পরিচ্ছেদঃ
৮৯০। যে ব্যক্তি বেশী করে আল্লাহর যিকর করে না, সে ঈমান হতে মুক্ত হয়ে গেছে।
হাদীছটি জাল।
মুনযেরী "আত-তারগীব" (২/২৩১) গ্রন্থে বলেনঃ তাবারানী “আল-আওসাত” এবং “মুজামুস সাগীর” গ্রন্থে আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-এর হাদীছ হতে বর্ণনা করেছেন। হাদীছটি গারীব। হায়ছামী "আল-মাজমা" (১০/৭৯) গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি তাবারানী "আল-আওসাত" এবং “মুজামুস সাগীর” গ্রন্থে তার শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সাহল ইবনিল মুহাজির হতে তিনি মুয়াম্মাল ইবনু ইসমাইল হতে বর্ণনা করেছেন। "আল-মীযান" গ্রন্থে এসেছেঃ মুহাম্মাদ ইবনু সাহল মুয়াম্মাল ইবনু ইসমাঈল হতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনাকারী। তিনি যদি ইবনুল মুহাজির হন তাহলে তিনি দুর্বল। আর যদি অন্য কেউ হন তাহলে তার হাদীছ হাসান!
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাফিয ইবনু হাজার বলেছেনঃ বরং হাদীছটি উভয় অবস্থায় বানোয়াট। মাজহুল বর্ণনাকারী যখন এককভাবে বর্ণনা করেন তখন তার হাদীছ কোন অবস্থাতেই হাসান হতে পারে না। এ কথাটি ভাল। যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে যে বলেছেনঃ তিনি হচ্ছেন ইবনু সাহল, তাকে ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে সমর্থন করেছেন। তিনি তার হাদীছটি উল্লেখ করে আরো বলেছেন, স্পষ্টত এটি বানোয়াট। জানা দরকার যে, তাবারানী হাদীছটি “আস-সাগীর” গ্রন্থে এ বাক্যে বর্ণনা করেননি। বরং তাতে বলা হয়েছেঃ "যে ব্যক্তি বেশী বেশী আল্লাহর যিকর করবে সে নিফাক হতে মুক্ত হয়ে যাবে।" দুটির মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট। যদিও তাবারানীর নিকট উভয়টির সনদ একই। তিনি এই মিথ্যার দোষে দোষী মুহাম্মাদ ইবনু সাহল হতেই বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি দ্বিতীয় শব্দে এককভাবে বর্ণনা করেননি। অন্য সূত্রেও মুয়াম্মাল ইবনু ইসমাঈল হতে বর্ণনা করেছেন।
তবে দ্বিতীয় শব্দের সমস্যা হচ্ছে এই মুয়াম্মাল ইবনু ইসমাঈল। কারণ তার হেফযে ক্রটি থাকায় এবং তার বেশী ভুল হওয়ায় তিনি দুর্বল। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, সুন্নাতের ব্যাপারে কঠোর, তবে বহু ভুলকারী। ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। আবু যুর’আহ বলেনঃ তার হাদীছের মধ্যে বহু ভুল আছে। এর দ্বারা স্পষ্ট হচ্ছে এই যে, হাদীছটি প্রথম বাক্যে বানোয়াট যেমনটি ইবনু হাজার বলেছেন আর দ্বিতীয় বাক্যে দুর্বল।
من لم يكثر ذكر الله تعالى قد برىء من الإيمان
موضوع
-
قال المنذري في " الترغيب " (2 / 231) : " رواه الطبراني في " الأوسط " و" الصغير " من حديث أبي هريرة، وهو حديث غريب ". وقال الهيثمي في " المجمع " (10 / 79) : " رواه الطبراني في " الصغير، و" الأوسط " عن شيخه محمد بن سهل بن المهاجر عن مؤمل بن إسماعيل، وفي " الميزان ": " محمد بن سهل عن مؤمل بن إسماعيل يروي الموضوعات
فإن كان هو ابن المهاجر فهو ضعيف، وإن كان غيره فالحديث حسن "! قلت: وعلق عليه الحافظ ابن حجر بما نصه: " بل هو موضوع على الحالين، والمجهول إذا انفرد (الأصل إذ) لم يكن حديثه حسنا بحال ". وهذا كلام جيد. وما قاله الذهبي في " الميزان " في ابن سهل هذا أقره عليه الحافظ في " اللسان ". وزاد عليه أنه ساق له هذا الحديث، وهو ظاهر الوضع
مما ينبغي أن يعلم أن الحديث لم يرو هـ الطبراني في " الصغير " بهذا اللفظ، خلافا لما يوهمه صنيع المنذري ثم الهيثمي، بل بلفظ: " من أكثر ذكر الله فقد بريء من النفاق ". ص (203) وفرق ظاهر بين اللفظين، وإن كان مدارهما على إسناد واحد عند الطبراني، يرويهما عن شيخ واحد هو محمد بن سهل هذا المتهم، ولكنه لم ينفرد باللفظ الثاني، فقد أخرجه أبو محمد المخلدي في " الفوائد المنتخبة " (3 / 1 / 2) ومحمد بن الحسن الأزدي في " أحاديث منتقاة " (ق 2 / 1 - 2) وأبو موسى المديني في " اللطائف " (ق 81 / 2) من طرق أخرى عن مؤمل بن إسماعيل به، فبرئت عهدة ابن سهل من هذا اللفظ الثاني، وانحصرت التهمة به في اللفظ الأول. وعلة اللفظ الثاني هو هذا الذي دارت عليه الطرق
مؤمل ابن إسماعيل فإنه ضعيف لسوء حفظه وكثرة خطإه، قال أبو حاتم: " صدوق شديد في السنة كثير الخطأ ". وقال البخاري: " منكر الحديث ". وقال أبو زرعة: " في حديثه خطأ كثير "، ومن هذا التحقيق يتلخلص أن الحديث بلفظه الأول موضوع، كما قال الحافظ بن حجر، وبلفظه الثاني ضعيف. ولقد أحسن السيوطي صنعا حيث أورده في " الجامع الصغير " من رواية " صغير الطبراني " دون اللفظ الآخر، والله الموفق
وفي باب ذكر الله تعالى والإكثار منه وفضله أحاديث كثير مجموعة في " الترغيب " وغيره تغني عن مثل هذا الحديث