৩৪৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মানৎ

৩৪৪৪-[১৯] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে শুনেছি, মানৎ দু’ প্রকার। সুতরাং যে ব্যক্তি নেক কাজের জন্য মানৎ করবে, তা কেবল আল্লাহর জন্য হবে। আর যে ব্যক্তি গুনাহের কাজের জন্য মানৎ করে, তা কেবল শায়ত্বনের জন্য হবে। এই জাতীয় মানৎ পূরণ করতে নেই। সুতরাং কসম ভঙ্গ করলে যেরূপ কাফফারা আদায় করতে হয়, অনুরূপ তা করতে হবে। (নাসায়ী)[1]

عَن عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: النَّذْرُ نَذْرَانِ: فَمَنْ كَانَ نَذَرَ فِي طَاعَةٍ فَذَلِكَ لِلَّهِ فِيهِ الْوَفَاءُ وَمَنْ كَانَ نَذَرَ فِي مَعْصِيَةٍ فَذَلِكَ لِلشَّيْطَانِ وَلَا وَفَاء فِيهِ وَيُكَفِّرُهُ مَا يُكَفِّرُ الْيَمِينَ . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ

عن عمران بن حصين قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول النذر نذران فمن كان نذر في طاعة فذلك لله فيه الوفاء ومن كان نذر في معصية فذلك للشيطان ولا وفاء فيه ويكفره ما يكفر اليمين رواه النساىي

ব্যাখ্যা: (لَا وَفَاء فِيهِ) মানৎ পুরো করা উচিত হবে না বরং ওয়াজিব হলো ভেঙ্গে ফেলা এবং কাফফারা আদায় করবে।

ইবনু হুমাম বলেনঃ যখন কাফির কসম করে, অতঃপর ভেঙ্গে ফেলে কুফরী অবস্থায় অথবা ইসলাম গ্রহণের পর তাহলে তার কোনো কাফফারা নেই। আর কাফির যদি মানৎ করে, সাদাকা অথবা সওম পালনের আমাদের নিকট ইসলাম গ্রহণ করার পরে অথবা পূর্বে তার ওপর কোনো কিছু নেই।

আর শাফি‘ঈ ও আহমাদ-এর মতে অবশ্যই লাগবে। দলীল পেশ করেন বুখারী ও মুসলিম-এর। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ : يَا رَسُولَ اللّٰهِ! إِنِّي نَذَرْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَنْ أَعْتَكِفَ لَيْلَةً فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَفِي رِوَايَةٍ يَوْمًا، فَقَالَ : أَوْفِ بِنَذْرِكَ.

‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! জাহিলী যুগে আমি মানৎ করেছি যে, আমি মসজিদ হারামে এক রাত্রি ই‘তিকাফ করব। অন্য বর্ণনায় ‘রাত্রি’ জবাবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তোমার মানৎ পুরা কর। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৫: কসম ও মানৎ (كتاب الأيمان والنذور)