পরিচ্ছেদঃ
৬০৯। যখন তিন ব্যক্তি একত্রিত হবে তখন তাদের মধ্যের কিতাবুল্লাহকে উত্তমরূপে পাঠকারী ব্যক্তি ইমামতি করবে। যদি (কিতাবুল্লাহকে) পাঠ করার ক্ষেত্রে সমান হয়ে যায় তাহলে তাদের মধ্যের বয়সে বড় ব্যক্তি ইমামতি করবে। যদি বয়সের ক্ষেত্রে সমান হয়ে যায় তাহলে তাদের মধ্যে যার চেহারা বেশী সুন্দর সে ইমামতি করবে।
হাদীছটি মুনকার এর কোন ভিত্তি নেই।
এটিকে বাইহাকী (৩/১২১) আব্দুল আযীয ইবনু মায়াবিয়া হতে ...বর্ণনা করে দুর্বল হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
হাদীছটির সমস্যা হচ্ছে এই আব্দুল আযীয। তাকে ইবনু হিব্বান "আছ-ছিকাত" গ্রন্থে উল্লেখ করে তার এ হাদীছটিকে অস্বীকার করে বলেছেনঃ এটি মুনকার, এর কোন ভিত্তি নেই। সম্ভবত তার উপর এটিকে প্রবেশ করানো হয়েছে। এটি ছাড়া তার হাদীছ নির্ভরযোগ্যদের হাদীছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। হাফিয ইবনু হাজার হাদীছটি "তাহযীবুত তাহযীব" গ্রন্থে উল্লেখ করে ইবনু হিব্বানের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। মানবী বলেছেনঃ তাতে আব্দুল আযীয রয়েছেন। তাকে হাকিম এ হাদীছ দ্বারা আক্রমণ করে বলেছেনঃ হাদীছটি মনুকার। এ হতেই বুঝা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র দুর্বল বলাটা সঠিক নয়।
এ ছাড়া সহীহ হাদীছে এসেছেঃ "তোমাদের মধ্যে কিতাবুল্লাহকে উত্তমরূপে পাঠকারী ব্যক্তি ইমামতি করবে, যদি (কিতাবুল্লাহকে) পাঠ করার ক্ষেত্রে সমান হয়ে যায় তাহলে তাদের মধ্যের যে ব্যক্তি সুন্নাতের জ্ঞান বেশী রাখে সে ইমামতি করবে। যদি তারা সুন্নাতের জ্ঞানের দিক দিয়ে সমান হয়ে যায়, তাহলে যে আগে হিযরত করেছে সে তাদের ইমামতি করবে। যদি হিযরতের দিক দিয়ে সমান হয়ে যায়, তাহলে তাদের মধ্যে বয়সে বড় ব্যক্তি ইমামতি করবে।" হাদীছটি ইমাম মুসলিম ও অন্য বিদ্বানগণ বর্ণনা করেছেন।
এই সহীহ হাদীছ সহ অন্য কোন সহীহ হাদীছে সুন্দর চেহারার কথা বলা হয়নি। উল্লেখিত ইমামগণ আলোচ্য হাদীছটিকে অস্বীকার করেছেন। কোন কোন মাযহাবের মধ্যে এ মুনকার হাদীছকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে সুন্দর চেহারার ইমামকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে। বরং তাদের কেউ কেউ বাড়াবাড়ি করে বলেনঃ যার স্ত্রী সুন্দর ইমামতিতে সে অগ্রাধিকার পাবে, কারণ সে নিজকে পবিত্র রাখতে সক্ষম। অতঃপর যার মাথা বড় সে, অতঃপর যার অঙ্গটা (পুরুষাঙ্গ) বেশী ছোট সে ইমামতি করবে।’ এ তথ্যের জন্য হানাকী মাযহাবের "মারাকিয়ুল ফালাহ" (পৃঃ ৫৫) গ্রন্থটি দেখুন। কার পুরুষাঙ্গ কত ছোট কিভাবে দেখবেন? গুপ্তাঙ্গ না খুলে কি তা দেখা সম্ভব? এটি কি বিবেকবর্জিত কথা নয়? তার পরেও তার নাম দিয়েছেন এরূপ মতামতকে নাকি বলা হয় ফিকাহ! হে আল্লাহ তোমার হেদায়াত প্রার্থনা করছি।
إذا كانوا ثلاثة فليؤمهم أقرؤهم لكتاب الله، فإن كانوا في القراءة سواء، فأكبرهم سنا، فإن كانوا في السن سواء فأحسنهم وجها
منكر لا أصل له
-
أخرجه البيهقي (3 / 121) عن عبد العزيز بن معاوية بن عبد العزيز أبي خالد القاضي من ولد عتاب بن أسيد: أنبأ أبو عاصم: أنبأ عزرة بن ثابت عن علباء بن أحمر عن أبي زيد الأنصاري (وهو عمرو بن أخطب) مرفوعا. وأشار البيهقي لضعفه بقوله: " إن صح
وعلته عبد العزيز هذا ذكره ابن حبان في " الثقات " واستنكر له هذا الحديث وقال: " هذا منكر لا أصل له، ولعله أدخل عليه، وما عدا هذا من حديثه يشبه حديث الأثبات
ذكره الحافظ في " تهذيب التهذيب " وأقره. وقال المناوي: " وفيه عبد العزيز بن معاوية، غمزه الحاكم بهذا الحديث، وقال: هو خبر منكر. ورده في " المهذب " بأن مسلما روى حديثا بهذا السند. انتهى. وبه يعرف أن رمز المصنف لضعفه غير صواب، وأن حكم ابن الجوزي بوضعه تهور
قلت: وفيه عديد من الموآخذات
الأول: أن مسلما لم يحتج بعبد العزيز هذا، وإنما روى له في المقدمة
الثاني: أن السيوطي نفسه أقر في " اللآلي " (2 / 22) الحاكم على غمزه المذكور
الثالث: أن ابن الجوزي لم يورد هذا الحديث مطلقا وإنما أورد الجملة الأخيرة منه من طريق أخرى في حديث آخر وهو موضوع باعتراف الذهبي صاحب " المهذب "، وإقرار المناوي نفسه له كما مضى في الحديث الذي قبله. رابعا: أن أبا أحمد الحاكم لميتفرد بإنكار الحديث بل تابعه عليه ابن حبان، وأقره الحافظ، وضعفه البيهقي كما ذكرته عنه آنفا. خامسا: أن هناك أحاديث صحيحة تبين الأحق بالإمامة مثل حديث أبي مسعود البدري مرفوعا: " يؤم القوم أقرؤهم لكتاب الله، فإن كانوا في القراءة سواء فأعلمهم بالسنة، فإن كانوا في السنة سواء فأقدمهم هجرة، فإن كانوا في الهجرة سواء فأكبرهم سنا ". رواه مسلم وغيره
وليس فيه ولا في غيره ذكر للأحسن وجها. فهذا من الأدلة على صحة حكم الأئمة المذكورين على هذا الحديث بالإنكار
فأنى للحديث ما أراده له المناوي من القوة! والله أعلم
وقد ذهبت بعض المذاهب إلى تقديم الأحسن وجها بعد الاستواء في الشروط الأخرى عملا بهذا الحديث المنكر. بل بالغت بعضها فقالت: " فالأحسن زوجة لشدة عفته، فأكبرهم رأسا، فأصغرهم عضوا