পরিচ্ছেদঃ
১২৮৫। আল্লাহ্ তা’আলা আদন জান্নাতকে তার (নিজ) হাতে তৈরি করেন, একটি ইট সাদা মুক্তার, একটি ইট লাল ইয়াকুত পাথরের, একটি ইট সবুজ যাবারজাদ পাথরের। লেপিবার তরল মাটি হবে মিস্ক। যা’ফারান হবে তার আগাছা (শুষ্কঘাস)। তার পথের (রাস্তার) পাথর হবে মনি-মুক্তা। তার মাটি হবে সুগন্ধযুক্ত। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে বলবেনঃ তুমি কথা বল, সে বলবেঃ মুমিনগণ অবশ্যই সফল হয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ্ বললেনঃ আমার ইজ্জাত ও মর্যাদার কসম কৃপণ ব্যক্তি তোমার মাঝে আমার প্রতিবেশী হবে না। অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিলাওয়াত করলেনঃ "যাদের মানসিক কৃপণতা (সংকীর্ণতা) থেকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে, তারাই হচ্ছে সফলকাম (সূরা হাশ্র : ৯)।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদিসটি ইবনু আবিদ দুনিয়া "সিফাতুল জান্নাহ" গ্রন্থে যেমনটি “আততারগীব” গ্রন্থে (৩/২৪৭, ৪/২৫২) এসেছে, ইবনু কাসীর “তাফসীর” গ্রন্থে (এবং আবু নুয়াইম "সিফাতুল জান্নাহ" গ্রন্থে (৩/১-২) মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ ইবনে কালবী হতে, তিনি ইয়াঈশ ইবনু হুসাইন (আবু নুয়াইমের বর্ণনায় বিশর ইবনু হাসান) হতে, তিনি সাঈদ ইবনু আবু আরূবাহ হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে, তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ কালবীকে হাফিয যাহাবী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না। ইয়াঈশ ইবনু হুসাইন অথবা বিশর ইবনু হাসানকে আমি চিনি না।
خلق الله جنة عدن بيده، لبنة من درة بيضاء، ولبنة من ياقوتة حمراء، ولبنة من زبرجدة خضراء، وملاطها مسك، وحشيشها الزعفران، حصباؤها اللؤلؤ، وترابها العنبر، ثم قال لها: انطقي، قالت: " قد أفلح المؤمنون "، فقال الله عز وجل: وعزتي وجلالي لا يجاورني فيك بخيل، ثم تلا رسول الله صلى الله عليه وسلم: ومن يوق شح نفسه فأولئك هم المفلحون
ضعيف
-
أخرجه ابن أبي الدنيا في " صفة الجنة " كما في " الترغيب " (3/247 و4/252) و" تفسير ابن كثير "، وأبو نعيم في " صفة الجنة " له (3/1 - 2) من طريق محمد بن زياد بن الكلبي: حدثنا يعيش بن حسين (وفي أبي نعيم: بشر بن حسن) عن سعيد بن أبي عروبة عن قتادة عن أنس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
قلت: وهذا إسناد ضعيف محمد بن زياد بن الكلبي، أورده الذهبي في " الضعفاء
وقال: " قال ابن معين: لا شيء
ويعيش بن حسين، أوبشر بن حسن لم أعرفه، وأغلب الظن أنه وقع محرفا في "التفسير " ومنه نقلت، وفي " صفة الجنة " لأبي نعيم كما سبق الإشارة إلى ذلك. والله أعلم