পরিচ্ছেদঃ
৮০৩। কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিই তৃষ্ণায় নিপতিত হবে।
হাদীছটি জাল।
এটি আল-খাতীব (৩/৩৫৬) মুহাম্মাদ ইবনু হারূন ইবনে বুরইয়াহ আল-হাশেমী সূত্রে আস-সারিউ ইবনু আসেম হতে তিনি ইবনুস সাম্মাক হতে তিনি আল-হায়ছাম ইবনু জামায হতে তিনি ইয়াযীদ আর-রুকাশী হতে বর্ণনা করেছেন।
আল-খাতীব বলেনঃ ইবনু বুরইয়াহর হাদীছে বহু মুনকার রয়েছে। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি কিছুই না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আল-খাতীব অন্যত্র (৭/৪০৩) বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীছ, তাকে জাল করার দোষে দোষী করা হয়। ইবনু আসাকির বলেনঃ তিনি হাদীছ জালকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি এককভাবে বর্ণনা করেননি। আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়্যাহ" (৩/৫৪,৮/২১৬) গ্রন্থে আলী ইবনুল মুবারাক আল-মাসরুরী হতে ... বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই মাসরুরী দ্বারা সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায় না। আল-খাতীব (১২/১০৫১০৬) তার হেফযে ক্রটি থাকার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আর হাফিয যাহাবী মিথ্যা হাদীছ দ্বারা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থের “আল-ফাযায়েল” অধ্যায়ে হাদীছটি উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া বর্ণনাকারী আস-সারিউ ইবনু আসেমকে ইবনু খাররাশ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর নাক্কাশ তাকে হাদীছ জাল করার দোষে দোষী করেছেন। যাহাবী তার কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করে বলেছেনঃ এগুলো তার বিপদ ও মুসীবত।
তাছাড়া হায়ছাম ইবনু জামায মাতরূক যেমনটি নাসাঈ ও আস-সাজী বলেছেন। বরং আল-বারকী তাকে মিথ্যুকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আর ইয়াযীদ আর-রুকাশী দুর্বল।
জানি না কিভাবে সুয়ূতী হাদীছটিকে “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে আবু নোয়াইমের বর্ণনায় উল্লেখ করা জায়েয মনে করলেন। অথচ তাতে সেই সব মিথ্যুক এবং দুর্বল বর্ণনাকারীগণ রয়েছেন।
كل من ورد القيامة عطشان
موضوع
-
رواه الخطيب (3 / 356) من طريق محمد بن هارون بن برية الهاشمي قال: حدثنا السري بن عاصم: حدثنا ابن السماك: حدثنا الهيثم بن جماز قال: دخلت على يزيد الرقاشي في يوم شديد حر. فقال: ادخل يا هيثم! ادخل ادخل، حتى نبكي على الماء البارد، وقد عطش نفسه أربعين سنة، ثم قال: حدثني أنس بن مالك فذكره مرفوعا. وقال: " ابن برية في حديثه مناكير كثيرة، قال الدارقطني: لا شيء
قلت: وقال الخطيب في مكان آخر (7 / 403) : " ذاهب الحديث يتهم بالوضع ". وقال ابن عساكر: " يضع الحديث ". كما يأتي قريبا تحت الحديث (806)
قلت: لكنه لم يتفرد به، فقد أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (6 / 54، 8 / 216) عن علي بن المبارك المسروري (وفي الموضع الآخر، المروزي وهو تصحيف) حدثنا السري بن عاصم به. لكن المسروري هذا لا يستشهد به، فقد ترجمه الخطيب (12 / 105 - 106) وأشار إلى سوء حفظه، ولكن الذهبي اتهمه بخبر كذب. قال الحافظ في " اللسان ": " والخبر المذكور في " الفضائل " من كتاب " الموضوعات " لابن الجوزي
ثم إن السري بن عاصم كذبه ابن خراش، واتهمه النقاش بأنه وضع حديثا. وذكر له الذهبي أحاديث وصفها بأنها من بلاياه ومصائبه، منها الحديث الآتي عقب هذا. والهيثم بن جماز متروك كما قال النسائي والساجي، بل ذكره البرقي في الكذابين. ويزيد الرقاشي ضعيف
فلا أدري كيف استجاز السيوطي أن يورد هذا الحديث في " الجامع الصغير " من رواية أبي نعيم، مع ما في سنده من هؤلاء الكذابين والضعفاء! ومن هذا الوجه أخرجه ابن عساكر في " تاريخ دمشق (18 / 115 / 1) . ثم رواه من طريق أخرى عن السري بن عاصم به. فهذه ثلاث طرق إلى السري فهو آفة الحديث، إن سلم من الهيثم. والله أعلم