পরিচ্ছেদঃ
৯২০। আল্লাহর যিকর বাদ দিয়ে তোমরা বেশী কথা বল না। কারণ আল্লাহর যিকর বাদ দিয়ে বেশী কথা বলা হৃদয়ের জন্য বক্রতা স্বরূপ। আর আল্লাহর নিকট হতে মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দূরবর্তী ব্যক্তি হচ্ছে কঠোর হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি ইমাম তিরমিযী (২/৬৬), আল-ওয়াহেদী "আল-ওয়াসীত" (১/২৭/২) গ্রন্থে, আবু জাফর আত-তুসী আল-ফাকীহ আশ-শীঈ "আল-আমলী" (পৃঃ ২) গ্রন্থে এবং বাইহাকী “শু’আবুল ঈমান” (২/৬৫/১-২) গ্রন্থে ইবরাহীম ইবনু আবদিল্লাহ হতে তিনি আবদিল্লাহ ইবনু দীনার হতে তিনি ইবনু উমর (রাঃ) হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীছটি হাসান গারীব। একমাত্র ইবরাহীমের হাদীছ হতেই এটিকে চিনি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হচ্ছেন ইবনু আবদিল্লাহ ইবনিল হারেছ ইবনে হাতিব আল-জামহী। ইবনু আবী হাতিম তার জীবনী (১/১১০/১) উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি। হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে এ হাদীছটি তার গারীবগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে বলেছেনঃ তার সম্পর্কে কোন খারাপ মন্তব্য জানি না।
আমি বলছিঃ যদি বলা হয় তার সম্পর্কে কেউ নির্ভরযোগ্য হিসাবে মন্তব্য করেছেন আপনি কি এমন কিছু জানেন? খারাপ মন্তব্য না করা নির্ভরযোগ্য হওয়াকে অপরিহার্য করে না। এ কারণেই ইবনুল কাত্তান তার অবস্থা সম্পর্কে বলেছেনঃ তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না। তা বলে তিনি ঠিকই করেছেন। ইবনু হিব্বান যে তাকে নির্ভরযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন তা তার থিওরীর কারণে! সে সম্পর্কে পূর্বে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে। আর তার এ নির্ভরযোগ্য বলার কারণেই শাইখ আহমাদ শাকের “উমদাতুত তাফসীর” (১/১৬৮) গ্রন্থে তার সনদটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।
হাদীছটি ইমাম মালেক "আল-মুওয়াত্তা" (২/৯৮৬/৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তার নিকট পৌঁছেছে যে, ঈসা (আঃ) এরূপ বলতেন। ৯০৮ নম্বর হাদীছে এটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এটি ইসরাঈলীদের থেকে বর্ণনাকৃত। আর এরূপ কথার জন্য এমন হওয়ায় উপযোগী। এটি আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ নয়।
لا تكثروا الكلام بغير ذكر الله، فإن كثرة الكلام بغير ذكر الله قسوة للقلب، وإن أبعد الناس من الله القلب القاسي
ضعيف
-
أخرجه الترمذي (2 / 66) والواحدي في " الوسيط " (1 / 27 / 2) وأبو جعفر الطوسي الفقيه الشيعي في " الأمالي (ص 2) والبيهقي في " شعب الإيمان " (2 / 65 / 1 - 2) من طريق إبراهيم بن عبد الله بن حاطب عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره، وقال الترمذي: " حديث حسن غريب لا نعرفه إلا من حديث إبراهيم
قلت: وهو ابن عبد الله بن الحارث بن حاطب الجمحي، ترجمه ابن أبي حاتم (1 / 110 / 1) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، وأورده الذهبي في " الميزان " وساق له هذا الحديث من غرائبه، وقال: ما علمت فيه جرحا ". قلت: فقد يقال فهل علمت فيه توثيقا؟ فإن عدم الجرح لا يستلزم التوثيق كما لا يخفى، ولذلك فالأحسن في
الإفصاح عن حاله قول ابن القطان: " لا يعرف حاله ". وأما ابن حبان فذكره في " الثقات " على قاعدته! واغتر به الشيخ أحمد شاكر رحمه الله فصحح إسناده في " عمدة التفسير " (1 / 168)
والحديث رواه الإمام مالك في " الموطأ " (2 / 986 / 8) أنه بلغه أن عيسى بن مريم كان يقول: فذكره بأتم منه من قول عيسى عليه السلام، وقد مضى قريبا (908)
وهذا هو اللائق بمثل هذا الكلام أن يكون مما يرويه أهل الكتاب عن عيسى عليه الصلاة والسلام، وليس من حديث نبينا محمد صلى الله عليه وآله وسلم
(تنبيه) : هذا الحديث لم يورده السيوطي في " الجامع الكبير " مع أنه ذكره في " الزيادة على الجامع الصغير "، ووقع لبعض الأفاضل فيه وهم فاحش، سبق بيانه هناك