৩০৯০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩০৯০-[১১] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের নিকট কেউ বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়, তখন দীনদারী ও সচ্চরিত্রের মূল্যায়ন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ কর। যদি তোমার তা না কর, তাহলে দুনিয়াতে বড় রকমের ফিতনা-বিশৃঙ্খলা জন্ম দেবে। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ إِنْ لَا تَفْعَلُوهُ تَكُنْ فِتَنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إذا خطب إليكم من ترضون دينه وخلقه فزوجوه إن لا تفعلوه تكن فتنة في الأرض وفساد عريض» . رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: এটা এ কারণে যে, যদি তোমরা সম্পদ কিংবা অন্য দিক বিবেচনায় বিবাহ না দাও তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাবে যে, অধিকাংশ মহিলা স্বামী ছাড়া থাকবে। অন্য দিকে অনেক পুরুষ-ই স্ত্রী ছাড়া থেকে যাবে। এর ফলে যিনা-ব্যভিচারের মাধ্যমে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং কখনও কখনও এ বিষয় নিয়ে অভিভাবকগণ বিপাকে পড়বেন। আর বংশ বিস্তার বন্ধ হয়ে যাবে এবং মীমাংসার ও সৃষ্ট ফিতনা থেকে মুক্তির সম্ভাবনাক্রমেই ক্ষীণ হয়ে যাবে।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীস ইমাম মালিক (রহঃ)-এর মতের স্বপক্ষে দলীল। তিনি বলেন, দীন ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কুফু (সমতা) প্রযোজ্য নয়। জুমহূর ‘উলামাগণের মতে চারটি বিষয়ে কুফু লক্ষ্যণীয়- যথা (১) দীনদারিত্ব (২) স্বাধীন হওয়া (৩) বংশ (৪) কর্ম অর্থাৎ কর্ম করে খেতে পারবে কিনা। তবে মহিলা কিংবা তার অভিভাবক যদি কুফু বা সমতা ছাড়াই বিবাহে রাজী হয় তবে বিবাহ সঠিক হবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ১০৮৪; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)