয যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। ইবনু কাসীরও সম্মতি প্রদান করেছেন। হাফিয ইরাকী "তাখরীজুল ইয়াহইয়া" গ্রন্থে (২/৩৬) বলেনঃ তার সনদটি সহীহ।

কিন্তু আমার (আলবানীর) নিকট তাদের এসব মন্তব্যের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে।

হাকিম যে বলেছেনঃ বুখারী এবং মুসলিমের শর্তানুযায়ী সনদটি সহীহ। এ মন্তব্য সুস্পষ্ট ধারণামূলক। কারণ বর্ণনাকারী গায়লান হচ্ছেন ইবনু জামে ইমাম বুখারীর বর্ণনাকারী নন। তার থেকে শুধুমাত্র ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন। তিনি সহীহ বলেছেন। বিষয়টি আমার নিকট প্রথম অবস্থায় স্পষ্ট হয়নি তবে পরবর্তীতে আমি পেয়েছি যে, হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে সনদে বিচ্ছিন্নতা।

হাদীসটিকে হাকিম (২/৩৩৩) ইবরাহীম ইবনু ইসহাক যুহরী সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’লা ইবনে হারেস মুহারেবী হতে, তিনি (তার) পিতা হতে, তিনি গায়লান ইবনু জামে হতে, তিনি উসমান ইবনুল কাত্তান খুযাঈ হতে, তিনি জাফার ইবনু ইয়াস হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ সনদটি সহীহ।

হাফিয যাহাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ বর্ণনাকারী উসমানকে আমি চিনি না আর হাদীসটি আজব ধরনের।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি সনদে গায়লান এবং জাফারের মাঝে উসমানকে সংযোগ করেছেন। তার মুতাবা’য়াতও করা হয়েছে। হাফিয যাহাবী তার (উসমান) সম্পর্কে যা বলেছেন আমরা একটু পূর্বেই অবগত হয়েছি। তার অবস্থা সম্পর্কে আমাদের আরো জানা দরকার।

হাফিয যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে আর হাফিয ইবনু হাজার "আল-লিসান" গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেননি। সম্ভবত এ উসমান হচ্ছেন উসমান ইবনু উমায়ের আবু ইয়াকযান কূফী আল-আ’মা যার জীবনী আলোচনা করা হয়েছে “আত-তাহযীব” গ্রন্থে।

হাফিয ইবনু কাসীর হাদীসটিকে ইবনু আবী হাতিমের সূত্রে উল্লেখ করেছেন, তিনি (তার) পিতা হতে, তিনি হুমায়েদ ইবনু মালেক হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’লা মুহারেবী হতে, তিনি (তার) পিতা হতে, তিনি গায়লান ইবনু জামে’ মুহারেবী হতে, তিনি উসমান ইবনু আবী ইয়াকযান হতে, তিনি জাফার হতে বর্ণনা করেছেন।

অনুরূপভাবে ইবনুল আ’রাবী তার "মুজাম" গ্রন্থে (কাফ ১৮২/২-১৮৩/১) তারকিফী হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’লা হতে ... বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ বর্ণনাকারীদের মধ্যে উসমান ইবনু আবী ইয়াকযান রয়েছেন বলে আমরা জানি না। সম্ভবত (ইবনু) শব্দটি কোন কপিতে ভুলবশত সংযুক্ত হয়ে গেছে। আসলে উসমান আবুল ইয়াকযান। মানবী "আল-ফায়েয" গ্রন্থে যা উল্লেখ করেছেন তা এ ব্যাখ্যাকে শক্তিশালী করছে, তিনি বলেনঃ হাফিয যাহাবী “আল-মুহাযযাব” গ্রন্থে বলেনঃ এর সনদের মধ্যে উসমান আবুল ইয়াকযান রয়েছেন আর তাকে সকলে (মুহাদ্দিসগণ) দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটিকে বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৪/৮৩) সাফফারের সূত্রে আব্বাস ইবনু আবদিল্লাহ তারকিফী হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনুল হারেস হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ উসমান আবুল ইয়াকযান।

বাইহাকী বলেনঃ কোন কোন বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া হতে বর্ণনা করতে গিয়ে তার সনদে উসমান আবুল ইয়াকযানকে উল্লেখ করেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বাইহাকীর এ কথা থেকে দুটি ফায়েদাহ পাওয়া যাচ্ছেঃ

