২৯২৬

পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

২৯২৬-[২৮] ’আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ রবী’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট হতে চল্লিশ হাজার (দিরহাম) ঋণ করেছিলেন। যখন তাঁর কাছে অর্থের ব্যবস্থা হলো, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার প্রাপ্য পরিশোধ করলেন এবং দু’আ করলেন- ’বা-রকাল্লা-হু তা’আলা- ফী আহলিকা ওয়ামা-লিকা’ (অর্থা- আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনে বরকত দান করুন)। আর বললেন, ঋণ দেয়ার প্রতিদান হচ্ছে ঋণদাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং ঋণ পরিশোধ করা। (নাসায়ী)[1]

وَعَن عبد الله بن أبي ربيعَة قَالَ: اسْتَقْرَضَ مِنِّي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعِينَ أَلْفًا فَجَاءَهُ مَالٌ فَدَفَعَهُ إِلَيَّ وَقَالَ: «بَارَكَ اللَّهُ تَعَالَى فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالْأَدَاءُ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ

وعن عبد الله بن ابي ربيعة قال استقرض مني النبي صلى الله عليه وسلم اربعين الفا فجاءه مال فدفعه الي وقال بارك الله تعالى في اهلك ومالك انما جزاء السلف الحمد والاداء رواه النساىي

ব্যাখ্যা: (الْأَدَاءُ) অর্থাৎ- উত্তমরূপে পূর্ণ করে দেয়া। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ যদি বল যে, ঋণের উপর অতিরিক্ত কিছু দেয়া জায়িয নয় কেননা এ মর্মে হুকুম সাব্যস্ত রয়েছে এবং মূল পাওনা বা ঋণ ছাড়া কিছু দেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে আমি বলব যে, এটা ঋণের উপর বর্ধিত কিছু আবশ্যকতার ভিত্তিতে শর্তের মাধ্যমে চাপিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু অনুগ্রহ কর্তার ওপর কৃতজ্ঞ হওয়া এবং তার হক আদায় করা (ঋণ যথাযথ আদায় করা) ওয়াজিব। আর কিছু বৃদ্ধি দেয়াটা অনুগ্রহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)