২৯৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

২৯৯৮-[৮] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র (রাঃ)-কে তাঁর এক ঘোড়ার দৌড়ের সমপরিমাণ জমিন দিতে বললেন। তাই যুবায়র স্বীয় ঘোড়া দৌড়ালেন, পরিশেষে ঘোড়া থেমে গেল। অতঃপর তিনি স্বীয় চাবুক ছুঁড়লেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তার চাবুক পৌছার স্থান পর্যন্ত দিয়ে দাও। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ لِلزُّبَيْرِ حُضْرَ فَرَسِهِ فَأَجْرَى فَرَسَهَ حَتَّى قَامَ ثُمَّ رَمَى بِسَوْطِهِ فَقَالَ: «أَعْطُوهُ مِنْ حَيْثُ بَلَغَ السَّوْطُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم اقطع للزبير حضر فرسه فاجرى فرسه حتى قام ثم رمى بسوطه فقال اعطوه من حيث بلغ السوط رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: অধ্যায়ের হাদীসগুলো ঐ কথার উপর প্রমাণ বহন করছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার পরবর্তী ইমামদের পক্ষে বৈধ হবে কাউকে বাদ দিয়ে কাউকে কোনো জমি এবং খনি নির্দিষ্ট করে দেয়া। শর্ত হলো- যখন এতে কোনো উপকার থাকবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ৩০৭০)

নববী (রহঃ) বলেনঃ এতে ইমামের জন্য বায়তুল মালের মালিকানাভুক্ত জমি কাউকে নির্দিষ্ট করে দেয়া বৈধ হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। ইমাম কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া ছাড়া কেউ তার মালিকানা অর্জন করবে না। অতএব ইমাম কখনো বায়তুল মালের মালিকানাভুক্ত ভূমি কোনো মানুষকে নির্দিষ্ট করে দিবে এবং মানুষ তার মালিকত্ব অর্জন করবে। মূলত এতে কল্যাণজনক হিসেবে যা মনে করে সে কারণে। সুতরাং ইমামের দেয়া দীনার, দিরহাম এবং অন্যান্য জিনিসের যেমন মালিকত্ব অর্জিত হয় তেমনিভাবে এর মালিকত্ব অর্জিত হবে। কখনো ইমাম ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমিন হতে উপকার লাভের মালিক বানাবে। অতঃপর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যক্তি জমি হতে উপকার লাভের অধিকারী হবে। পক্ষান্তরে মৃত ভূখণ্ড আবাদ করা প্রত্যেকের জন্যই বৈধ, এতে ব্যক্তি ইমামের অনুমতির মুখাপেক্ষী হবে না। এটা ইমাম মালিক, শাফি‘ঈ ও জুমহূরের মত। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)