পরিচ্ছেদঃ
৭৪৭। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার ফয়সালা ও আমার দেয়া তকদীরে সম্ভষ্ট হবে না, সে যেন আমাকে বাদ দিয়ে অন্য প্ৰভু তালাশ করে।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটিকে সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে আনাস (রাঃ) হতে বাইহাকীর “আশ-শু’আব” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) ইবনু আসাকিরের “আত-তাজরীদ” গ্রন্থের চতুর্থ খণ্ডে (৪/১-২) এটির সনদ সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। তিনি বাইহাকীর সূত্রে হাকিম হতে লাইছ আল-লাইছ আস-সাদূসী হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আলী ইবনু ইয়াযীদ আল-জুরজানী এবং তার শাইখ ইসাম ইবনুল লাইছ সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাদের দু’জনকে চেনা যায় না। তিনি বলেনঃ হাদীছটি আবু সা’আদ ইবনুস সাম’আনী “আল-আনসাব” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এ সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন, তার কোন ভিত্তি নেই।
যাহাবী আলী ইবনু ইয়াযদাদীর জীবনীতেও বলেনঃ তিনি ইবনু আদীর শাইখ, মিথ্যার দোষে দোষী। তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বহু বিপদ বর্ণনা করেছেন। ইবনু হাজার তার বক্তব্যকে “আল-লিসান” গ্রন্থে সমর্থন করেছেন। দুর্বলতার দিক দিয়ে এ সনদের ন্যায় অন্য সনদেও বর্ণিত হয়েছে। সেটি সম্পর্কে ৪৯৪ নং হাদীছে আলোচনা করা হয়েছে।
قال الله تعالى: من لم يرض بقضائي وقدري فليلتمس ربا غيري
ضعيف جدا
-
عزاه السيوطي في " الجامع الصغير " للبيهقي في " الشعب " عن أنس. ولم يتكلم عليه شارحه المناوي بشيء، وكأنه لم يقف على سنده، وقد وجدته في الجزء الرابع من " التجريد " لابن عساكر، رواه (4 / 1 - 2) من طريق البيهقي عن الحاكم بسنده عن علي بن يزداد الجرجاني - وكان قد أتي عليه مائة وخمس وعشرون سنة - قال: سمعت عصام بن الليث الليثي السدوسي - من بني فزارة في البادية - قال: سمعت أنس بن مالك يقول: فذكره مرفوعا. قلت: وهذا إسناد ضعيف، علي بن يزداد الجرجاني قال الذهبي في ترجمة شيخه عصام بن الليث: " لا يعرفان
وساق له في " اللسان " هذا الحديث من طريق الحاكم ثم قال: " أخرجه أبو سعد ابن السمعاني في " الأنساب " وقال: " هذا إسناد مظلم لا أصل له
وقال الذهبي أيضا في ترجمة علي بن يزداد الجرجاني: " شيخ لابن عدي متهم، روى عن الثقات أو ابد ". وأقره في " اللسان ". فالإسناد ضعيف جدا، وقد روي بإسناد آخر مثله في الضعف، وقد مضى برقم (494)