৩৪১৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৪১৭-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, অত্র আয়াত ’’তোমাদেরকে নিরর্থক কসমের জন্য আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে দায়ী করবেন না’’- (সূরা আল বাকারা ২ : ২২৫) ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে, যেلَا وَاللهِ (না, আল্লাহর কসম) এবংبَلٰى وَاللهِ (হ্যাঁ, আল্লাহর কসম) বলে। (বুখারী)[1]

আর শারহুস্ সুন্নাহ্-এর মধ্যে এ বর্ণনা মাসাবীহ গ্রন্থকারের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। শারহুস্ সুন্নাহ্’তে আরও বলা হয়েছে যে, কোনো কোনো রাবী এ হাদীস ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে মারফূ’ হিসেবে (তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীরূপে) বর্ণনা করেছেন।

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

عَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: (لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ)
فِي قَوْلِ الرَّجُلِ: لَا وَاللَّهِ وَبَلَى وَاللَّهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ لَفْظُ الْمَصَابِيحِ وَقَالَ: رَفَعَهُ بَعْضُهُمْ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ

عن عاىشة رضي الله عنها قالت انزلت هذه الاية لا يواخذكم الله باللغو في ايمانكمفي قول الرجل لا والله وبلى والله رواه البخاري وفي شرح السنة لفظ المصابيح وقال رفعه بعضهم عن عاىشة رضي الله عنه

ব্যাখ্যা: لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللّٰهُ بِاللَّغْوِ فِى ايْمَانِكُمْ ‘‘তোমাদেরকে আল্লাহর শক্তি দিবেন না তোমাদের অনর্থক কসমের জন্য।’’ اللَّغْوِ (লাগ্ব) দ্বারা এর অর্থ হলো পরিত্যক্ত কথাবার্তায় যা ধর্তব্য না।

আর অনর্থক কসম বলতে যা মজবুত হয় না বা সংঘঠিত হয় না। যেমন কুরআনের দলীল وَلٰكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ ‘‘তবে আল্লাহ পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্য যা তোমরা মজবুত করে থাক।’’ (সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৮৯)

আয়াটি অবতীর্ণ হয়েছে ব্যক্তির কথার প্রেক্ষিতে আর তা হলো لَا وَاللّٰهِ না-বোধক শপথে। وَبَلٰى وَاللّٰهِ হ্যাঁ-বোধক শপথে। শপথের উদ্দেশ্য ছাড়াই বরং শুধুমাত্র হুকুমটি দৃঢ়তার উদ্দেশ্য যা মানুষের মুখে সচরাচর ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ইবনু হুমাম হিদায়ার ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেনঃ اللَّغْوِ (লাগ্ব) কসম হলো ব্যক্তি কোনো বিষয়ের কসম খায় এবং যেমনটি করেছে তার সে ধারণা করে, কিন্তু বাস্তবতা হলো এর বিপরীত। যেমন বলে, আল্লাহর কসম! আমি বাড়ীতে প্রবেশ করেছি, আল্লাহর কসম! যায়দ-এর সাথে কথা বলেছি বাস্তবে যে তা করেনি এমন সংজ্ঞা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।

অতীতের অথবা ভবিষ্যতের কোনো কাজে অনিচ্ছাকৃতভাবে সাধারণত মানুষ নিজের কথাটিকে সুদৃঢ় করার উদ্দেশে যে কসম করে থাকে অথচ তা দ্বারা তার কসম করা উদ্দেশ্য এমন কসমকে লাগ্ব বলে এটা শাফি‘ঈ-এর মতে। আর শা‘বী ও মাসরূক বলেছেন, লাগ্ব কসম করা নিজের জন্য হারাম যে সব বিষয়ে আল্লাহ হালাল করেছেন কথা কাজে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৫: কসম ও মানৎ (كتاب الأيمان والنذور)