পরিচ্ছেদঃ
৫৭০। আমার উম্মাতের মধ্যে এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটবে যাকে বলা হবে মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস। সে আমার উম্মাতের জন্য ইবলীসের চেয়েও বেশী ক্ষতিকর হবে। আর আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে যাকে বলা হবে আবু হানীফাহ। সে হবে আমার উম্মাতের চেরাগ।
হাদীছটি জাল।
এটিকে ইবনুল জাওয়ী "আল-মাওয়ূ’আত" (১/৪৫৭) গ্রন্থে মামূন ইবনু আহমাদ আস-সুলামী সূত্রে আহমাদ ইবনু আদিল্লাহ আল-যুওয়াইবার হতে ... বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটিকে মামূন ইবনু আহমাদ আস-সুলামী এবং আহমাদ ইবনু আবদিল্লাহ আল-যুওয়াইবার জাল করেছেন। ইমাম হাকিম "আল-মাদখাল" গ্রন্থে বলেনঃ মামূনকে বলা হয়েছিল, ইমাম শাফে’ঈ ও তার অনুসারীর সম্পর্কে আপনার মতামত কী? তিনি উত্তরে উক্ত হাদীছ বর্ণনা করেন। অতএব তিনিই এ হাদীছটি জালকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ “আল-লিসান” গ্রন্থে কিছু বেশী এসেছেঃ অতঃপর হাকিম বলেছেনঃ এধরনের হাদীছ যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর জাল করা হয়েছে তার সাক্ষ্য প্রদান করে সেই ব্যক্তিও যাকে আল্লাহ তা’আলা সামান্যতম জ্ঞান দান করেছেন। হাদীছটির আরো সূত্র এসেছে, যা দ্বারা সে ব্যক্তিই খুশি হতে পারে যে ইমাম আবু হানীফাহ (রহঃ)-এর গোঁড়ামি করতে গিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপণিত হয়েছে। কারণ সে সূত্রগুলো ঘোরপাক করছে কতিপয় মিথ্যুক এবং মাজহুল বর্ণনাকারীর মধ্যে। অত্যন্ত আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে আল্লামা আইনী সেসব সূত্রগুলো দ্বারা হাদীছটিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়েছেন। আর শাইখ কাওছারী তার থেকে সহযোগিতা নিয়েছেন। কাওছারীর ব্যাপারে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। কারণ তিনি (কাওছারী) ইমাম (রহঃ)-এর গোড়ামি করতে প্রসিদ্ধ ব্যক্তি।
আশ্চর্য হতে হচ্ছে আল্লামা আইনীর ব্যাপারে। কারণ তিনি এ বিষয়ে প্রসিদ্ধ নন। আল্লামা মুহাক্কিক আল-মুয়াল্লেমী আল-ইয়ামানী "আত-তানকীল বিমা ফী তানীবিল কাওছারী মিনাল আবাতীল" (১/২০, ৪৪৬-৪৪৯) গ্রন্থে তাদের উভয়ের প্রতিবাদ করেছেন।
يكون في أمتي رجل يقال له محمد بن إدريس أضر على أمتي من إبليس، ويكون في أمتي رجل يقال له أبو حنيفة هو سراج أمتي
موضوع
-
أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (1 / 457) من طريق مأمون بن أحمد السلمي: حدثنا أحمد بن عبد الله الجويباري: أنبأنا عبد الله بن معدان الأزدي عن أنس مرفوعا وقال: " موضوع، وضعه مأمون أو الجويباري، وذكر الحاكم في " المدخل " أن مأمونا قيل له: ألا ترى إلى الشافعي ومن تبعه؟ فقال: حدثنا أحمد إلى آخره، فبان بهذا أنه الواضع له "، قلت: وزاد في " اللسان ": " ثم قال الحاكم: ومثل هذه الأحاديث يشهد من رزقه الله أدنى معرفة بأنها موضوعة على رسول الله صلى الله عليه وسلم
قلت: وللحديث طرق أخرى، لا يفرح بها إلا الهلكى في التعصب لأبي حنيفة ولو برواية الكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فإن الطرق المشار إليها مدارها على بعض الكذابين والمجهولين. فمن الغريب جدا أن يميل العلامة العيني إلى تقوية الحديث بها، وأن ينتصر له الشيخ الكوثري، ولا عجب منه في ذلك
فإنه مشهور بإغراقه في التعصب للإمام رحمه الله، ولوعلى حساب الطعن في الأئمة الآخرين، وإنما العجب من العيني، فإنه غير مشهور بذلك، وقد رد عليهما، وتكلم على الطرق المشار إليها بما لا تراه مجموعا في كتاب العلامة
المحقق المعلمي اليماني في كتابه القيم " التنكيل بما في تأنيب الكوثري من الأباطيل " (ج 1 / 20، 446 - 449 - بتحقيقي)