৩৩৫২

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৫২-[১১] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি স্বীয় দাসের ওপর বিনা দোষে ’হাদ্দ’ (শাস্তি) প্রয়োগ করে অথবা থাপ্পড় মারে, তবে তার কাফফারা হলো তাকে মুক্ত করা। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّفَقَاتِ وَحَقِّ الْمَمْلُوْكِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ ضَرَبَ غُلَامًا لَهُ حَدًّا لَمْ يَأْتِهِ أَوْ لَطَمَهُ فَإِن كَفَّارَته أَن يعتقهُ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابن عمر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من ضرب غلاما له حدا لم ياته او لطمه فان كفارته ان يعتقه رواه مسلم

ব্যাখ্যা: হাদীসের মর্ম হলো বিনা অপরাধে বা বিনা কারণে গোলামকে প্রহার করলে এ অপরাধের কাফফারা তথা এ থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় হলো, উক্ত গোলামকে আযাদ করে দেয়া। তবে সবার মতে এই কাফ্ফারার নির্দেশটি ওয়াজিব হিসেবে নয় বরং মুস্তাহাব হিসেবে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যে এমন অপরাধ করবে সে তার গুনাহের কাফ্ফারার আশায় উক্ত গোলামকে ‘আযাব বা মুক্ত করে দিবে। হাদীসে কাফফারার হুকুমটি ওয়াজিব না হওয়ার দলীল হিসেবে সুওয়াই বিন মুকাররিন থেকে বর্ণিত সহীহ মুসলিমের হাদীসটি উল্লেখযোগ্য। হাদীসে রয়েছে, রসূলের সময়ে তাদের কেউ তাদের গোলামকে থাপ্পড় মারলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই গোলামকে আযাদ করে দেয়ার নির্দেশ দেন। সাহাবীরা বললেন, তাদের এছাড়া আর কোনো গোলাম নেই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারা যেন এরই সেবা নেয়, তবে যখন দরকার থাকবে না তখন যেন একে আযাদ করে দেয়।

‘উলামাগণ এ কথার উপর একমত যে, মুনীব যদি তার দাসকে অতি সাধারণ হালকা শাস্তি দেয় তবে তার জন্য গোলামকে আযাদ করতে হবে না। কিন্তু যদি কঠিন প্রহার করে, যেমন প্রহার করে তার একটি অঙ্গ নষ্ট করে দিলো, এ ক্ষেত্রে ইমাম মালিক ও তার ছাত্ররা এবং ইমাম লায়স-এর মতে গোলামকে আযাদ করে দেয়া ওয়াজিব। অন্যান্য ‘আলিমদের মতে আযাদ করা ওয়াজিব নয়, তবে বাদশাহ এর বিচার স্বরূপ মুনীবকে শাস্তি দিবে। (শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ ১৬৫৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)