পরিচ্ছেদঃ
১২৯১। দুনিয়া বিমুখ হয়ে ধর্মমুখী হওয়া হৃদয় ও শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ওকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪৫৯), ইবনু আদী “আল-কামেল” গ্রন্থে (কাফ ২৩/২) ও ত্ববারানী "আল-আওসাত" গ্রন্থে (৬২৫৬) আশ’য়াস ইবনু বুরায সূত্রে আলী ইবনু যায়েদ হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আলী ইবনু যায়েদ হচ্ছেন ইবনু জাদ’য়ান, তিনি দুর্বল। আর আশয়াস ইবনু বুরায খুবই দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।
ইমাম নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরুকুল হাদীস। তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে সকলে একমত।
হাফিয হায়সামী “আল-মাজমা” গ্রন্থে (১০/২৮৬) বলেনঃ হাদীসটি ত্ববারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে আশয়াস ইবনু নাযার রয়েছেন তাকে আমি চিনি না। অন্য বর্ণনাকারীগণকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়া হয়েছে। তাদের কারো কারো মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।
কিন্তু বর্ণনাকারী আশ’য়াস আসলে ... ইবনু নাযার নন, বরং তিনি হচ্ছেন ইবনু বুরায। এ কারণেই তিনি তাকে চিনেননি।
হাফিয মুনযেরী এবং হায়সামী ইমাম ত্ববারানীর সনদের উক্ত বর্ণনাকারী শু’য়াইব সম্পর্কে যাই বলুন, এ সনদের মধ্যেই কিন্তু ইমাম ত্ববারানীর শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু যাকারিয়া গুলাবী রয়েছেন। যিনি ইয়াহইয়া ইবনু বিস্তাম হতে হাদীস জালকারী। এ ইয়াহইয়াও বিতর্কিত ব্যক্তি। তার সম্পর্কে ইমাম আবু দাউদ বলেনঃ তার হাদীসকে মুহাদ্দিসগণ ত্যাগ করেছেন।
হাদিসটির আরো কয়েকটি সনদ উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর কোনটিই সহীহ নয়। এগুলোর একটি মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও তাতে মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম নামের এক বর্ণনাকারী রয়েছেন তিনি হচ্ছেন তাঈ। তার হেফযে ক্রটি থাকার কারণে তিনি দুর্বল। ইবনু আবিদ দুনিয়া এটিকে “যাম্মুদ দুনিয়া” গ্রন্থে (কাফ ১/৯) উল্লেখ করেছেন।
আরেকটি সূত্র মুযাল হওয়া সত্ত্বেও এটির সনদে ইবরাহীম ইবনু আশ’য়াস রয়েছেন। হেফযে ক্রটি থাকার কারণে এ ব্যক্তিও দুর্বল। এটিকেও ইবনু আবিদ দুনিয়া বর্ণনা করেছেন।
আরেকটি খুবই দুর্বল সনদে হাদীসটি কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (কাফ ২/১৮) উল্লেখ করেছেন। এর বর্ণনাকারী আবু ওতবাহ আহমাদ ইবনুল ফারাজ দুর্বল। আর আরেক বর্ণনাকারী বাকিয়্যাহ ইবনুল ওয়ালীদ মুদাল্লিস। আরেক বর্ণনাকারী বাকর ইবনু খুনায়েসকে হাফিয যাহাবী দুর্বলদের অন্তর্ভুক্ত করে বলেছেনঃ দারাকুতনী বলেছেনঃ তিনি মাতরূক।
মোটকথা কারো কারো মতে হাদিসটি মওকূফ হিসেবে সঠিক। কিন্তু ইচ্ছা করে অথবা ভুল করে কেউ এটিকে মারফু’ বানিয়ে ফেলেছেন।
الزهادة في الدنيا تريح القلب والبدن
ضعيف
-
أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (459) وابن عدي في " الكامل " (ق 23/2) والطبراني في " الأوسط " (6256 - بترقيمي) من طريق أشعث بن براز عن علي بن زيد عن سعيد بن المسيب عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، علي بن زيد هو ابن جدعان ضعيف
وأشعث بن براز ضعيف جدا، قال البخاري: " منكر الحديث
وقال النسائي: " متروك الحديث ". وضعفه متفق عليه
(وبراز) بضم الباء ثم راء ثم زاي، وتحرف على الحافظ الهيثمي فقال في
المجمع " (10/286) : " رواه الطبراني في " الأوسط " وفيه أشعث بن نزار، ولم أعرفه، وبقية رجاله وثقوا، على ضعف في بعضهم
هكذا وقع له " نزار "، وليس في الرواة " أشعث بن نزار " ولذلك لم يعرفه، فهو معذور، ولكن كيف نعلل قول المنذري في " الترغيب " (4/96) : " رواه الطبراني، وإسناده مقارب "؟
فهل نقول: إنه لم يعرفه أيضا، ثم أحسن الظن به، فقال في إسناده: " مقارب "! أم نقول: إنه عرفه وأنه ابن براز المتروك؟ غالب الظن الأول، فإن ابن براز لا يمكن أن يقال في سند هو فيه: " مقارب " وقد اتهمه البخاري بقوله فيه:
منكر الحديث " كما هو معروف عنه. وأما ابن جدعان فهو خير منه بكثير، فمثله
يحتمل أن يقال في إسناده: " مقارب " دون ابن براز. ولكن إن جاز ذلك فيهما
فكيف يجوز لهما أن يقولا ذلك في إسناد الطبراني، وفيه شيخه محمد بن زكريا
الغلابي وهو وضاع عن يحيى بن بسطام وهو مختلف فيه، حتى قال أبو داود
" تركوا حديثه "؟
وللحديث شاهد مرسل، يرويه محمد بن مسلم عن إبراهيم بن ميسرة عن طاووس قال
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره وزاد
".. والرغبة في الدنيا تطيل الهم والحزن
أخرجه ابن أبي الدنيا في " ذم الدنيا " (ق 9/1) : حدثني الهيثم بن خالد
البصري قال: حدثنا الهيثم بن جميل قال: حدثنا محمد بن مسلم
قلت: وهذا إسناد رجاله ثقات غير محمد بن مسلم وهو الطائفي وهو ضعيف لسوء
حفظه
ثم رواه ابن أبي الدنيا (34/2) من طريق إبراهيم بن الأشعث عن الفضيل بن عياض يذكر عن النبي صلى الله عليه وسلم ... فذكره مثل حديث طاووس
قلت: وهذا مع كونه معضلا، فإبراهيم بن الأشعث فيه ضعف من قبل حفظه
وأخرجه القضاعي في " مسند الشهاب " (ق 18/2) عن أبي عتبة أحمد بن الفرج قال: نا بقية بن الوليد عن بكر بن خنيس عن مجاهد عن عبد الله بن عمرو مرفوعا مثله، وزاد
" والبطالة تقسي القلب "
وهذا إسناد ضعيف جدا، لضعف أحمد بن الفرج، وعنعنة بقية فإنه مدلس، وبكر ابن خنيس أورده في " الضعفاء " وقال: قال الدارقطني: متروك
ثم روى ابن أبي الدنيا (10/1) عن عبد الله الداري قال: كان أهل العلم بالله عز وجل والقبول عنه يقولون.. " فذكره دون الزيادة الأخيرة
فهذا هو الصواب في الحديث أنه موقوف من قول بعض أهل العلم، رفعه بعض الضعفاء
عمدا أوسهو ا. والله أعلم