পরিচ্ছেদঃ
৭১৯। কোন ব্যক্তির মধ্যে দশটি উত্তম চরিত্র একত্রিত হলে তার ছেলের মধ্যে তা হয় না। আবার ছেলের মধ্যে থাকলে তার পিতার মধ্যে তা দেখা যায় না। দাসের মধ্যে থাকলে তার মুনীবের মধ্যে থাকে না। আল্লাহ সেগুলোকে ঐ ব্যক্তির জন্য বন্টন করেছেন যে ব্যক্তি সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেঃ হাদীছকে সত্য জানা, শাস্তি কে সত্য জানা, জবানকে হেফাযাত করা, কোন ব্যক্তি কিছু চাইলে দান করা, কর্মের প্রতিদান দেয়া, আমানতকে আদায় করা, আত্মীয়তার সম্পর্ককে রক্ষা করা, প্রতিবেশীর জন্য অন্যের নিন্দা করা, সঙ্গীর জন্য অন্যের নিন্দা করা, মেহমানদারী করা আর সবগুলোর মূল হচ্ছে লজ্জা (হায়া)।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটিকে তাম্মাম "আল-ফাওয়ায়েদ" (১৫/১০২/১) গ্রন্থে ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ সূত্রে ছাবেত ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি আওযাঈ হতে ... বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি খুবই দুর্বল। এই ওয়ালীদ সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। তাকে আবু হাতিম শক্তিশালী আখ্যা দিয়েছেন। অন্য বিদ্বানগণ বলেছেনঃ তিনি মাতরূক। ইবনু হিব্বান এবং উকায়লী তাকে নিতান্তই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার বানোয়াট হাদীছ রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত বানোয়াট বলার দ্বারা এ হাদীছটির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে ওয়ালীদের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান "আয-যোয়াফা" গ্রন্থে বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষ্য হতে হাদীছটির কোন ভিত্তি নেই। তিনি ওয়ালীদ সম্পর্কে বলেনঃ তিনি ইবনু ছাওবান এবং ছাবেত ইবনু ইয়াযীদ হতে আজব আজব বস্তু বর্ণনা করেছেন। হাদীছটি হাকিম ও বাইহাকী “আশ-শু’আব” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাকিম বলেছেনঃ ছাবেত ইবনু ইয়াযীদ মাজহুল। ইবনুল জাওযী বলেনঃ হাদীছটি সহীহ নয়। সম্ভবত এটি সালাফদের কারো ভাষ্য। ছাবেত ইবনু ইয়াযীদকে ইয়াহইয়া দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
مكارم الأخلاق عشرة تكون في الرجل ولا تكون في ابنه، وتكون في الابن ولا تكون في أبيه، وتكون في العبد ولا تكون في سيده، فقسمها الله عز وجل لمن أراد السعادة: صدق الحديث، وصدق البأس، وحفظ اللسان، وإعطاء السائل، والمكافأة بالصنائع، وأداء الأمانة، وصلة الرحم، والتذمم للجار، والتذمم للصاحب، وإقراء الضيف، ورأسهن الحياء
ضعيف جدا
-
تمام في " فوائده " (15 / 102 / 1) من طريق الوليد بن الوليد قال: حدثني ثابت بن يزيد عن الأوزاعي عن الزهري عن عروة عن عائشة مرفوعا
وهذا إسناد ضعيف جدا، الوليد هذا هو الدمشقي، قال الذهبي: " منكر الحديث وقواه أبو حاتم، وقال غيره: متروك، ووهاه العقيلي وابن حبان، وله حديث موضوع
قلت وكأنه يعني هذا الحديث فقد قال الحافظ في ترجمة الوليد هذا من " اللسان " بعد أن ذكر أن ابن حبان أورده في " الضعفاء ": " وأورد له عن الأوزاعي عن الزهري عن عروة عن عائشة خبرا قال فيه: لا أصل له من كلام النبي صلى الله عليه وسلم ". والظاهر أنه يعني هذا. ثم تأكدت من هذا الذي استظهرته، فقد رأيت ابن حبان قد ساق الحديث في ترجمة الوليد من كتابه " الضعفاء والمجروحين "، قال في الحديث ما سبق نقله عن الحافظ، وقال في الوليد: " يروي عن ابن ثوبان وثابت بن يزيد العجائب
ثم إن الظاهر أيضا من كلامهم أن الوليد كان يرويه تارة عن الأوزاعي مباشرة وتارة يدخل بين نفسه وبين الأوزاعي ثابت بن يزيد، فقد قال الذهبي في ترجمة " ثابت " هذا بعد أن ساق الحديث: " رواه الحاكم والبيهقي في " الشعب " وقال الحاكم: " ثابت بن يزيد الذي أدخله الوليد بينه وبين الأوزاعي مجهول وينبغي أن يكون الحمل عليه
وقال البيهقي: وروي من وجه آخر عن عائشة موقوفا وهو أشبه ". وصرح المناوي بشدة ضعف المرفوع، ونقل عن ابن الجوزي أنه قال: " لا يصح، ولعله من كلام بعض السلف، وثابت بن يزيد ضعفه يحيى