৩৭২৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - জনগণের প্রতি শাসকের সহনশীলতা প্রদর্শন করা

৩৭২৭-[৬] আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকদের নিতম্বের সাথে তার জন্য (অপরাধ অনুপাতে) একটা করে পতাকা রাখা হবে।

অপর বর্ণনাতে আছে, কিয়ামত দিবসে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকদের জন্য তার বিশ্বাসঘাতকতার পরিমাণ অনুপাতে পতাকা উত্তোলিত হবে। সাবধান! রাষ্ট্র প্রধানের বিশ্বাসঘাতকতাই হবে সর্ববৃহৎ (অপরাধ)। (মুসলিম)[1]

بَابُ مَا عَلَى الْوُلَاةِ مِنَ التَّيْسِيْرِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ عِنْدَ اسْتِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرْفَعُ لَهُ بِقَدْرِ غَدْرِهِ أَلا وَلَا غادر أعظم مِن أميرِ عامِّةٍ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لكل غادر لواء عند استه يوم القيامة وفي رواية لكل غادر لواء يوم القيامة يرفع له بقدر غدره الا ولا غادر اعظم من امير عامة رواه مسلم

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে ধোঁকাবাজের জন্য ঝান্ডা স্থাপনের কারণ হলো যাতে করে সকলেই বুঝতে পারে যে, সে একজন প্রতারক, ধোঁকাবাজ এবং ঝান্ডা নিতম্বে স্থাপনের কারণ হলো লাঞ্ছনার পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ। অথবা এ কারণে যে, যেহেতু সম্মানের পতাকা থাকে সামনে, সুতরাং অসম্মানের পতাকা পিছনে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

সহীহ মুসলিম-এর ব্যাখ্যা গ্রন্থে এসেছে, «اللِّوَاءِ» বলা হয় এমন বড় পতাকা যা বড় যুদ্ধ দলের কমান্ডার উঁচু করে রাখে অথবা বড় দলের বাহকরা সে পতাকা নিয়ে অগ্রে থাকে এবং লোকজন তার পিছনে যায়।

হাফিয ইবনু হাজার ‘আসকালানী (রহঃ) বলেনঃ «اللِّوَاءِ» হলো ঐ পতাকা যা যুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এটা যার হাতে থাকে তিনি হলেন দলপতি মাঝে মধ্যে এটা দলপতি উঁচু করে রাখে, মাঝে মধ্যে সৈন্যদলের সামনে রাখা হয়। ‘আরবী ভাষাবিদগণের একটি দল বলেন, «الرَّايَةُ» এবং «اللِّوَاءِ» শব্দ দু’টি সমার্থক শব্দ।

(وَلَا غَادِرَ أَعْظَمُ مِنْ أَمِيْرِ عَامِّةٍ) এখানে হাদীসের এ অংশটিতে বলা হয়েছে বড় কোনো সৈন্যদলের নেতৃত্ব নিয়ে। তারপর যদি তাদের ধোঁকা দেয়া হয় তাহলে এটিই হলো সর্বাধিক বড় ধোঁকাবাজী, কারণ এতে আল্লাহর সাথে বেঈমানী করা হয় এমনকি মুসলিমদের সাথেও বেঈমানী করা হয়।

ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসের এ অংশটিতে ধোঁকাবাজী সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে, বিশেষ করে কোনো বড় সেনাদলের নেতার জন্য আরো বেশী হারাম, কারণ তার ভুলের কারণে তার অধিনস্থ অনেক মানুষের করুণ পরিণতি হতে পারে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)