৩৩০১

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিন তালাকপ্রাপ্তা রমণীর বর্ণনা

৩৩০১-[৭] সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) সালামাহ্ ইবনু সাখর (রাঃ) হতে। আর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, যদি যিহারকারী কাফফারা দেয়ার পূর্বে সহবাস করে, তার প্রতিও একটি কাফফারা দিতে হবে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُظَاهِرِ يُوَاقِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ قَالَ: «كَفَّارَة وَاحِدَة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

وعن سليمان بن يسار عن سلمة بن صخر عن النبي صلى الله عليه وسلم في المظاهر يواقع قبل ان يكفر قال كفارة واحدة رواه الترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: মুযাহির ব্যক্তি অর্থাৎ যে তার স্ত্রীর সাথে যিহার করেছে সে উক্ত স্ত্রীকে নিয়ে বৈবাহিক জীবন-যাপন করতে হলে তাকে কাফফারা দিতে হয়। যার আলোচনা ওপরে হয়েছে। সহবাসের পূর্বেই তাকে কাফফারা আদায় করতে হয়। যিহারের কাফফারা আদায় করার পর সে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে। তবে কেউ যদি কাফফারা না দিয়েই সহবাস করে ফেলে তবে তাকে যিহারের কাফফারা ছাড়াও কাফফারা দেয়ার পূর্বে সহবাসের কারণে অতিরিক্ত আরেকটি কাফফারা দিতে হবে। বর্ণিত হাদীসে এই বিধানের কথাই বলা হয়েছে। এই হাদীসের আলোকে অধিকাংশ ‘আলিম এই মতই পোষণ করেন যে, কেউ যিহারের কাফফারা আদায়ের পূর্বে স্ত্রীর সাথে কাম পুরো করার কাজে লিপ্ত হলে তাকে যিহারের কাফফারা ছাড়াও আরেকটি অতিরিক্ত কাফফারা দিতে হবে। ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ, আহমাদ প্রমুখ (রহঃ) এই মত পোষণ করেন। অপরদিকে হানাফী ‘আলিমদের মতে যিহারের কাফফারা আদায়ের পূর্বে স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেললে সে গুনাহ করল। এজন্য তাকে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাওবাহ করতে হবে। কিন্তু প্রথম কাফফারা অর্থাৎ যিহারের মূল কাফফারা ছাড়া অন্য কোনো কাফফারা ওয়াজিব হবে না। তবে যিহারের কাফফারা প্রদান না করা পর্যন্ত সহবাসের পুনরাবৃত্তি করবে না।

ইমাম মালিক (রহঃ)-এর মত অধিকাংশের ‘আলিমের মতের সাথে উল্লেখ করলেও মুয়াত্ত্বায় রয়েছে,

ومن تظاهر من امرأته ثم مسها قبل ان يكفر ليس عليه الا كفارة واحدة ويكف عنها حتى يكفر وليستغفر الله وذلك أحسن ما سمعت.

‘‘যে তার স্ত্রীর সাথে যিহার করবে, তারপর যিহারের কাফফারা আদায়ের পূর্বেই স্ত্রীর সহবাস করে ফেলে তবে তার ওপর একটি কাফফারা ছাড়া অন্য কিছু নেই। তবে সে কাফফারা দেয়া পর্যন্ত বিরত থাকবে এবং আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। এ ব্যাপারে আমি যা মতামত শুনেছি এটাই সর্বোত্তম।’’ (মুয়াত্ত্বা মালিক, অধ্যায় : তালাক, অনুচ্ছেদ : স্বাধীন ব্যক্তির যিহার, হাঃ ১১৬৭)

এখানে আরো দু’টি মত রয়েছে। ‘আবদুর রাহমান ইবনু মাহদীর নিকট যিহারের কাফফারার পূর্বে সহবাস করলে দু’টি কাফফারা প্রদান করতে হবে। ‘আমর ইবনুল ‘আস, কাবীসাহ্, সা‘ঈদ ইবনু জুবায়র, যুহরী এবং কাতাদাহ (রহঃ) থেকে এই মতটি বর্ণনা করা হয়। আবার হাসান বাসারী, নাখ‘ঈ (রহঃ) থেকে তিনটি কাফফারা ওয়াজিব হওয়ার বিবরণ রয়েছে। তবে বর্ণিত হাদীসটি সবার বিরুদ্ধে দলীল। অর্থাৎ মুযাহির ব্যক্তি যিহারের কাফফারা আদায়ের পূর্বে সহবাস করে নিলে তাকে যিহারের কাফফারা ছাড়া আরো একটি কাফফারা আদায় করতে হবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১১৯৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)