পরিচ্ছেদঃ
৬৭৪। ধোঁকপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রশংসিত নয় আর ছাওয়াবের ভাগীদারও নয়।
হাদীছটি দুর্বল।
এটির দুটি সূত্র বর্ণিত হয়েছেঃ
১। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। এটিকে আল-খাতীব "আত-তারীখ" (৪/২১২) গ্রন্থে আবুল কাসেম আল-আবান্দূনী হতে তিনি আহমাদ ইবনু তাহের বাগদাদী হতে তিনি জাফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে তিনি তার পিতা হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আল-খাতীব বলেনঃ আমি আল-আবান্দূনী হতে শুনেছি, তাকে তার শাইখের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেনঃ তাকে যদি বলা হতো আপনাকে আবু বাকর (রাঃ) হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তাহলে তিনি বলতেনঃ জি হ্যাঁ। তিনি তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
তার থেকে আরেকটি সূত্র রয়েছে। বাগাবী “হাদীছু কামিল ইবনু তালহাহ" (২/২) গ্রন্থে, আবু হাফস আল-কাত্তানী তার "জুযউম মিন হাদীছ" (২/৪১) গ্রন্থে, আবুল কাসেম আস-সামারকান্দী “মা কারুবা সানাদুহু” (৪/১) গ্রন্থে, ইবনু আসাকির তার “আত-তারীখ” (৪/২৬৫/১) গ্রন্থে আবু হাশিম আল-কানাদ আল-বাসরী সূত্রে হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ) হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাফিয যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে আবু হাশিমের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ তাকে চেনা যায় না, তার হাদীছ মুনকার। অতঃপর তিনি তার এ হাদীছটি উল্লেখ করেছেন। তার বক্তব্যকে হাফিয ইরাকী (২/৭৩) সমর্থন করেছেন।
২। হুসাইন ইবনু আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। এটিকে ইমাম বুখারী “আত-তারীখুল কাবীর” (৪/১/১৫২) গ্রন্থে এবং তাবারানী (১/২৭২/২) তালহাহ ইবনু কামিল হতে তিনি মুহাম্মাদ ইবনু হিশাম হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মুহাম্মাদ ইবনু হিশাম ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারী সকলেই নির্ভরযোগ্য, তাকে আমি চিনি না। হতে পারে তিনি ইবনু উরওয়াহ। তিনি যদি ইবনু উরওয়াহ হন তাহলে তিনি মাজহুল। ইবনু আবী হাতিম তার জীবনী (৪/১/১১৬) আলোচনা করেছেন অথচ তার সম্পর্কে ভাল-মন্দ কিছুই বলেননি। হায়ছামী তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আমি হাদীছটি “তারীখু ইবনে আসাকির” (১৫/১৮৫/২) গ্রন্থে এ সূত্রেই পেয়েছি। তিনি বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু হিশাম আল-কানাদ । এ দ্বারা স্পষ্ট হচ্ছে যে, তিনি ইবনু উরওয়াহ নন। কিন্তু এই কানাদকে আমি চিনি না।
المغبون لا محمود ولا مأجور
ضعيف
-
وله طريقان: الأول: عن علي، أخرجه الخطيب في " تاريخه " (4 / 212) عن أبي القاسم الأبندوني عن أحمد بن طاهر بن عبد الرحمن أبي الحسن البغدادي بسنده عن جعفر بن محمد عن أبيه عن جده عن علي، وقال الخطيب:
سمعت الأبندوني وقد سئل عن حال شيخه هذا؟ فقال
لو قيل [له] حدثكم أبو بكر الصديق، لقال نعم، وضعفه ". وله عنه طريق آخر، أخرجه البغوي في " حديث كامل بن طلحة " (2 / 2) وأبو حفص الكتاني في " جزء من حديثه " (41 / 2) وأبو القاسم السمرقندي في ما قرب سنده " (4 / 1) وعنه ابن عساكر في " تاريخه " (4 / 265 / 1) والشيخ علي بن الحسن العبدي في " جزئه " (156 - 157) وابن عساكر أيضا (4 / 265 / 1) و (5 / 6 / 1) كلهم من طريق أبي هاشم القناد البصري عن الحسين بن علي بن أبي طالب عن أبيه مرفوعا. وهكذا أخرجه الخطيب (4 / 180) وكذا أبو يعلى إلا أنه لم يقل: " عن أبيه " فهو عنده من مسند الحسن بن علي كما ذكره الهيثمي (4 / 75 - 76) ومن قبله الذهبي في ترجمة أبي هشام هذا من كنى " الميزان " وقال: " لا يعرف، وخبره منكر
ثم ساق هذا الحديث، وأقره الحافظ العراقي (2 / 73) . الثاني: عن الحسن بن علي رضي الله عنهما. أخرجه البخاري في " التاريخ الكبير " (4 / 1 / 152) والطبراني (1 / 272 / 2) عن طلحة بن كامل عن محمد بن هشام عن عبد الله بن الحسن بن الحسن عن أبيه عن جده مرفوعا.
قلت: ورجاله موثقون غير محمد بن هشام فلم أعرفه، ويحتمل أن يكون هو محمد بن هشام بن عروة، فإن يكن هو، فهو مجهول، ترجمه ابن أبي حاتم (4 / 1 / 116) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. وقال الهيثمي بعد أن عزاه للطبراني: " وفيه محمد بن هشام، والظاهر أنه محمد بن هشام بن عروة، وليس في " الميزان " أحد يقال له محمد بن هشام ضعيف، وبقية رجاله ثقات
قلت: ثم رأيته في " تاريخ ابن عساكر " (15 / 185 / 2) من هذا الوجه وقال: " محمد بن هشام القناد ". فهذا يبين أنه غير ابن عروة، ولكن القناد هذا لم أعرفه، ويحتمل احتمالا قويا أنه هو أبوهشام القناد البصري المتقدم، فيستفاد منه أن اسمه محمد بن هشام، وهذا مما لم يذكروه في ترجمته. والله أعلم