৫৬০

পরিচ্ছেদঃ

৫৬০। তিনি রামাযান মাসে জামা’আত ছাড়াই বিশ রাকাআত এবং বিতরের সালাত পড়তেন।

হাদীছটি জাল।

হাদীছটি ইবনু আবী শাইবাহ "আল-মুসান্নাফ" (২/৯০/২) গ্রন্থে, আব্দু ইবনু হামীদ "আল-মুন্তাখাব মিনাল মুসনাদ" (৭৩/১-২) গ্রন্থে, তাবারানী "আল-মুজামুল কাবীর" (৩/১৪৮/২) এবং “আল-আওসাত” গ্রন্থে যেমনটি ইমাম যাহাবীর "আলমুস্তাকা" (৩/২) গ্রন্থে ও "যাওয়ায়েদুল মু’জামায়িন" (১/১০৯/১) গ্রন্থে এসেছে, ইবনু আদী "আল-কামিল" (১/২) গ্রন্থে, আল-খাতীব “আল-মুওয়াযিযহ” (১/২০৯) গ্রন্থে, আবুল হাসান আন-না’আলী তার "হাদীছ" (১/১২৭) গ্রন্থে, আবু আমর ইবনু মান্দাহ "আল-মুন্তাখাব মিনাল ফাওয়ায়েদ" (২/২৬৮) গ্রন্থে এবং বাইহাকী “আস-সুনানুল কুবরা” (২/৪৯৬) গ্রন্থে (তারা সকলে) আবু শাইবাহ ইবরাহীম ইবনু উছমান সূত্রে আল-হাকাম হতে তিনি মুকসিম হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তাবারানী বলেনঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে এ সনদ ছাড়া ভিন্ন কোন সনদে বর্ণনা করা হয়নি। বাইহাকী বলেনঃ আবু শাইবাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হায়ছামী "আল-মাজমা" (৩/১৭২) গ্রন্থে অনুরূপ কথাই বলেছেন। অর্থাৎ আবু শাইবাহ দুর্বল। ইবনু হাজার “ফতহুল বারী” (৪/২০৫) গ্রন্থে বলেনঃ এটির সনদটি দুর্বল। হাফিয যায়লাঈ অনুরূপভাবে "নাসবুর রায়া" (২/১৫৩) গ্রন্থে তাকে তার সনদের দিক দিয়ে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর তিনি ভাষার দিক দিয়ে হাদীছটিকে অস্বীকার করে বলেছেনঃ হাদীছটি সহীহ হাদীছের বিপরীতে এসেছে যেটি আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ

ما كان النبي صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على إحدى عشرة ركعة رواه الشيخان

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাযান মাসে এবং রামাযান ছাড়া অন্য সময়ে এগার রাকাআতের বেশী সালাত আদায় করতেন না।’ বুখারী ও মুসলিম।

হাফিয ইবনু হাযার অনুরূপ কথাই বলেছেন। তবে তিনি কিছু বেশী বলেছেনঃ অন্যদের চেয়ে আয়েশই (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের বেলার অবস্থা সম্পর্কে বেশী জ্ঞাত ছিলেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ জাবের ইবনু আদিল্লাহ (রাঃ) তার [আয়েশা (রাঃ)]-এর মত হাদীছ বর্ণনা করেছেন। যেটি ইবনু নাসর "কিয়ামুল লাইল" (পৃঃ ৯০, ১১৪) গ্রন্থে, তাবারানী "আল-মুজামুস সাগীর" (পৃঃ ১০৮) গ্রন্থে এবং ইবনু হিব্বান তার সহীহার মধ্যে (নং ৯২০) বর্ণনা করেছেন।