১। হাকিম যে পূর্বোক্ত সনদে উসমান ইবনুল কাত্তান খুযাঈর কথা উল্লেখ করেছেন এটি তার সেই সব বহু ভুলের একটি যেগুলো তার “মুসতাদরাক” গ্রন্থে ঘটেছে। অতএব হক হচ্ছে যাহাবী প্রমুখের সাথে, কারণ তারা বলেছেনঃ তারা তাকে চিনেন না। কারণ হাকিম তাকে সন্দেহবশত উল্লেখ করেছেন অথচ বাস্তবতা তা নয়।

২। তার প্রথম বর্ণনাটি ভুল যাতে উসমানকে উল্লেখ করা হয়নি। সে তার কোন কোন বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে পড়ে যায়। ফলে যে বা যারা সনদটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন তার সহীহ আখ্যা প্রদান করাও ভুল যেমনটি বাহ্যিকতা থেকে বুঝা যায়। আমি (আলবানী) আল্লাহর প্রশংসা করছি যার মেহেরবানীতে সনদ থেকে একজন বর্ণনাকারী উহ্য হয়ে যাওয়া মর্মে আমার সিদ্ধান্ত ইমাম বাইহাকীর সিদ্ধান্তের সাথে মিলে গেছে এবং আমি যে সনদে উসমান ইবনু উমায়ের আবুল ইয়াকযান বর্ণনাকারীকেই উল্লেখ করা হয়নি এরূপ সম্ভাব্যতার কথা বলেছিলাম, তিনি তার সুস্পষ্ট বাণীর দ্বারা তাকে শক্তিশালী করেছেন।

সনদ থেকে উল্লেখ না করা বর্ণনাকারী যে উসমান ইবনু ওমায়ের একে আরো শক্তিশালী করেছে হাদিসটির পরে উল্লেখ করা যিয়ার কথাঃ হাদীসটিকে আহমাদ ইবনু ইবরাহীম দাওরাকী ও সুলাইমান ইবনু শাযকূনী ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’লা ইবনিল হারেস হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি গায়লান ইবনু জামে’ হতে, তিনি উসমান ইবনু ওমায়ের আবুল ইয়াকযান হতে, তিনি জাফর ইবনু ইয়াস হতে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি সনদের মধ্যে ইবনু ওমায়ের আবুল ইয়াকযানকে বৃদ্ধি করেছেন। এ কারণে আমরা দৃঢ়তার সাথে বলছি যে, যিনি সনদের মধ্যে উসমান ইবনুল কাত্তান অথবা উসমান ইবনু আবিল ইয়াকযান নামে বর্ণনাকারীকে উল্লেখ করেছেন তিনি ভুল করেছেন।

মোটকথাঃ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে উসমান ইবনু ওমায়ের আবুল ইয়াকযান। যার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকল মুহাদ্দিসগণ একমত। যেমনটি বুঝা গেছে হাফিয যাহাবী কর্তৃক "আল-মুহাযযাব" গ্রন্থে উল্লেখকৃত কথা থেকেঃ তাকে তারা সকলেই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি অনুরূপ কথা “আল-কাশেফ”, “আল-মীযান” ও “আয-যু"আফা” গ্রন্থেও বলেছেন। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল, তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল, তিনি তাদলীস করতেন এবং অতিরঞ্জনকারী শীয়াদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আলোচ্য এ হাদীসটিকে "আল-জামেউস সাগীর" গ্রন্থের কোন কোন কপিতে সহীহ হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর ফলে "জামেউস সাগীর" গ্রন্থের তাহকীক কমিটি ধোঁকায় পড়ে বলেছেনঃ হাদীসটি “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে (১৭৭৪) উল্লেখ করা হয়েছে এবং সহীহ হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

জামেউস সাগীর গ্রন্থের সহীহ বা হাসান হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করার উপর নির্ভর করা যায় না। আর আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই যে, উক্ত কমিটি ইঙ্গিত করাকে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু হাফিয যাহাবী যে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন তার উপর নির্ভর করেননি। অথচ যাহাবীর এ কথাটিকে মানবী তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন আর তারা মানবীর গ্রন্থকে উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহারও করেছেন, কিন্তু তার দুর্বল হওয়ার বক্তব্যকে গ্রহন করেননি।

