পরিচ্ছেদঃ
৯২২। তুমি কাতারে প্রবেশ করোনি কিংবা কোন ব্যক্তিকে টেনে নাওনি যাতে করে সে তোমার সাথে সালাত আদায় করে? অতএব তুমি তোমাল সালাত পুনরায় আদায় করো।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি ইবনুল আরাবী “আল-মুজাম” গ্রন্থে, আবুশ শাইখ “তারীখু আসবাহান” গ্রন্থে এবং আবু নোয়াইম “আখবার আসবাহান” গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু আব্দাওয়ায়েহ সূত্রে কায়েস ইবনুর রাবী’ হতে তিনি আস-সুদ্দী হতে তিনি যায়েদ ইবনু ওয়াহাব হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি খুবই দুর্বল। শাহেদ হওয়ার যোগ্য নয়। কারণ কায়েস দুর্বল। ইবনু আব্দাওয়ায়েহ তার চেয়েও দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার কর্তৃক শুধুমাত্র কায়েসের দ্বারা সমস্যা বর্ণনা করা ক্রটিযুক্ত। হাদীছটি তাবারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তাতে আস-সারীউ ইবনু ইসমাঈল রয়েছেন, তিনি মাতরূক। হায়ছামীও আস-সারীউর সূত্রে আবু ইয়ালার “মুসনাদ” (২/৪৪৫) গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
ফায়েদাঃ যখন সাব্যস্ত হচ্ছে যে হাদীছটি দুর্বল, তখন কাতার হতে কোন ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে তার সাথে কাতার তৈরি করা শরীয়ত সম্মত কথা এরূপ বলাটা সঠিক হবে না। কারণ তাতে সহীহ দলীল ছাড়াই শরীয়ত চালু করা হবে। আর এরূপ করা না জায়েয। বরং ওয়াজিব হচ্ছে এই যে, যদি সম্ভব হয় তাহলে সে কাতারের সাথে মিলে যাবে, অন্যথায় সে একাকী সালাত আদায় করবে। এ অবস্থায় তার সালাত সঠিক হিসাবে গণ্য হবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা কোন ব্যক্তিকে তার সাধ্যের অধিক কষ্ট দেন না। আর কাতারে না মিলে একাকী সালাত আদায় করলে তা পুনরায় আদায় করার নির্দেশ সম্বলিত হাদীছটি সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে ব্যক্তি কাতারে মিলিত হতে ও ফাকা স্থান পূরণ করতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ক্রটি করবে। কাতারে ফাঁকা স্থান না পেয়ে একাকী দাঁড়ালে তা দূষনীয় নয়। অতএব কোন ব্যক্তি কাতারে জায়গা না পেয়ে কাতারের পিছনে একাকী সালাত আদায় করলে তার সালাত বাতিল বলে হুকুম লাগানোটা বোধগম্য নয়। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ তার "আল-ইখতিয়ারাত" (পৃঃ ৪২) গ্রন্থে একই মত দিয়েছেন।
তিনি বলেছেনঃ ওযরের কারণে (কাতারের পিছনে) একাকী সালাত পড়লে তা শুদ্ধ হবে। হানাফীরাও একই কথা বলেছেন। যদি কাতারে স্থান না পায় তাহলে উত্তম হচ্ছে এই যে, সে একাকী দাঁড়াবে। সে সামনের কাতার হতে কাউকে টেনে নিবে না...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সামনের কাতারের খালি স্থান পূর্ণ করা শুধুমাত্র মুস্তাহাব নয়। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি কাতারে মিলিত হয়ে তা পূর্ণ করল, আল্লাহ তাকে রহমতের সাথে মিলিত করবেন। আর যে ব্যক্তি কাতারকে ছিন্ন করল আল্লাহ তাকে তার রহমত হতে বিছিন্ন করবেন।" হক হচ্ছে এই যে, সাধ্য মাফিক কাতারের খালি স্থান পূর্ণ করা ওয়াজিব। তা সম্ভব না হলে একাকী দাঁড়াবে।
ألا دخلت في الصف، أو جذبت رجلا صلى معك؟! أعد صلاتك
ضعيف جدا
-
أخرجه ابن الأعرابي في " المعجم " وأبو الشيخ في " تاريخ أصبهان " وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " من طريق يحيى بن عبدويه: حدثنا قيس بن الربيع عن السدي عن زيد بن وهب عن وابصة بن معبد: " أن رجلا صلى خلف الصف وحده، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: "، فذكره
قلت: ولكن إسناده واه جدا، فلا يصلح للشهادة، فإن قيسا ضعيف، وابن عبدويه أشد ضعفا منه، كما بينته في المصدر المشار إليه آنفا، فأغنى عن الإعادة، فإعلال الحافظ إياه بقيس وحده قصور.
وأفاد أن الطبراني أخرجه أيضا في " الأوسط " فرفعه السري بن إسماعيل وهو متروك، وأما الهيثمي فعزاه لأبي يعلى من طريق السري هذا وهو في " مسنده " (2 / 445) . (فائدة) : إذا ثبت ضعف الحديث فلا يصح حينئذ القول بمشروعية جذب الرجل من الصف ليصف معه، لأنه تشريع بدون نص صحيح، وهذا لا يجوز، بل الواجب أن ينضم إلى الصف إذا أمكن وإلا صلى وحده، وصلاته صحيحة، لأنه (لا يكلف الله نفس إلا وسعها)
وحديث الأمر بالإعادة محمول على ما إذا قصر في الواجب وهو الإنضمام في الصف وسد الفرج وأما إذا لم يجد فرجة، فليس بمقصر، فلا يعقل أن يحكم على صلاته بالبطلان في هذه الحالة، وهذا هو اختيار شيخ الإسلام ابن تيمية، فقال في الاختيارات " (ص 42) : " وتصح صلاة الفذ لعذر، وقاله الحنفية، وإذا لم يجد إلا موقفا خلف الصف، فالأفضل أن يقف وحده ولا يجذب من يصافه، لما في الجذب من التصرف في المجذوب، فإن كان المجذوب يطيعه، فأيهما أفضل له وللمجذوب؟ الاصطفاف مع بقاء فرجة، أو وقوف المتأخر وحده؟ وكذلك لوحضر اثنان، وفي الصف فرجة، فأيهما أفضل وقوفهما جميعا أوسد أحدهما الفرجة، وينفرد الآخر؟ الراجح الاصطفاف مع بقاء الفرجة، لأن سد الفرجة مستحب، والاصطفاف واجب ". قلت: كيف يكون سد الفرج مستحبا فقط، ورسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في الحديث الصحيح: " من وصل صفا وصله الله، ومن قطع صفا قطعه الله "! (1) فالحق أن سد الفرج واجب ما أمكن، وإلا وقف وحده لما سبق. والله أعلم.
(تنبيه) : هذا الحديث لم يورده السيوطي في " الجامع الكبير " البتة