৩৪৫০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৪৫০-[৫] উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জুহায়নাহ্ নামক গোত্রের লোকেদের বিরুদ্ধে (জিহাদে) পাঠালেন। অতঃপর আমি যখন তাদের এক ব্যক্তির সামনাসামনি তরবারি দ্বারা আঘাত হানতে উদ্যত হলাম, তখন সে বলে উঠল ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’। কিন্তু আমি তাকে তরবারির আঘাতে হত্যা করে ফেললাম। অতঃপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তার ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ সাক্ষ্য দেয়ার পরও তাকে হত্যা করেছ? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সে তো স্বীয় জীবন রক্ষার্থে এরূপ বলেছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তার অন্তর ভেদ করে দেখলে না কেন? (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُنَاسٍ مِنْ جُهَيْنَةَ فَأَتَيْتُ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ فَذَهَبْتُ أَطْعَنُهُ فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَطَعَنْتُهُ فَقَتَلْتُهُ فَجِئْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: «أقَتلتَه وقدْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ تَعَوُّذًا قَالَ: «فهَلاَّ شقَقتَ عَن قلبه؟»

وعن اسامة بن زيد قال بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم الى اناس من جهينة فاتيت على رجل منهم فذهبت اطعنه فقال لا اله الا الله فطعنته فقتلته فجىت الى النبي صلى الله عليه وسلم فاخبرته فقال اقتلته وقد شهد ان لا اله الا الله قلت يا رسول الله انما فعل ذلك تعوذا قال فهلا شققت عن قلبه

ব্যাখ্যা: কোনো লোক অন্তর হতে প্রকৃতভাবে ঈমান আনয়ন করেছে কিনা- তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই অবগত আছেন। সুতরাং কোনো ব্যক্তি বাহ্যিক ও মৌখিক কালিমাহ্ পাঠ করলে এবং কালিমাকে স্বীকার করে নিলে সে মুসলিম বলে গণ্য হবে। অতএব মুখে কালিমাহ্ স্বীকারকারী প্রত্যেক মুসলিমের নিকট অপর মুসলিমের রক্ত যেমন হারাম তেমনি যে কেউ তাৎক্ষণিক ঈমান আনলে তার রক্তও অপর মুসলিমের জন্য হারাম বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ কোনো মুসলিম তাকে হত্যা করতে পারবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৮৭২; শারহে মুসলিম ২য় খন্ড, হাঃ ৯৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৬: কিসাস (প্রতিশোধ) (كتاب القصاص)