৩৩৬০

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৬০-[১৯] আবূ সা’ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন তার খাদিম (চাকর-বাকর)-কে মারধর করে, আর ঐ সময়ে সে যদি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, তখন তোমরা হাত সরিয়ে নাও। (তিরমিযী ও বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]

ইমাম বায়হাক্বী’র বর্ণনায় ’হাত সরানোর’ পরিবর্তে ’তাত্থেকে বিরত থাক’ রয়েছে।

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا ضَرَبَ أَحَدُكُمْ خَادِمَهُ فَذَكَرَ اللَّهَ فَارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ لَكِنْ عِنْدَهُ «فَلْيُمْسِكْ» بدل «فارفعوا أَيْدِيكُم»

وعن ابي سعيد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا ضرب احدكم خادمه فذكر الله فارفعوا ايديكم رواه الترمذي والبيهقي في شعب الايمان لكن عنده فليمسك بدل فارفعوا ايديكم

ব্যাখ্যা: (فَارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ) তোমরা তোমাদের হাত তুলে নাও, অর্থাৎ প্রহার বন্ধ করে দাও। কোনো বর্ণনায় এসেছে, (فَلْيُمْسِكْ) অর্থাৎ সে যেন বিরত হয়ে যায়।

হাদীসের মর্ম হলো: কেউ তার গোলামকে যদি শিক্ষা দানের জন্য প্রহার করে এবং তার প্রহার করা অবস্থায় গোলাম আল্লাহর নাম নেয়, তখন আল্লাহর নামের সম্মানার্থে তাকে প্রহার বন্ধ করে দিবে। এই হুকুম হচ্ছে আদাব বা শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে তাকে যখন ন্যায়সঙ্গত হালকা শাস্তি দিবে। অন্যায় শাস্তি দেয়া, প্রচণ্ড প্রহার করা কোনোক্রমেই জায়িয নয়। এমন অত্যাচার তো এমনিতেই বন্ধ করতে হবে। উপরে একাধিক হাদীসে আমরা বিষয়টি দেখে এসেছি। তবে গোলাম যদি কোনো অন্যায় করে যার কারণে তার ওপর শারী‘আত নির্ধারিত দণ্ডবিধি কায়িম করা হচ্ছে, এমতাবস্থায় সে আল্লাহর নাম নিলে প্রহার বন্ধ করতে হবে না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৪৯)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)