৩৭৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান

৩৭৬৬-[৯] যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে বলে দিবো না, সর্বোত্তম সাক্ষ্যদানকারী কারা? সে ব্যক্তিই উত্তম সাক্ষ্যদানকারী, যাকে চাওয়ার আগে স্বীয় সাক্ষী প্রদান করে। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْأَقْضِيَةِ وَالشَّهَادَاتِ

وَعَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ؟ الَّذِي يَأْتِي بشهادتِه قبلَ أنْ يسْأَلهَا» . رَوَاهُ مُسلم

وعن زيد بن خالد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الا اخبركم بخير الشهداء الذي ياتي بشهادته قبل ان يسالها رواه مسلم

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে সত্য সাক্ষী প্রদানের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীসের দু’টি ব্যাখ্যা হতে পারে, এর মধ্যে সর্বাধিক সহীহ মত হচ্ছে ইমাম মালিক ও ইমাম শাফি‘ঈ-এর ছাত্ররা যে মত পোষণ করেছেন আর সেটি হচ্ছে কোথাও কোনো বিচার কাজ হচ্ছে দেখা যাচ্ছে বাদী-বিবাদীর কেউ সত্য সাক্ষীর অভাবে পরাজিত হচ্ছে আর মাজলিসে এমন একজন লোক রয়েছে যে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে অভিহিত, এমতাবস্থায় তার নিকট সাক্ষী না চাওয়া হলেও সে যদি এটাকে আমানত মনে করে সাক্ষী দেয় তাহলে সে সর্বোত্তম সাক্ষী হবে। এ হাদীসের দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাখ্যা হলো, মানুষের হাকের বিষয়ের সাক্ষী যেমন ত্বলাকের সাক্ষী, স্বাধীন করানোর সাক্ষী, জমি-জমা ওয়াক্ফ করার সাক্ষী, সাধারণ ওয়াসিয়্যাতের সাক্ষী, হাদ্দসমূহের সাক্ষী ইত্যাদি। যেমন- পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেনঃ অর্থাৎ ‘‘তোমরা আল্লাহর জন্য সাক্ষী কায়িম কর।’’ (সূরা আত্ব তালাক ৬৫ : ২)

অত্র হাদীসটি পরবর্তী হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক নয় যেখানে বলা হয়েছে, সাক্ষী না চাইলেও সাক্ষী দিবে। কারণ অত্র হাদীসটি হলো সত্য সাক্ষ্য প্রদানের আর পরের হাদীসটি হলো মিথ্যা সাক্ষী প্রদানের।

(শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৭১৯; ‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৯৩; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২২৯৫; আল মুনতাকা ৭ম খন্ড, হাঃ ১৩৮১; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)