হাদিসটিকে শাইখ নাসীব রিফা’ঈ এবং শাইখ সাবূনীও সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কথা গ্রহণযোগ্য নয়। উপরোক্ত কারণে।

إن الله لم يفرض الزكاة إلا ليطيب ما بقي من أموالكم، وإنما فرض المواريث لتكون لمن بعدكم
ضعيف

-

أخرجه أبو داود (1/264) والحاكم (1/408 - 409) والضياء المقدسي في "المختارة " (67/112/1) من طريقين عن يحيى بن يعلى المحاربي: حدثنا أبي: حدثنا غيلان عن جعفر بن إياس عن مجاهد عن ابن عباس قال: لما نزلت هذه الآية: " والذين يكنزون الذهب والفضة.. " قال: كبر ذلك على المسلمين، فقال عمر رضي الله عنه: أنا أفرج عنكم، فانطلق، فقال: يا نبي الله! إنه كبر على أصحابك هذه الآية، فقال رسول الله صلى الله عليه
وسلم: فذكره، فكبر عمر، ثم قال له:" ألا أخبرك بخير ما يكنز المرء؟ المرأة الصالحة، إذا نظر إليها سرته، وإذا أمرها أطاعته، وإذا غاب عنها حفظته
وقال الحاكم: " صحيح على شرط الشيخين "! ووافقه الذهبي! وأقره ابن كثير (2/351)

وقال الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (2/36) : " سنده صحيح ". كذا قالوا، وفيه نظر عندي، أما كونه " على شرط الشيخين " فهو من الأوهام الظاهرة، لأن غيلان - وهو ابن جامع - ليس من رجال البخاري، وإنما روى له مسلم وحده
وأما كونه صحيحا، فهو ما يبدو لأول وهلة، ولكني قد وجدت له علة، وهي الانقطاع، فأخرجه الحاكم (2/333) من طريق إبراهيم بن إسحاق الزهري: حدثنا يحيى بن يعلى بن الحارث المحاربي: حدثنا أبي: حدثنا غيلان بن جامع عن عثمان ابن القطان الخزاعي عن جعفر بن إياس به. وقال: " صحيح الإسناد
وتعقبه الذهبي فقال: " قلت: عثمان لا أعرفه، والخبر عجيب
وأقول: ورجال إسناده ثقات معروفون من رجال " التهذيب " غير إبراهيم بن إسحاق الزهري وهو ثقة كما قال الدارقطني، وله ترجمة في " تاريخ بغداد " (6/25 - 26) وقال: " وكان ثقة خيرا فاضلا دينا صالحا، مات سنة (277) وقد بلغ ثلاثا وتسعين سنة

قلت: فقد زاد في الإسناد بين غيلان وجعفر (عثمان) هذا فهي زيادة مقبولة، ولا سيما وقد توبع عليها كما يأتي، فوجب أن نعرف حاله، وقد رأيت قول الذهبي فيه آنفا: " لا أعرفه
ولم يورده هو في " الميزان " ولا الحافظ في " اللسان ". فمن المحتمل أن يكون هو عثمان بن عمير أبو اليقظان الكوفي الأعمى المترجم في " التهذيب "، فقد أورد الحافظ ابن كثير (2/351) هذا الحديث من طريق ابن أبي حاتم قال: حدثنا أبي: حدثنا حميد بن مالك: حدثنا يحيى بن يعلى المحاربي: حدثنا أبي: حدثنا غيلان ابن جامع المحاربي عن عثمان بن أبي اليقظان عن جعفر به، وهكذا رواه ابن الأعرابي في " معجمه " (ق 182/2 -183/1) نا الترقفي: نا يحيى بن يعلى به
ولا نعلم في الرواة " عثمان بن أبي اليقظان " فلعل لفظة (بن) زيادة من بعض النساخ سهو ا، والأصل: (عثمان أبي اليقظان) ، ويؤيده أن المناوي ذكر في " الفيض " أن الذهبي قال في " المهذب ": " فيه عثمان أبو اليقظان، ضعفوه