কোন কোন দুর্বল বর্ণনাকারী জাবের (রাঃ)-এর হাদীছকে নষ্ট করে ফেলেছেন। বলেছেনঃ “তিনি চব্বিশ রাকাআত সালাত পড়েছেন এবং তিন রাকাআত বিতর পড়েছেন। এ হাদীছটি সাহমী “তারীখু জুরজান” (৭৫,২৭৬) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি সহীহ নয়। কারণ এটির সনদে এমন ব্যক্তি আছেন যার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না। কেননা মুহাম্মাদ ইবনু হামীদ ও তার শাইখ উমর ইবনু হারূণকে মিথ্যার দোষে দোষী করা হয়েছে। তাদের দু’জনের বর্ণনা গণনার মধ্যেই নিয়ে আসা যায় না। আর যেখানে তাদের বিরোধিতা করা হয়েছে সেখানে তো প্রশ্নই আসে না। যেমন এখানে।

মোটকথাঃ ইমামগণের বক্তব্য এমর্মে এক যে, আবু শাইবার হাদীছ দুর্বল। বরং হাফিয যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে এ হাদীছটিকে আবু শাইবার মুনকারগুলোর একটি মুনকার হিসাবে গণ্য করেছেন। ফাকীহ আহমাদ ইবনু হাজার হায়তামী “আল-ফাতাওয়াল কুবরা” গ্রন্থে বলেছেনঃ হাদীছটি খুবই দুর্বল। আমার সিদ্ধান্ত এই যে হাদীছটি নিম্নোক্ত কারণে বানোয়াটঃ

১। হাদীছটি আয়েশা এবং জাবের (রাঃ)-এর সহীহ হাদীছ বিরোধী।

২। বর্ণনাকারী আবু শাইবাহ খুবই দুর্বল। যেমনটি বুঝা যাচ্ছে বাইহাকী ও অন্যদের বক্তব্যে। ইবনু মাঈন তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। জুযজানী বলেনঃ তিনি সাকেত (অগ্রহণযোগ্য)।

শুবা এক ঘটনায় তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। ইমাম বুখারী বলেছেনঃ সাকাতু আনহু (তারা তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন)। (এর ব্যাখ্যা পূর্বে দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ যার সম্পর্কে তিনি এরূপ কথা বলেছেন তিনি তার নিকট অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ভুক্ত, যেমনটি হাফিয ইবনু কাসীর "ইখতিসারু উলুমিল হাদীছ" (পৃঃ ১১৮) গ্রন্থে বলেছেন।

৩। আলোচ্য হাদীছটিতে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রমযানের সালাত জামা’আতহীন ছিল। এটি জাবের (রাঃ) এর সহীহ হাদীছ বিরোধী এবং আয়েশা (রাঃ) এর অন্য এক হাদীছ বিরোধীঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মধ্য রাতে বের হলেন অতঃপর তিনি মসজিদে সালাত আদায় করলেন। কতিপয় ব্যক্তিও তার সালাতের সাথে সালাত আদায় করল। বহু লোক হয়ে গেলে, তারা একে অপরের সাথে আলোচনা করল। এ কারণে বহু লোকের সমাগম ঘটলো এবং তারা সকলে তার সাথে সালাত আদায় করল। তারা অন্যদের সাথে আরো কথাবার্তা বলল, ফলে তৃতীয় রাতে মসজিদে লোকের সংখ্যা আরো বেড়ে গেল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন তিনি সালাত আদায় করলেন। আল-হাদীছ। এটি জাবেরের হাদীছের ন্যায়।

তাতে আরো রয়েছেঃ কিন্তু আমি তোমাদের উপর তা ফরয করে দেয়া হবে এরূপ ভয় করছি, অতঃপর তোমরা তা আদায় করতে অক্ষম হয়ে যাবে।’ বুখারী ও মুসলিম হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। এ সব কিছুই প্রমাণ করছে যে, আবু শাইবার হাদীছটি বানোয়াট।

ফায়েদাঃ

জাবের এবং আয়েশার (রাঃ) হাদীছ প্রমাণ করছে যে জামা’আতের সাথে সালাতুত তারাবীহ পড়া শরীয়ত সম্মত এবং তার রাকাআত সংখ্যা হচ্ছে বিতর সহ সবোচ্চ এগার রাকাআত।

উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হয়ে থাকে যে, তিনি বিশ রাকাআত পড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তার সনদটি দুর্বল। তিনি যে এগারো রাকাআত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেটি সহীহ এবং সহীহ সুন্নাহের সাথে তার মিল রয়েছে। কোন সাহাবা হতেই তার বিপরীত সাব্যস্ত হয়নি।

