৩৬৮১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৮১-[২১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শীঘ্রই তোমরা ক্ষমতা ও নেতৃত্বের জন্য লালায়িত হয়ে পড়বে। আর এ কারণে নিশ্চয় কিয়ামতের দিন তোমরা লজ্জিত হবে। অতঃপর তা কতই না উত্তম দুধপানকারিণী এবং দুধ ছাড়ানোকারিণী কতই না মন্দ। (বুখারী)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّكُمْ سَتَحْرِصُونَ عَلَى الْإِمَارَةِ وَسَتَكُونُ نَدَامَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَنِعْمَ الْمُرْضِعَةُ وَبِئْسَتِ الفاطمةُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال انكم ستحرصون على الامارة وستكون ندامة يوم القيامة فنعم المرضعة وبىست الفاطمة رواه البخاري

ব্যাখ্যা: নেতৃত্ব দু’ প্রকার। যথা: ১. বড় নেতৃত্ব। আর তা হলো খলীফা বা শাসক হওয়া। ২. ছোট নেতৃত্ব। আর তা হলো দেশের কিছু অংশের গভর্নর হওয়া। (ফাতহুল বারী ১৩শ খন্ড, হাঃ ৭১৪৮)

নেতৃত্ব চেয়ে নেয়ার মাধ্যমে নিজের ক্ষতি হওয়ার উপকরণগুলো হলো: ১. তিরস্কার, ২. লজ্জিত, অপমান, ৩. পরকালের শাস্তি, ৪. জরিমানা। (ত্ববারানীতে বর্ণিত)

ইমাম নববী (রহঃ) বলেছেনঃ এটাই বড় মূলনীতি হলো যে, নেতৃত্ব থেকে বেঁচে থাকা বিশেষ করে শাসক যদি দুর্বল হয়। যদি হক প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে সাওয়াব রয়েছে। আর যদি হক প্রতিষ্ঠা করতে না পারে তাহলে ভয়াবহ বিপদ রয়েছে।

‘‘সে কতই উত্তম দুধপানকারিণী, আবার কতই না মন্দ দুধ ছাড়ানোকারিণী’’ এর ব্যাখ্যা আলোচ্য হাদীসে নেতৃত্বের, ক্ষমতার শুরু ভাগকে দুধপানকারিণী মহিলার সাথে এবং তার শেষভাগকে দুধ ছাড়ানো মহিলার সাথে তুলনা করা হয়েছে। দুধ পান করলে শিশু ও মা যেমন আনন্দ পায় তেমনি মানুষ ক্ষমতা ও নেতৃত্ব লাভ করার মাধ্যমে আনন্দ পায়। আবার শিশুকে দুধ পান করানো ছেড়ে দিলে সে যেমন কষ্ট পায় অনুরূপ মানুষের ক্ষমতা চলে গেলে কষ্ট পায়।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেছেনঃ দুধপানকারিণী কতই না উত্তম পৃথিবীতে দুধ ছাড়ানোকারিণী কতই না মন্দ মৃত্যুর পরে। (ফাতহুল বারী ১৩শ খন্ড, হাঃ ৭১৪৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)