৩৬৭৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৭৪-[১৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ইমাম বা শাসকের আনুগত্য থেকে দূরে সরে গেল, কিয়ামতের দিন সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকবে না। আর যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে, তার ঘাড়ে কোনো বায়’আত নেই, সে জাহিলিয়্যাতের ন্যায় মৃত্যুবরণ করবে। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: «مَنْ خَلَعَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ لَقِيَ اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا حُجَّةَ لَهُ. وَمَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِي عُنُقِهِ بَيْعَةٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً» . رَوَاهُ مُسلم

وعن عبد الله بن عمر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من خلع يدا من طاعة لقي الله يوم القيامة ولا حجة له ومن مات وليس في عنقه بيعة مات ميتة جاهلية رواه مسلم

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে বায়‘আত ভঙ্গ করার ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ হাত রাখার অর্থ হচ্ছে অঙ্গীকার করা বা বায়‘আত নবায়ন করা। সাধারণতঃ মানুষ হাতের উপর হাত রাখার মাধ্যমে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার অবস্থাকে বুঝে। আর হাত সরানোর মাধ্যমে বায়‘আত ভঙ্গ করার অর্থ নেয়া এর মাধ্যমে তিনি উদ্দেশ্য নিয়েছেন ঐ ব্যক্তিকে যে বায়‘আত ভঙ্গ করে এবং নিজেকে ইমামের অনুগত্য থেকে মুক্ত করে নেয়। এমন ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কিয়ামতের দিন সাক্ষাৎ করবে গুনাগাহগার অবস্থায় তার কোনো ওযর তিনি গ্রহণ করবেন না।

(مَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِىْ عُنُقِه بَيْعَةٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً) এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে ব্যক্তি মুসলিমদের স্বীকৃত ইমামের বায়‘আত থেকে বের হয়ে যাবে তার জাহিলী মৃত্যু হবে। কিন্তু প্রচলিত ইমামদের বায়‘আত থেকে যে বের হবে তার কোনো দোষ হবে না। (শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৮৫১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)