পরিচ্ছেদঃ
৬৩২। সর্ব প্রথম প্রশংসাকারীদেরকে জান্নাতের দিকে ডাক দেয়া হবে যারা সুখে ও দুঃখে আল্লাহর প্রশংসা করে।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি তাবরানী "আল-মুজামুস সাগীর" (পৃঃ ৫৭) ও “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে এবং “আল-আওসাত” গ্রন্থে, আবুশ শাইখ তার "আহাদীছ" (২/১৬) গ্রন্থে, আবু বকর ইবনু আবী আলী আল-মায়াদিল “সাবউ মাজালেস মিনাল আমলী” (১/১২) গ্রন্থে এবং আবু নোয়াইম (৫/৬৯) আলী ইবনু আসেম হতে তিনি কায়েস ইবনুর রাবী’ হতে তিনি হাবীব ইবনু আবী ছাবেত হতে ... বর্ণনা করেছেন। তাবারানী ও আবু নোয়াইম বলেনঃ হাদীছটি হাবীব হতে একমাত্র কায়েস ইবনুর রাবী’ এবং শুবা ইবনুল হাজ্জাজ বর্ণনা করেছেন। তাবারানী একটু বেশী বলেছেনঃ শু’বা হতে একমাত্র নাসর ইবনু হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাবারানী “আল-মুজামুস সাগীর” গ্রন্থে, বাগাবী "শারহুস সুন্নাহ" (১/১৪৪/২) এবং যিয়া "আল-মুখতারাহ" (৭/১৩/১) গ্রন্থে নাসর ইবনু হাম্মাদ সূত্রে শুবা হতে তিনি হাবীব হতে বর্ণনা করেছেন। এই মুতাবায়াত নিতান্তই দুর্বল। কারণ এর বর্ণনাকারী নাসর ইবনু হাম্মাদ মিথ্যুক।
আর প্রথম সূত্রটি তিনটি কারণে দুর্বলঃ
১ ও ২। আলী ইবনু আসেম দুর্বল। অনুরূপভাবে কায়েস ইবনুর রাবী’ও দুর্বল।
৩। হাবীব ইবনু আবী ছাবেত আন আন করে বর্ণনা করেছেন। তিনি মুদাল্লিস। হাদীছটি ইবনু আবিদ দুনিয়া "আস-সাবর" (১/৫০) গ্রন্থে ও হাকিম (১৫০২) সহীহ হতে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন!
এ সহীহ বলার মধ্যে কতিপয় ধরার বিষয় আছেঃ
১। মাসউদী হতে ইমাম মুসলিম মোটেই বর্ণনা করেননি। ইমাম বুখারী মুয়াল্লাকের ক্ষেত্রে বর্ণনা করেছেন। অতএব মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলাটা ঠিক না।
২। মাসউদী দুর্বল তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটার কারণে। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার পূর্বের হাদীছ পরের হাদীছের সাথে মিশে গিয়েছিল, পার্থক্য করা যেত না। অতএব তাকে পরিত্যাগ করাই হচ্ছে তার প্রাপ্য। ইমাম যাহাবী নিজে "আল-মীযান" গ্রন্থে হেফযের দিক দিয়ে তিনি মন্দ ছিলেন বলে আখ্যা দিয়েছেন। অতএব তার হাদীছ কিভাবে সহীহ হয়?
৩। হাবীব ইবনু আবী ছাবেত ’আন আন করে বর্ণনা করেছেন। তিনি মুদাল্লিস। তার হাদীছ সহীহ হয় কিভাবে?
أول من يدعى إلى الجنة الحمادون الذين يحمدون الله في السراء والضراء
ضعيف
-
أخرجه الطبراني في " الصغير " (ص 57) وفي " الكبير " أيضا و" الأوسط " وأبو الشيخ في " أحاديثه " (16 / 2) وأبو بكر بن أبي علي المعدل في " سبع مجالس من الأمالي " (12 / 1) وأبو نعيم (5 / 69) عن علي بن عاصم: حدثنا قيس بن الربيع عن حبيب بن أبي ثابت عن سعيد بن جبير عن ابن عباس مرفوعا
وقال الطبراني وأبو نعيم: " لم يرو هـ عن حبيب إلا قيس بن الربيع وشعبة بن الحجاج ". زاد الأول: " تفرد به عن شعبة نصر بن حماد الوراق
قلت: ثم أخرجه الطبراني في " الصغير " والبغوي في " شرح السنة " (1 / 144 / 2) وكذا الضياء في " المختارة " (7 / 13 / 1) من طريق نصر بن حماد: حدثنا شعبة عن حبيب به. وهذه المتابعة ضعيفة جدا، فإن راويها نصر بن حماد كذاب كما تقدم مرارا. وأما الطريق الأول فضعيف، وفيه ثلاث علل
الأولى والثانية: ضعف علي بن عاصم، وكذا شيخه قيس بن الربيع. والثالثة: عنعنة حبيب بن أبي ثابت، فإنه مدلس. وقول الطبراني: " لم يرو هـ عن حبيب إلا قيس وشعبة.... " إنما هو بالنسبة لما وقع إليه، وإلا فقد تابعهما عن شعبة سعد بن عامر أخرجه الماليني في " شيوخ الصوفية " (17 - 18)
أخبرنا أبو علي محمد بن الحسين بن حمزة الصوفي الزادي: أنبأنا أبو الحسن علي بن أحمد الفقيه بـ (بلخ) : أنبأنا محمد بن فضيل الزاهد: أنبأنا سعد بن عامر عن شعبة به. ومن دون ابن فضيل لم أعرفهما. وتابعهما المسعودي أيضا، أخرجه ابن أبي الدنيا في " الصبر " (50 / 1) والحاكم (1 / 502) بسند صحيح عن عبد الرحمن بن عبد الله المسعودي عن حبيب بن أبي ثابت به. وقال: صحيح على شرط مسلم " ووافقه الذهبي! وفيه مؤاخذات
الأول: أن المسعودي لم يخرج له مسلم مطلقا، وإنما أخرج له البخاري تعليقا، فليس هو على شرط مسلم
الثاني: أن المسعودي ضعيف لاختلاطه، قال ابن حبان (2 / 51) : " اختلط حديثه القديم بحديثه الأخير فلم يميز فاستحق الترك ". وقد وصفه الذهبي نفسه في " الميزان " بأنه سيىء الحفظ، فأنى لحديثه الصحة؟
الثالث: أن حبيب بن أبي ثابت قد عنعنه وهو مدلس كما تقدم، فأنى للحديث الصحة؟! والحديث أعله الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (4 / 70) بقيس بن الربيع قال: " ضعفه الجمهور ". وكأنه خفيت عليه رواية الحاكم هذه! ورواه ابن المبارك في " الزهد " (165 / 1 من الكواكب 575) بسند صحيح عن حبيب عن ابن جبير موقوفا عليه. ولعله الصواب