পরিচ্ছেদঃ

১০৪৪। তিনি প্রত্যেক সালাতে এবং জানাযায় তাকবীরের সময় তার দু’হাত উঠাতেন।

হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।

এটি তবারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে (নং ৮৫৮৪) এবং “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৭৭৭) আব্বাদ ইবনু সুহায়েব হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাররার অতঃপর বলেছেনঃ “জানাযায়” কথাটি ইবনু মুহাররার ছাড়া অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। আব্বাদ তা এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। তার সমস্যা হচ্ছে আব্বাদ ইবনু সুহায়েব এবং আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাররার। তারা উভয়ে মাতরুক। হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৩/৩২) বলেনঃ হাদীসটি ত্ববারানী "আল-আওসাত" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাতে ইবনু

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি হায়সামী হতে একটি ত্রুটি। কারণ ইবনু মুহাররার পরিচিত। তবে অত্যন্ত দুর্বল হিসেবে। ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।

দারাকুতনী ও একদল বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। দেখুন “তাহযবুত তাহযীব”।

এছাড়া হায়সামী কর্তৃক শুধুমাত্র তাকে উল্লেখ করে সমস্যা বর্ণনা করা সন্দেহ জাগায় যে, তাতে অন্য কোন সমস্যা নেই। আসলে তা নয়। কারণ আব্বাদ ইবনু সুহায়েবও মাতরূক যেমনটি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। "লিসানুল মীযান" গ্রন্থে তার জীবনী আলোচনা করা হয়েছে।

হাফিয ইবনু হাজার "আত-তালখীস" গ্রন্থে (পৃ ১৭১) বলেছেনঃ তারা দুজন দুর্বল। আর "আল-ফাতহু" গ্রন্থে (৩/১৮৪) বলেছেনঃ হাদীসটির সনদে দুর্বলতা রয়েছে। তাতে তিনি বড় ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। কারণ তারা উভয়েই খুবই দুর্বল এবং হাদীসটি খুবই দুর্বল এরূপ বলা উচিত ছিল। এর সাক্ষ্য দিচ্ছে “আত-তাকরীব” গ্রন্থে তার এ মন্তব্যঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাররার মাতরূক।