৩০১১

পরিচ্ছেদঃ ১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - দানসমূহ

৩০১১-[৪] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে জীবনস্বত্ব দেয়া হয় তা তার ও তার উত্তরাধিকারীদের জন্য, যাকে দেয়া হয়েছে সেটা তারই হয় এবং যে দিয়েছে তার দিকে (পুনরায়) ফিরে আসে না। কারণ সে এমনভাবে দান করেছে যাতে (গ্রহীতার) উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْعَطَايَا

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ أُعْمِرَ عمرى لَهُ ولعفبه فَإِنَّهَا الَّذِي أعطيها لَا ترجع إِلَى الَّذِي أَعْطَاهَا لِأَنَّهُ أَعْطَى عَطَاءً وَقَعَتْ فِيهِ الْمَوَارِيث»

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ايما رجل اعمر عمرى له ولعفبه فانها الذي اعطيها لا ترجع الى الذي اعطاها لانه اعطى عطاء وقعت فيه المواريث

ব্যাখ্যা: সহীহ মুসলিমে আবূ সালামাহ্ হতে যুহরীর বর্ণনাতে আছে- ‘‘যে কোনো ব্যক্তিকে জীবনস্বত্ব দান করা হবে তা তার জন্য এবং তার পরবর্তীদের জন্য। কেননা জীবনস্বত্ব দান ঐ ব্যক্তির জন্য সাব্যস্ত হয় যাকে তা দান করা হয়েছ, যে তা দান করেছে তার কাছে তা ফিরে আসবে না, কেননা সে এমন দান করেছে যাতে উত্তরাধিকারিত্ব সংঘটিত হয়েছে।’’ এ শব্দ যুহরী হতে মালিক-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, এতে অনুরূপ যুহরী হতে ইবনু জুরায়জ-এর সূত্রে আছে আর এতে যুহরী হতে লায়স-এর সানাদে আছে, আর ‘‘তাতে তার হক আছে এবং তা যাকে জীবনস্বত্ব দান করা হয়েছে তার জন্য এবং তার পরবর্তীদের জন্য।’’ এ কথাটি মাকতূ‘ বা বিচ্ছিন্ন এবং তার শেষে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। মুসলিমে যুহরী হতে মা‘মার-এর সূত্রে আছে, ‘‘জীবনস্বত্ব দান কেবল এটা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগত কথা বলার মাধ্যমে বৈধ করেছেন আর তা হলো- এটা তোমার জন্য এবং তোমার পরবর্তীদের জন্য। অতঃপর যখন ব্যক্তি বলবে, ‘‘তোমার জীবন-যাপন পর্যন্ত এটা তোমার জন্য’’ তখন তা মালিকের দিকে ফিরে আসবে। মা‘মার বলেনঃ যুহরী এ ব্যাপারে ফতোয়া দিত, আর তিনিও কারণ উল্লেখ করেননি। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬২৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)