كان يصلي في شهر رمضان في غير جماعة بعشرين ركعة والوتر
موضوع

-

أخرجه ابن أبي شيبة في " المصنف " (2 / 90 / 2) وعبد بن حميد في " المنتخب من المسند " (73 / 1 - 2) والطبراني في " الكبير " (3 / 148 / 2) وفي " الأوسط " كما في " المنتقى منه " للذهبي (3 / 2) وفي " زوائد المعجمين " (1 / 109 / 1) وابن عدي في " الكامل " (1 / 2)
والخطيب في " الموضح " (1 / 209) وأبو الحسن النعالي في " حديثه " (127 / 1) وأبو عمرو بن منده في " المنتخب من الفوائد " (268 / 2) والبيهقي في " السنن الكبرى " (2 / 496) كلهم من طريق أبي شيبة إبراهيم بن عثمان عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس مرفوعا، وقال الطبراني: " لا يروى عن ابن عباس إلا بهذا الإسناد ".
وقال البيهقي: " تفرد به أبو شيبة وهو ضعيف ". قلت: وكذا قال الهيثمي في " المجمع " (3 / 172) أن أبا شيبة ضعيف، وقال الحافظ ابن حجر في " الفتح " (4 / 205) بعد ما عزاه لابن أبي شيبة: " إسناده ضعيف ".
وكذلك ضعفه الحافظ الزيلعي " في نصب الراية " (2 / 153) من قبل إسناده، ثم أنكره من جهة متنه
فقال: " ثم هو مخالف للحديث الصحيح عن عائشة قالت: " ما كان النبي صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على إحدى عشرة ركعة " رواه الشيخان ".
وكذلك قال الحافظ ابن حجر وزاد: " هذا مع كون عائشة أعلم بحال النبي صلى الله عليه وسلم ليلا من غيرها ". قلت: ووافقها جابر بن عبد الله رضي الله عنه فذكر: " أن النبي صلى الله عليه وسلم لما أحيا بالناس ليلة في رمضان صلى ثمان ركعات، وأوتر ".
رواه ابن نصر في " قيام الليل " (ص 90، 114) والطبراني في " المعجم الصغير " (ص 108) وابن حبان في صحيحه (رقم 920 - موارد) .
وقد أفسد حديث جابر هذا بعض الضعفاء فرواه محمد بن حميد الرازي حدثنا عمر بن هارون بإسناده عن جابر بلفظ: " فصلى أربعا وعشرين ركعة وأوتر بثلاث ". وأخرجه السهمي في " تاريخ جرجان " (75 و276) .
قلت: ومع أن إسناده إلى محمد بن حميد لا يصح، لأن فيه من لا يعرف حاله، فإن محمد بن حميد وشيخه عمر بن هارون متهمان بالكذب فلا يعتد بروايتهما بله مخالفتهما! وبالجملة فقد اتفقت كلمات أئمة الحديث على تضعيف حديث أبي شيبة هذا، بل عده الحافظ الذهبي في ترجمته من " الميزان " من مناكيره.
وقال الفقيه أحمد بن حجر الهيتمي في " الفتاوى الكبرى " إنه شديد الضعف.
