৩৩৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৬৩-[২২] উক্ত রাবী [’আলী (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি এক দাসী ও তার সন্তানের মাঝে (একজনকে বিক্রির মাধ্যমে) বিচ্ছেদ ঘটালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করলেন এবং বিক্রয় প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেন। (আবূ দাঊদ হাদীসটি মুনক্বতি’ [বিচ্ছিন্ন] সানাদে বর্ণনা করেছেন)[1]

وَعَنْهُ أَنَّهُ فَرَّقَ بَيْنَ جَارِيَةٍ وَوَلَدِهَا فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فردَّ البَيعَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد مُنْقَطِعًا

وعنه انه فرق بين جارية وولدها فنهاه النبي صلى الله عليه وسلم عن ذلك فرد البيع رواه ابو داود منقطعا

ব্যাখ্যা : এ হাদীসটিও ‘আলী থেকে বর্ণিত। এ হাদীসেও আমরা দেখছি যে, বিক্রির মাধ্যমে আলি মা ও তার সন্তানের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির কারণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিক্রয় প্রত্যাখ্যান করেন। তাই দাসী ও তার অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে বিক্রি করতে হলে একজনের কাছেই উভয়কে এক সাথে বিক্রি করতে হবে। একজনকে রেখে অপরজনকে বিক্রি করে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিক্রয় প্রত্যাখ্যান করেন।

খত্ত্বাবী বলেনঃ ছোট সন্তান ও তার মায়ের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা জায়িয না হওয়ার ব্যাপারে ‘আলিমদের মাঝে কোনো দ্বিমত নেই। তবে সন্তানের ছোট হওয়ার সীমা যার ভিতর বিচ্ছিন্নতা জায়িয নেই- এ নিয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-ও তাঁর অনুসারীদের মতে এই সীমা হচ্ছে বালেগ হওয়া। অর্থাৎ সন্তান বালেগ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিক্রয় বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতা ঘটানো জায়িয নেই। বালেগ হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন করা না-জায়িয নয়।

ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেনঃ এর সীমা সাত বা আট বছর। আট বছর পার হয়ে গেলে বিচ্ছিন্নতা জায়িয। ইমাম আওযা‘ঈ বলেনঃ যখন সন্তান তার প্রয়োজনে মায়ের মুখাপেক্ষী হবে না তখন বিচ্ছিন্ন করা যাবে। ইমাম মালিক (রহঃ)-এর সন্তানের বুঝ আসা পর্যন্ত এর সীমা। ইমাম আহমাদ (রহঃ)-এর মতে কোনো অবস্থায়ই মা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা জায়িয নয়, যদিও সে বড় হয়ে বালেগ হয়ে যায়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৯৩)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)