৩৩৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৪৮-[৭] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো দাস যখন স্বীয় মালিকের কল্যাণকামী হয় ও উত্তমরূপে আল্লাহ তা’আলার ’ইবাদাত (সৎকর্ম) করে, তখন তাকে দ্বিগুণ সাওয়াব প্রদান করা হয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ النَّفَقَاتِ وَحَقِّ الْمَمْلُوْكِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا نَصَحَ لِسَيِّدِهِ وَأَحْسَنَ عِبَادَةَ اللَّهِ فَلَهُ أَجْرُهُ مرَّتَيْنِ»

وعن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان العبد اذا نصح لسيده واحسن عبادة الله فله اجره مرتين

ব্যাখ্যা: ইতোপূর্বে বর্ণিত হাদীসগুলোতে দাসের প্রতি মালিকের আচরণের কথা বলা হয়েছে বলে আমরা দেখতে পেয়েছি। দাসের প্রতি মালিকের যেমন কিছু করণীয় রয়েছে, দাসের ওপরও মালিকের প্রতি কিছু করণীয় রয়েছে, আর তা হলো মালিকের সেবা সঠিভাবে আঞ্জাম দেয়া। যে দাস তার মালিকের প্রতি অনুগত এবং আল্লাহ তা‘আলার প্রতিও অনুগত, এমন দাসের মর্যাদার কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বলেছেন।

(إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا نَصَحَ لِسَيِّدِه) ‘আরবীতে নাসীহাত শব্দটি ব্যাপক অর্থবোধক। যার সার কথা হলো, যে কোনো পন্থায় কারো কল্যাণ কামনা করা। দাস তার মুনীবের কল্যাণ কামনা বলতে : মুনীবের সেবায় নিরেটভাবে নিয়োজিত থাকা, মুনীবের জন্য কল্যাণ কামনা করা, সুপরামর্শ দেয়া ইত্যাদি।

(فَلَه أَجْرُه مَرَّتَيْنِ) তবে সে দ্বিগুণ প্রতিদান পাবে। কেননা প্রতিদানের বিষয়টি কষ্টের উপর নির্ভর করে। কোনো কাজ করতে যাকে যত বেশি বেগ পেতে হয় তার প্রতিদান তত বেশি থাকে। দাস এখানে দু’টি আনুগত্য একত্রে পালন করছে। এক তার প্রভুর আনুগত্য। দুই তার মালিকের আনুগত্য। মালিকের আনুগত্যের সাথে সাথে প্রভুর আনুগত্য করার দরুন তার ওপর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে যা স্বাধীন ব্যক্তির ওপর নেই। তাই স্বাধীন ব্যক্তির তুলনায় সে দ্বিগুণ প্রতিদান পাবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)