قلت: و" المهذب " هذا للذهبي، وهو كالمختصر لـ " السنن الكبرى " للبيهقي، ولكنه يتكلم على أحاديثه تصحيحا وتضعيفا بأوجز عبارة، كما رأيت آنفا، فهو مثل " تلخيصه " على " المستدرك ". وهذا الحديث قد أخرجه البيهقي في " سننه " (4/83) من طريق الصفار: حدثنا عباس بن عبد الله الترقفي: حدثنا يحيى بن يعلى بن الحارث فذكره فقال: " عثمان أبي اليقظان

ثم ساقه من روايته عن شيخه الحاكم بإسناده من طريق إبراهيم بن إسحاق الزهري
المتقدم.. وقال البيهقي: " فذكره بمثل إسناده، وقصر به بعض الرواة عن يحيى فلم يذكر في إسناده عثمان أبا اليقظان

قلت: وفي قول البيهقي هذا فائدتان هامتان

الأولى: أن قول الحاكم في هذا الإسناد المتقدم: " عثمان بن القطان الخزاعي " هو من أخطائه الكثيرة التي وقعت في " مستدركه "، فحق للذهبي وغيره أن لا يعرفه، لأنه وهم لا حقيقة له

والأخرى: خطأ روايته الأولى التي ليس فيها ذكر لعثمان هذا، وأنه سقط من بعض الرواة، وعليه فتصحيح من صححه خطأ أيضا، كما هو ظاهر، فالحمد لله الذي وافق حكمي حكم الإمام البيهقي من حيث السقط، وأيد بكلامه الصريح الاحتمال المتقدم مني أن هذا الساقط هو عثمان بن عمير أبو اليقظان

ويؤيده قول الضياء عقب الحديث
" رواه أحمد بن إبراهيم الدورقي وسليمان بن الشاذكوني عن يحيى بن يعلى بن الحارث عن أبيه عن غيلان بن جامع عن عثمان بن عمير أبي اليقظان عن جعفر بن إياس

قلت: فزاد في الإسناد (ابن عمير أبي اليقظان) ، فهذا يحملنا على الجزم بأن من قال فيه " عثمان بن القطان "، أوعثمان بن أبي اليقظان " فقد أخطأ

والخلاصة: أن علة الحديث عثمان بن عمير أبو اليقظان، وهو متفق على تضعيفه
كما يشعر بذلك قول الذهبي المتقدم في " المهذب ": " ضعفوه ". وكذلك قال في " الكاشف " و" الميزان " و" الضعفاء "، وقال الحافظ في
التقريب ": " ضعيف، واختلط، وكان يدلس، ويغلوفي التشيع

قلت: هذا الحديث جاء في بعض نسخ " الجامع الصغير " مرموزا له بالصحة، واغتر بذلك اللجنة القائمة على تحقيق " الجامع الكبير " فقالوا (2/1600) : الحديث في الصغير برقم 1774 ورمز لصحته
وقد أنبأناك مرارا أن رموز " الجامع " لا يعتد بها، وهذا من الأمثلة العديدة على ذلك. ومن عجيب أمر هذه اللجنة أنها تركن إلى الرمز، ولا تعتمد على تضعيف الحافظ الذهبي الذي نقله المناوي في شرحه وهو من مراجعهم، والرقم الذي ذكروه هو رقم الحديث في شرحه. فهل يعني إعراضهم عن تضعيف المناوي له تبعا للذهبي أن تصحيحهم للأحاديث ذوقي، وليس على المنهج العلمي الحديثي؟ ! ثم إنه قد وقع عندهم مرموزا للحديث بـ (ش د ع ك ن) ، و (ن) في اصطلاح السيوطي إنما يعني النسائي، وليس عنده مطلقا، وإنما هو محرف من (ق) أي البيهقي، ولوكان عند النسائي لقدم في الذكر على (ع ك) كما هي عادته تبعا
لعرف المحدثين لتقدمه عليهما طبقة وعلما

تنبيه : هذا الحديث مما صححه الشيخ نسيب الرفاعي والشيخ الصابوني في "مختصر تفسير ابن كثير " بإيرادهما إياه فيه، وزاد الأول على الآخر بأنه صرح بصحته في فهرسه الذي وضعه في آخر المجلد الثاني (ص 227) ولئن كان من الممكن الاعتذار عنهما بأنهما اغترا بسكوت ابن كثير على تصحيح الحاكم المتقدم، فما عذرهما في غيره من الأحاديث التي صححاها دون الناس جميعا أوعلى الأقل دون ابن كثير وأسانيدها بينة الضعف؟ ! وقد تقدم بعضها، والحديث التالي مثال آخر بالنسبة للرفاعي، ثم رأيت الغماري قد سلك سبيل هؤلاء فأورده في " كنزه "، والله المستعان

