৩৫৪০

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে

৩৫৪০-[৮] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাদাকা প্রদানে উৎসাহ দিতেন এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকলাঙ্গ করতে নিষেধ করতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحُثُّنَا عَلَى الصَّدَقَةِ وَيَنْهَانَا عَنِ الْمُثْلَةِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

عن عمران بن حصين قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحثنا على الصدقة وينهانا عن المثلة رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: খত্ত্বাবী বলেনঃ الْمُثْلى তথা অঙ্গচ্ছেদন বা অঙ্গবিকৃতি হলো মৃত্যুর পূর্বে বা পরে নিহত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছেদন করে অথবা আকৃতির বিকৃতি করে শাস্তি প্রদান করা। যেমন নাক কর্তন করা, কান কেটে ফেলা অথবা চোখ উপড়ে ফেলা অথবা এরূপ কোনো অঙ্গহানি করা। এই নিষেধ যখন কাফির মুসলিম নিহত ব্যক্তির অঙ্গ বিকৃতি না করে তখন প্রযোজ্য। আর যদি অঙ্গচ্ছেদন করা হয় তবে কাফিরের অঙ্গচ্ছেদন করা জায়িয। সে কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উরায়নাহ্ গোত্রের লোকেদের হাত ও পা কেটেছিলেন এবং তাদের চোখকে উপড়ে ফেলেছিলেন। কেননা তারা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাখালদের অনুরূপ শাস্তি দিয়েছিল।
তেমনিভাবে মুসলিমের কেউ যখন নিহত ব্যক্তির অঙ্গ বিকৃতি করে এবং হত্যার পূর্বে শাস্তি দেয় তখন মুসলিমের মাঝে ক্বিসাসের হুকুম জায়িয। কেননা সেও অনুরূপ শাস্তির যোগ্য। আর এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوْا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدٰى عَلَيْكُمْ

‘‘কাজেই যে কেউ তোমাদের প্রতি কঠোর আচরণ করে, তবে তোমরাও তাদের প্রতি কঠোর আচরণ কর যেমনি কঠোরতা সে তোমাদের প্রতি করেছে। (সূরা আল বাকারা ২ : ১৯৪) (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৬৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৬: কিসাস (প্রতিশোধ) (كتاب القصاص)