পরিচ্ছেদঃ
৮৮৬। আল্লাহ তা’আলা মুমিন ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন ডাক দিয়ে তাকে তাঁর সম্মুখে দাঁড় করবেন। অতঃপর বলবেনঃ হে আমার বান্দা! তোমাকে আমি আমাকে ডাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। আর আমি তোমাকে ওয়াদা দিয়েছিলাম তোমার ডাকে সাড়া দেয়ার। তুমি কি আমাকে ডেকেছিলে? বান্দা বলবেঃ জি হ্যাঁ হে আমার প্রভু! আল্লাহ বলবেলঃ সাবধান! তুমি যখনই আমাকে ডেকেছো তখনই আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। তুমি কি তোমার উপর নাযিল হওয়া বিপদের চিন্তা হতে আমি যাতে তোমাকে মুক্ত করি সেজন্য উমুক উমুক দিন আমাকে ডাকনি? অতঃপর আমি তোমাকে বিপদ মুক্ত করিনি? বান্দা বলবেঃ জি হ্যাঁ হে আমার প্রভু! আল্লাহ বলবেনঃ আমি দুনিয়াতেই তোমার জন্য তা দেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করেছি। আর তুমি কি তোমার উপর নাযিল হওয়া বিপদের চিন্তা হতে আমি যাতে তোমাকে মুক্ত করি সেজন্য উমুক উমুক দিন আমাকে ডাকনি? অতঃপর তুমি তা হতে মুক্ত হতে পারেনি? জি হ্যাঁ হে আমার প্রভু! আল্লাহ বলবেনঃ তার পরিবর্তে তোমার জন্য আমি জান্নাতে এরূপ এরূপ বস্তু রক্ষিত করেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তার মুমিন বান্দার কৃত দোআ তার নিকট বর্ণনা না করে ছাড়বেন না। হয় তার জন্য দুনিয়াতেই তার জন্য তার ফলাফল দিয়ে দিয়েছেন। না হয় তাকে আখেরাতে প্রতিফল দেয়ার জন্য জমা রেখেছেন। তিনি আরো বলেনঃ মুমিন ব্যক্তি সেই স্থানে বলবে, হায় আফসুস। যদি দুনিয়াতে তার দো’আর কোন অংশেরই প্রতিফল দ্রুত না দিতেন।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি হাকিম (১/৪৯৪) ফাযল ইবনু ঈসা হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে তিনি জাবের (রাঃ) হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এ হাদীছটি ফাযল ইবনু ঈসা আর-রুকাশী এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তার অবস্থা এই যে তাকে জাল করার দোষে দোষী করা হয়নি। হাফিয যাহাবী তার কথাকে স্বীকার করেছেন আর মুনযেরী তার পূর্বেই (২/২৭২) তাকে সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তারা উভয়ে কিছুই করেননি। কারণ তিনি জাল করার দোষে দোষী না হলেও সকলে তার দুর্বল হওয়ার বিষয়ে একমত। হাফিয যাহাবী তাকে “আল-মীযান” গ্রন্থে উল্লেখ করে নিজে তার সম্পর্কে বলেছেনঃ তাকে মুহাদ্দিছগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর তিনি তার সম্পর্কে ইমামদের ভাষ্যগুলো উল্লেখ করেছেন। তিনি তার "আল-মুগনী" গ্রন্থে বলেনঃ সকলের ঐকমত্যে তিনি দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার মত ব্যক্তির হাদীছ "আল-মুসতাদরাক আলাস সাহীহায়েন" গ্রন্থে উল্লেখ করা ভাল হয়নি।
يدعوالله بالمؤمن يوم القيامة حتى يوقفه بين يديه، فيقول: عبدي! إني أمرتك أن تدعوني، ووعدتك أن أستجيب لك، فهل كنت تدعوني؟ فيقول: نعم يا رب! فيقول: أما إنك لم تدعني بدعوة إلا استجيب لك، فهل ليس دعوتني يوم كذا وكذا لغم نزل بك أن أفرج عنك، ففرجت عنك؟ فيقول: نعم يا رب! فيقول: فإني عجلتها لك في الدنيا، ودعوتني يوم كذا وكذا لغم نزل بك أن أفرج عنك فلم تر فرجا؟ قال: نعم يا رب! فيقول: إني ادخرت لك بها في الجنة كذا وكذا، قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فلا يدع الله دعوة دعا بها عبده المؤمن إلا بين له، إما أن يكون عجل له في الدنيا وإما أن يكون ادخر له في الآخرة، قال: فيقول المؤمن في ذلك المقام، يا ليته لم يكن عجل له في شيء من دعائه
ضعيف
-
أخرجه الحاكم (1 / 494) عن الفضل بن عيسى عن محمد بن المنكدر عن جابر رضي الله عنهما مرفوعا، وقال: " هذا حديث تفرد به الفضل بن عيسى الرقاشي، ومحله محل من لا يتهم بالوضع ". وأقره الذهبي، ووافقه من قبله المنذري (2 / 272)
قلت: ولم يصنعا شيئا، فإنه إن لم يكن متهما فقد اتفقوا على تضعيفه، والذهبي نفسه أورده في " الميزان " وقال فيه: " ضعفوه ". ثم ساق أقول الأئمة في ترجيحه وقال في كتابه " المغني ": " مجمع على ضعفه ". وقال فيه الحافظ في " التقريب ": " منكر الحديث
قلت: فمثله لا يحسن إيراد حديثه في " المستدرك على الصحيحين " كما لا يخفى. والحديث رواه أبو نعيم في " الحلية " (6 / 208) من هذا الوجه بلفظ: " إن الله يدعو بعبده يوم القيامة ... " الحديث مختصرا وفي آخره: " حتى يقول العبد ليته لم يستجب لي في الدنيا دعوة