ان الله لم يفرض الزكاة الا ليطيب ما بقي من اموالكم، وانما فرض المواريث لتكون لمن بعدكم ضعيف - اخرجه ابو داود (1/264) والحاكم (1/408 - 409) والضياء المقدسي في "المختارة " (67/112/1) من طريقين عن يحيى بن يعلى المحاربي: حدثنا ابي: حدثنا غيلان عن جعفر بن اياس عن مجاهد عن ابن عباس قال: لما نزلت هذه الاية: " والذين يكنزون الذهب والفضة.. " قال: كبر ذلك على المسلمين، فقال عمر رضي الله عنه: انا افرج عنكم، فانطلق، فقال: يا نبي الله! انه كبر على اصحابك هذه الاية، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره، فكبر عمر، ثم قال له:" الا اخبرك بخير ما يكنز المرء؟ المراة الصالحة، اذا نظر اليها سرته، واذا امرها اطاعته، واذا غاب عنها حفظته وقال الحاكم: " صحيح على شرط الشيخين "! ووافقه الذهبي! واقره ابن كثير (2/351) وقال الحافظ العراقي في " تخريج الاحياء " (2/36) : " سنده صحيح ". كذا قالوا، وفيه نظر عندي، اما كونه " على شرط الشيخين " فهو من الاوهام الظاهرة، لان غيلان - وهو ابن جامع - ليس من رجال البخاري، وانما روى له مسلم وحده واما كونه صحيحا، فهو ما يبدو لاول وهلة، ولكني قد وجدت له علة، وهي الانقطاع، فاخرجه الحاكم (2/333) من طريق ابراهيم بن اسحاق الزهري: حدثنا يحيى بن يعلى بن الحارث المحاربي: حدثنا ابي: حدثنا غيلان بن جامع عن عثمان ابن القطان الخزاعي عن جعفر بن اياس به. وقال: " صحيح الاسناد وتعقبه الذهبي فقال: " قلت: عثمان لا اعرفه، والخبر عجيب واقول: ورجال اسناده ثقات معروفون من رجال " التهذيب " غير ابراهيم بن اسحاق الزهري وهو ثقة كما قال الدارقطني، وله ترجمة في " تاريخ بغداد " (6/25 - 26) وقال: " وكان ثقة خيرا فاضلا دينا صالحا، مات سنة (277) وقد بلغ ثلاثا وتسعين سنة قلت: فقد زاد في الاسناد بين غيلان وجعفر (عثمان) هذا فهي زيادة مقبولة، ولا سيما وقد توبع عليها كما ياتي، فوجب ان نعرف حاله، وقد رايت قول الذهبي فيه انفا: " لا اعرفه ولم يورده هو في " الميزان " ولا الحافظ في " اللسان ". فمن المحتمل ان يكون هو عثمان بن عمير ابو اليقظان الكوفي الاعمى المترجم في " التهذيب "، فقد اورد الحافظ ابن كثير (2/351) هذا الحديث من طريق ابن ابي حاتم قال: حدثنا ابي: حدثنا حميد بن مالك: حدثنا يحيى بن يعلى المحاربي: حدثنا ابي: حدثنا غيلان ابن جامع المحاربي عن عثمان بن ابي اليقظان عن جعفر به، وهكذا رواه ابن الاعرابي في " معجمه " (ق 182/2 -183/1) نا الترقفي: نا يحيى بن يعلى به ولا نعلم في الرواة " عثمان بن ابي اليقظان " فلعل لفظة (بن) زيادة من بعض النساخ سهو ا، والاصل: (عثمان ابي اليقظان) ، ويويده ان المناوي ذكر في " الفيض " ان الذهبي قال في " المهذب ": " فيه عثمان ابو اليقظان، ضعفوه قلت: و" المهذب " هذا للذهبي، وهو كالمختصر لـ " السنن الكبرى " للبيهقي، ولكنه يتكلم على احاديثه تصحيحا وتضعيفا باوجز عبارة، كما رايت انفا، فهو مثل " تلخيصه " على " المستدرك ". وهذا الحديث قد اخرجه البيهقي في " سننه " (4/83) من طريق الصفار: حدثنا عباس بن عبد الله الترقفي: حدثنا يحيى بن يعلى بن الحارث فذكره