وأنا أرى أنه حديث موضوع، وذلك لأمور:
الأول: مخالفته لحديث عائشة وجابر. الثاني: أن أبا شيبة أشد ضعفا مما يفهمم من عبارة البيهقي السابقة وغيره، فقد قال ابن معين فيه: " ليس بثقة ". وقال الجوزجاني: " ساقط
وكذبه شعبة في قصة، وقال البخاري: " سكتوا عنه ".
وقد بينا فيما سبق أن من قال فيه البخاري " سكتوا عنه " فهو في أدنى المنازل وأردئها عنده، كما قال الحافظ ابن كثير في " اختصار علوم الحديث " (ص 118) . الثالث: أن فيه أن صلاته صلى الله عليه وسلم في رمضان كانت في غير جماعة، وهذا مخالف لحديث جابر أيضا، ولحديث عائشة الآخر: " أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج ليلة من جوف الليل فصلى في المسجد، وصلى رجال بصلاته، فأصبح الناس فتحدثوا فاجتمع أكثر منهم فصلوا معه، فأصبح الناس فتحدثوا فكثر أهل المسجد من الليلة الثالثة فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى بصلاته ". الحديث نحو حديث جابر وفيه: " ولكن خشيت أن تفرض عليكم فتعجزوا عنها ".
رواه البخاري ومسلم في " صحيحيهما ". فهذه الأمور تدل على وضع حديث أبي شيبة. والله تعالى هو الموفق. (فائدة) دل حديث عائشة وحديث جابر على مشروعية صلاة التراويح مع الجماعة، وعلى أنها إحدى عشرة ركعة مع الوتر.
وللأستاذ نسيب الرفاعي رسالة نافعة في تأييد ذلك اسمها " أوضح البيان فيما ثبت في السنة في قيام رمضان " فننصح بالاطلاع عليها من شاء الوقوف على الحقيقة.
ثم إن أحد المنتصرين لصلاة العشرين ركعة أصلحه الله - قام بالرد على الرسالة المذكورة في وريقات سماها " الإصابة في الانتصار للخلفاء الراشدين والصحابة " حشاها بالافتراءات، والأحاديث الضعيفة بل الموضوعة، والأقوال الواهية، الأمر الذي حملنا على تأليف رد عليه أسميته " تسديد الإصابة إلى من زعم نصرة الخلفاء الراشدين والصحابة " وقد قسمته إلى ستة رسائل طبع منها: الأولى: في بيان الافتراءات المشار إليها.
الثانية: في " صلاة التراويح ". وهي رسالة جامعة لكل ما يتعلق بهذه العبادة، وقد بينت فيها ضعف ما يروى عن عمر رضي الله عنه أنه أمر بصلاة التراويح عشرين ركعة، وأن الصحيح عنه أنه أمر بصلاتها إحدى عشرة ركعة وفقا للسنة الصحيحة، وأن أحدا من الصحابة لم يثبت عنه خلافها فلتراجع فإنها مهمة جدا وإنما علينا التذكير والنصيحة

