পরিচ্ছেদঃ
৬৭৮। তিনি [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মহিলাকে তার মাথা নেড়া করতে নিষেধ করেছেন।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি নাসাঈ (২/২৭৬), তিরমিযী (১/১৭২), তাম্মাম “আল-ফাওয়ায়েদ” (নং ২২৭৪) গ্রন্থে এবং আব্দুল গনী আল-মাকদেসী “আস-সুনান” (কাফ ২/১৭৪) গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে হুমাম হতে তিনি কাতাদাহ হতে তিনি খাল্লাস ইবনু আমর হতে তিনি আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর তিরমিযী আবু দাউদ আত-তায়ালিসী সূত্রে হুমাম হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তাতে আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত কথাটি বলেননি। তিনি (তিরমিয়ী) বলেছেনঃ আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীছটির সনদে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। তিরমিয়ী হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে তিনি কাতাদাহ হতে তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইযতিরাব ঘটেছে হুমাম হতেই। তিনি একবার বর্ণনা করেছেন মুসনাদে আলী (রাঃ) হতে আরেকবার মুসনাদে আয়েশা (রাঃ) হতে। তবে এটিই বেশী সঠিক, হাম্মাদ কর্তৃক মুতাবা’য়াত থাকার কারণে। যেমনটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
আব্দুল হক "আল-আহকাম" গ্রন্থে বলেনঃ হিশাম আদ-দাসতুওয়াঈ এবং হাম্মাদ ইবনু সালামাহ তার বিরোধিতা করে কাতাদাহ হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে তিনি আসলেই তার সনদে আয়েশা (রাঃ)-কে উল্লেখ করেননি। এটি ইযতিরাবের আরেকটি কারণ যেমনটি সেদিকে তিরমিয়ী ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্য কারণ হচ্ছে এই যে, এটি মুনকাতি। কারণ কাতাদাহ আয়েশা হতে শ্রবণ করেননি। এ ইযতিরাব হাদীছটিকে শক্তিশালী হওয়ার ব্যাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এ কারণেই ইমাম তিরমিযী শিথিলতা প্রদর্শনকারী হওয়া সত্ত্বেও হাদীছটিকে হাসান বলেননি।
ইবনু আদীর "আল-কামিল” (কাফ ১/৩৮৯) গ্রন্থে মুয়াল্লা ইবনু আবদির রহমান হতে ... বর্ণনাকৃত হাদীছটিও এটিকে শক্তিশালী করে না। কারণ মুয়াল্লা খুবই দুর্বল। যদিও ইবনু আদী বলেছেন যে, আশা করি তার মধ্যে কোন সমস্যা নেই। আমি (আলবানী) বলছিঃ তার এ আশা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তিনি নিজেই (৩/২৬৩) গ্রন্থে বলেনঃ হাদীছটি বাযযার মুয়াল্লা ইবনু আবদির রহমান হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি জাল করার দোষে প্রসিদ্ধ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দারাকুতনী বলেনঃ তিনি দুর্বল, মিথ্যুক। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীছ। ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তিনি হাদীছ জাল করতেন। আবু যুর’আহ বলেনঃ তিনি যাহেবুল হাদীছ। ইমাম বাযযার আরেকটি সূত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তাতে রাওহ ইবনু আতা রয়েছেন। ইমাম আহমাদ তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। তাকে ইবনু মাঈন দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আদী বলেনঃ তার বর্ণনাতে কোন সমস্যা দেখছি না। এ ছাড়া বর্ণনাকারী ওয়াহাব ইবনু উমায়ের রয়েছেন। তিনি মাজহুল।
আরেক বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু ইউসুফ আস-ছাকাফীকে আমি চিনি না। সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। এরূপ হাদীছ দ্বারা আলোচ্য হাদীছটিকে শক্তিশালী করা যায় না।
نهى أن تحلق المرأة رأسها ".
ضعيف
-
أخرجه النسائي (2 / 276) والترمذي (1 / 172) وتمام في " الفوائد " (رقم 2274 - نسختي) وعبد الغني المقدسي في " السنن " (ق 174 / 2) من طرق عن همام عن قتادة عن خلاس بن عمرو عن علي قال: فذكره مرفوعا
ثم رواه الترمذي من طريق أبي داود الطيالسي عن همام نحوه، ولم يذكر فيه عن علي. وقال: " حديث علي فيه اضطراب، وروي عن حماد بن سلمة عن قتادة عن عائشة أن النبي صلى الله عليه وسلم نهى
قلت: والاضطراب المذكور إنما هو من همام، فكان تارة يجعله من مسند علي، وتارة من مسند عائشة، وهذا
أصح، لمتابعة حماد عليه كما ذكره الترمذي. وقال عبد الحق: في " أحكامه " بعد أن ذكره من الوجه الأول عنه: " وخالفه هشام الدستوائي وحماد بن سلمة، فروياه عن قتادة عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا
قلت: وهذا ظاهره أنه لم يذكر عائشة في إسناده أصلا، وعليه فهو وجه آخر من الاضطراب الذي أشار إليه الترمذي. وعلى الوجه الثاني فهو منقطع. لأن قتادة لم يسمع من عائشة فهذا الاضطراب يمنع من تقوية الحديث، ولذلك لم يحسنه الترمذي، مع ما عرف به من التساهل. ولا يقويه ما أخرجه ابن عدي في " الكامل " (ق 389 / 1 - منتخبه) عن معلى بن عبد الرحمن
حدثنا عبد الحميد بن جعفر عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة به، لأن المعلى هذا شديد الضعف، ومن طريقه أخرجه البزار في " مسنده " وقال: " روى عن عبد الحميد أحاديث لم يتابع عليها، ولا نعلم أحدا تابعه على هذا الحديث ". ذكره في " نصب الراية " (3 / 95) . وقال الهيثمي في " المجمع " (3 / 263) : " رواه البزار، وفيه معلى بن عبد الرحمن وقد اعترف بالوضع
وقال ابن عدي: أرجوأنه لا بأس به "! قلت: هذا رجاء ضائع بعد اعترافه بالوضع، وقد قال فيه الدارقطني: " ضعيف كذاب ". وقال أبو حاتم: " متروك الحديث ". وذهب ابن المديني إلى أنه كان يضع الحديث. وقال أبو زرعة: " ذاهب الحديث " كما في " الميزان
فهذه النقول عن هؤلاء الأئمة الفحول، دليل على أن ابن عدي وغيره ممن أثنى عليه لم يعرفه. وروى البزار أيضا قال: حدثنا عبد الله بن يوسف الثقفي: حدثنا روح بن عطاء بن أبي ميمونة: حدثنا أبي عن وهب بن عمير قال: سمعت عثمان يقول: فذكره مرفوعا وقال: " وهب بن عمير لا نعلمه روى غير هذا الحديث، ولا نعلم حدث عنه إلا عطاء بن أبي ميمونة، وروح ليس بالقوي
قلت: روح قال فيه أحمد: " منكر الحديث ". وضعفه ابن معين. وأما ابن عدي فقال: ما أرى برواياته بأسا. ووهب ابن عمير، أورده ابن أبي حاتم (4 / 2 / 24) من رواية عطاء عنه عن عثمان ولم يذكر فيه جرحا ولا
تعديلا. فهو مجهول. وعبد الله بن يوسف الثقفي لم أعرفه، فهو إسناد مظلم، ولذلك فلم ينشرح القلب لتقوية الحديث بمثله. والله أعلم