فقال: " عثمان ابي اليقظان ثم ساقه من روايته عن شيخه الحاكم باسناده من طريق ابراهيم بن اسحاق الزهري المتقدم.. وقال البيهقي: " فذكره بمثل اسناده، وقصر به بعض الرواة عن يحيى فلم يذكر في اسناده عثمان ابا اليقظان قلت: وفي قول البيهقي هذا فاىدتان هامتان الاولى: ان قول الحاكم في هذا الاسناد المتقدم: " عثمان بن القطان الخزاعي " هو من اخطاىه الكثيرة التي وقعت في " مستدركه "، فحق للذهبي وغيره ان لا يعرفه، لانه وهم لا حقيقة له والاخرى: خطا روايته الاولى التي ليس فيها ذكر لعثمان هذا، وانه سقط من بعض الرواة، وعليه فتصحيح من صححه خطا ايضا، كما هو ظاهر، فالحمد لله الذي وافق حكمي حكم الامام البيهقي من حيث السقط، وايد بكلامه الصريح الاحتمال المتقدم مني ان هذا الساقط هو عثمان بن عمير ابو اليقظان ويويده قول الضياء عقب الحديث " رواه احمد بن ابراهيم الدورقي وسليمان بن الشاذكوني عن يحيى بن يعلى بن الحارث عن ابيه عن غيلان بن جامع عن عثمان بن عمير ابي اليقظان عن جعفر بن اياس قلت: فزاد في الاسناد (ابن عمير ابي اليقظان) ، فهذا يحملنا على الجزم بان من قال فيه " عثمان بن القطان "، اوعثمان بن ابي اليقظان " فقد اخطا والخلاصة: ان علة الحديث عثمان بن عمير ابو اليقظان، وهو متفق على تضعيفه كما يشعر بذلك قول الذهبي المتقدم في " المهذب ": " ضعفوه ". وكذلك قال في " الكاشف " و" الميزان " و" الضعفاء "، وقال الحافظ في التقريب ": " ضعيف، واختلط، وكان يدلس، ويغلوفي التشيع قلت: هذا الحديث جاء في بعض نسخ " الجامع الصغير " مرموزا له بالصحة، واغتر بذلك اللجنة القاىمة على تحقيق " الجامع الكبير " فقالوا (2/1600) : الحديث في الصغير برقم 1774 ورمز لصحته وقد انباناك مرارا ان رموز " الجامع " لا يعتد بها، وهذا من الامثلة العديدة على ذلك. ومن عجيب امر هذه اللجنة انها تركن الى الرمز، ولا تعتمد على تضعيف الحافظ الذهبي الذي نقله المناوي في شرحه وهو من مراجعهم، والرقم الذي ذكروه هو رقم الحديث في شرحه. فهل يعني اعراضهم عن تضعيف المناوي له تبعا للذهبي ان تصحيحهم للاحاديث ذوقي، وليس على المنهج العلمي الحديثي؟ ! ثم انه قد وقع عندهم مرموزا للحديث بـ (ش د ع ك ن) ، و (ن) في اصطلاح السيوطي انما يعني النساىي، وليس عنده مطلقا، وانما هو محرف من (ق) اي البيهقي، ولوكان عند النساىي لقدم في الذكر على (ع ك) كما هي عادته تبعا لعرف المحدثين لتقدمه عليهما طبقة وعلما تنبيه : هذا الحديث مما صححه الشيخ نسيب الرفاعي والشيخ الصابوني في "مختصر تفسير ابن كثير " بايرادهما اياه فيه، وزاد الاول على الاخر بانه صرح بصحته في فهرسه الذي وضعه في اخر المجلد الثاني (ص 227) ولىن كان من الممكن الاعتذار عنهما بانهما اغترا بسكوت ابن كثير على تصحيح الحاكم المتقدم، فما عذرهما في غيره من الاحاديث التي صححاها دون الناس جميعا اوعلى الاقل دون ابن كثير واسانيدها بينة الضعف؟ ! وقد تقدم بعضها، والحديث التالي مثال اخر بالنسبة للرفاعي، ثم رايت الغماري قد سلك سبيل هولاء فاورده في " كنزه "، والله المستعان
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