كان يصلي في شهر رمضان في غير جماعة بعشرين ركعة والوتر موضوع - اخرجه ابن ابي شيبة في " المصنف " (2 / 90 / 2) وعبد بن حميد في " المنتخب من المسند " (73 / 1 - 2) والطبراني في " الكبير " (3 / 148 / 2) وفي " الاوسط " كما في " المنتقى منه " للذهبي (3 / 2) وفي " زواىد المعجمين " (1 / 109 / 1) وابن عدي في " الكامل " (1 / 2) والخطيب في " الموضح " (1 / 209) وابو الحسن النعالي في " حديثه " (127 / 1) وابو عمرو بن منده في " المنتخب من الفواىد " (268 / 2) والبيهقي في " السنن الكبرى " (2 / 496) كلهم من طريق ابي شيبة ابراهيم بن عثمان عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس مرفوعا، وقال الطبراني: " لا يروى عن ابن عباس الا بهذا الاسناد ". وقال البيهقي: " تفرد به ابو شيبة وهو ضعيف ". قلت: وكذا قال الهيثمي في " المجمع " (3 / 172) ان ابا شيبة ضعيف، وقال الحافظ ابن حجر في " الفتح " (4 / 205) بعد ما عزاه لابن ابي شيبة: " اسناده ضعيف ". وكذلك ضعفه الحافظ الزيلعي " في نصب الراية " (2 / 153) من قبل اسناده، ثم انكره من جهة متنه فقال: " ثم هو مخالف للحديث الصحيح عن عاىشة قالت: " ما كان النبي صلى الله عليه وسلم يزيد في رمضان ولا في غيره على احدى عشرة ركعة " رواه الشيخان ". وكذلك قال الحافظ ابن حجر وزاد: " هذا مع كون عاىشة اعلم بحال النبي صلى الله عليه وسلم ليلا من غيرها ". قلت: ووافقها جابر بن عبد الله رضي الله عنه فذكر: " ان النبي صلى الله عليه وسلم لما احيا بالناس ليلة في رمضان صلى ثمان ركعات، واوتر ". رواه ابن نصر في " قيام الليل " (ص 90، 114) والطبراني في " المعجم الصغير " (ص 108) وابن حبان في صحيحه (رقم 920 - موارد) . وقد افسد حديث جابر هذا بعض الضعفاء فرواه محمد بن حميد الرازي حدثنا عمر بن هارون باسناده عن جابر بلفظ: " فصلى اربعا وعشرين ركعة واوتر بثلاث ". واخرجه السهمي في " تاريخ جرجان " (75 و276) . قلت: ومع ان اسناده الى محمد بن حميد لا يصح، لان فيه من لا يعرف حاله، فان محمد بن حميد وشيخه عمر بن هارون متهمان بالكذب فلا يعتد بروايتهما بله مخالفتهما! وبالجملة فقد اتفقت كلمات اىمة الحديث على تضعيف حديث ابي شيبة هذا، بل عده الحافظ الذهبي في ترجمته من " الميزان " من مناكيره. وقال الفقيه احمد بن حجر الهيتمي في " الفتاوى الكبرى " انه شديد الضعف. وانا ارى انه حديث موضوع، وذلك لامور: الاول: مخالفته لحديث عاىشة وجابر. الثاني: ان ابا شيبة اشد ضعفا مما يفهمم من عبارة البيهقي السابقة وغيره، فقد قال ابن معين فيه: " ليس بثقة ". وقال الجوزجاني: " ساقط وكذبه شعبة في قصة، وقال البخاري: " سكتوا عنه ". وقد بينا فيما سبق ان من قال فيه البخاري " سكتوا عنه " فهو في ادنى المنازل واردىها عنده، كما قال الحافظ ابن كثير في " اختصار علوم الحديث " (ص 118) . الثالث: ان فيه ان صلاته صلى الله عليه وسلم في رمضان كانت في غير جماعة، وهذا مخالف لحديث جابر ايضا، ولحديث عاىشة الاخر: " ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج ليلة من جوف الليل فصلى في المسجد، وصلى رجال بصلاته، فاصبح الناس فتحدثوا فاجتمع اكثر منهم فصلوا معه، فاصبح الناس فتحدثوا فكثر اهل المسجد من الليلة الثالثة فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى بصلاته ". الحديث نحو حديث جابر وفيه: " ولكن خشيت ان تفرض عليكم فتعجزوا عنها ". رواه البخاري ومسلم في " صحيحيهما ". فهذه الامور تدل على وضع حديث ابي شيبة. والله تعالى هو الموفق. (فاىدة) دل حديث عاىشة وحديث جابر على مشروعية صلاة التراويح مع الجماعة، وعلى انها احدى عشرة ركعة مع الوتر. وللاستاذ نسيب الرفاعي رسالة نافعة في تاييد ذلك اسمها " اوضح البيان فيما ثبت في السنة في قيام رمضان " فننصح بالاطلاع عليها من شاء الوقوف على الحقيقة. ثم ان احد المنتصرين لصلاة العشرين ركعة اصلحه الله - قام بالرد على الرسالة المذكورة في وريقات سماها " الاصابة في الانتصار للخلفاء الراشدين والصحابة " حشاها بالافتراءات، والاحاديث الضعيفة بل الموضوعة، والاقوال الواهية، الامر الذي حملنا على تاليف رد عليه اسميته " تسديد الاصابة الى من زعم نصرة الخلفاء الراشدين والصحابة " وقد قسمته الى ستة رساىل طبع منها: الاولى: في بيان الافتراءات المشار اليها. الثانية: في " صلاة التراويح ". وهي رسالة جامعة لكل ما يتعلق بهذه العبادة، وقد بينت فيها ضعف ما يروى عن عمر رضي الله عنه انه امر بصلاة التراويح عشرين ركعة، وان الصحيح عنه انه امر بصلاتها احدى عشرة ركعة وفقا للسنة الصحيحة، وان احدا من الصحابة لم يثبت عنه خلافها فلتراجع فانها مهمة جدا وانما علينا التذكير والنصيحة
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