৩০৪২

পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)

৩০৪২-[২] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নির্ধারিত (ধন-সম্পদের) অংকসমূহ তাদের হকদারদেরকে পৌঁছিয়ে দেবে। তারপর যা বাঁচবে তা নিকটতম পুরুষ ব্যক্তির জন্য। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْفَرَائِضِ وَالْوَصَايَا

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لِأَوْلَى رَجُلٍ ذكر»

وعن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحقوا الفراىض باهلها فما بقي فهو لاولى رجل ذكر

ব্যাখ্যা: মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ কুরআনুল মাজীদে বর্ণিত নির্ধারিত অংশ কুরআন ও সুন্নাহতে বর্ণিত ওয়ারিসদের অংশ দেয়ার পর মৃত ব্যক্তির সম্পদের অবশিষ্টাংশ পাওয়ার অধিকতর উপযুক্ত ও নিকটবর্তী হলেন- ঐ পুরুষ যার জন্যে কুরআনুল মাজীদ অংশ নির্ধারণ করেনি আর ঐ সকল পুরুষের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছেন মৃত ব্যক্তির ছেলে, অতঃপর ভাই। এভাবে সম্পর্কের দিক দিয়ে যে মৃত ব্যক্তির নিকটতর হবে সেই অবশিষ্ট অংশ পাবে। এটাই অবশিষ্টাংশ বণ্টনের মূলনীতি।

যে সকল ওয়ারিসের অংশ কুরআন নির্ধারণ করে দিয়েছে তারা হলেন সর্বমোট বারো জন। তন্মধ্যে চারজন পুরুষ- যথাঃ ১. পিতা, ২. দাদা, ৩. বৈপিত্রেয় ভাই, ৪. স্বামী। এবং আটজন মহিলা- যথাঃ ১. স্ত্রী, ২. কন্যা, ৩. নাতনী (ছেলের কন্যা) ৪. সহোদরা বোন, ৫. বৈপিত্রেয় বোন, ৬. বৈমাত্রেয় বোন, ৭. মা, ৮. দাদী। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৭৩২; শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ ১৬১৫; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)