৩৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৬৮-[৮] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি যদি তার আমীরকে অনৈতিক কোনো কিছু করতে দেখে, তাহলে সে যেন ধৈর্যধারণ করে। কেননা যে কেউ ইসলামী জামা’আত থেকে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে যায় এবং এ অবস্থায় মারা যায়, সে জাহিলিয়্যাত যুগের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «من رأى أميره يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ فَإِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ يُفَارِقُ الْجَمَاعَةَ شبْرًا فَيَمُوت إِلَّا مَاتَ ميتَة جَاهِلِيَّة»

وعن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من راى اميره يكرهه فليصبر فانه ليس احد يفارق الجماعة شبرا فيموت الا مات ميتة جاهلية

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি আমীর ও শাসকের আনুগত্য থেকে নিজেকে বিরত রাখে, মুসলিমদের দল থেকে বের হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তার মৃত্যু হলে সে মৃত্যু হবে জাহিলিয়্যাতের উপর মৃত্যুবরণ করা। কেননা জাহিলী যুগের মানুষেরা দীন সম্পর্কে ছিল মূর্খ, অজ্ঞ। এজন্য তারা তাদের সরদার ও গোত্রপতিদের আনুগত্য করত। তারা তাদের আমীর বা শাসকের নির্দেশকে অবজ্ঞা করত। তারা প্রকাশ্যভাবে ইমামের বিরোধিতায় লিপ্ত হত।

আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, ইসলামের মজবুত সংগঠন থাকা এবং তার অধীনে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্ব অপরিসীম।

অত্র হাদীসে শর্তযুক্ত করা হয়েছে যা মুতালাকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে পূর্বের দু’টি হাদীসে শাসকের নির্দেশ মান্য করা ও শ্রবণ করা যদিও হাবশী গোলাম হয়। আর ধৈর্যধারণ করা ঐ সমস্ত বিষয়ে যার মাঝে শাসকের অপছন্দনীয় কাজ রয়েছে। ভীতিপ্রদর্শন করা হয়েছে জামা‘আত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। (ফাতহুল বারী ১৩ খন্ড, হাঃ ৭১৪৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)