২৮৮২

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয়ের শর্তসমূহ

২৮৮২-[৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের মধ্যে এক লোক একখন্ড জমি অপর লোক হতে ক্রয় করলো। ক্রেতা ক্রয়কৃত জমির মধ্যে এক কলসে স্বর্ণ পেল। সে বিক্রেতাকে বলল, তোমার স্বর্ণ তুমি নিয়ে যাও! আমি তো তোমার কাছ থেকে কেবল জমি ক্রয় করেছি, স্বর্ণ ক্রয় করিনি। বিক্রেতা বলল, জমি এবং জমির মধ্যে যা কিছু আছে সবই তো আমি বিক্রি করে দিয়েছি। তারা উভয়ে পরস্পরের মধ্যে বিরোধ-মীমাংসার জন্য তৃতীয় ব্যক্তির কাছে গেল। সে ব্যক্তি তাদের উভয়কে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের সন্তান-সন্ততি আছে কি? তাদের একজন বলল, আমার একটি ছেলে আছে। অপরজন বলল, আমার একটি মেয়ে আছে। তখন সে ব্যক্তি বলল, তোমাদের ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ কর এবং এই স্বর্ণ বিবাহের ব্যয় নির্বাহ কর, আর দান-খয়রাত করে দাও। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم: اشْترى رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ عَقَارًا مِنْ رَجُلٍ فَوَجَدَ الَّذِي اشْتَرَى الْعَقَارَ فِي عَقَارِهِ جَرَّةً فِيهَا ذَهَبٌ فَقَالَ لَهُ الَّذِي اشْتَرَى الْعَقَارَ: خُذْ ذَهَبَكَ عَنِّي إِنَّمَا اشْتَرَيْتُ الْعَقَارَ وَلَمْ أَبْتَعْ مِنْكَ الذَّهَبَ. فَقَالَ بَائِعُ الْأَرْضِ: إِنَّمَا بِعْتُكَ الْأَرْضَ وَمَا فِيهَا فَتَحَاكَمَا إِلَى رَجُلٍ فَقَالَ الَّذِي تَحَاكَمَا إِلَيْهِ: أَلَكُمَا وَلَدٌ؟ فَقَالَ أَحَدُهُمَا: لي غُلَام وَقَالَ الآخر: لي جَارِيَة. فَقَالَ: أَنْكِحُوا الْغُلَامَ الْجَارِيَةَ وَأَنْفِقُوا عَلَيْهِمَا مِنْهُ وَتَصَدَّقُوا

عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اشترى رجل ممن كان قبلكم عقارا من رجل فوجد الذي اشترى العقار في عقاره جرة فيها ذهب فقال له الذي اشترى العقار خذ ذهبك عني انما اشتريت العقار ولم ابتع منك الذهب فقال باىع الارض انما بعتك الارض وما فيها فتحاكما الى رجل فقال الذي تحاكما اليه الكما ولد فقال احدهما لي غلام وقال الاخر لي جارية فقال انكحوا الغلام الجارية وانفقوا عليهما منه وتصدقوا

ব্যাখ্যা: এমন পরিস্থিতিতে শারী‘আত হুকুম হলো, এ সম্পদ যদি জাহিলী জামানায় পুঁতে রাখা হয় তবে তা প্রোথিত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যদি জানা যায় যে, এটি মুসলিমদের পক্ষ হতে পুঁতে রাখা হয়েছে তবে এটি কুঁড়ে পাওয়া সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। যদি এ সম্পদের ব্যাপারটা অজ্ঞাত থাকে, অর্থাৎ এ সম্পদের বিষয়ে যদি কোনো ধরনের ধারণা না পাওয়া যায়, তবে এটি পরিত্যক্ত সম্পদ হিসেবে বায়তুল মাল তথা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। সম্ভবত তাদের শারী‘আতে এমন বিধান ছিল না বিধায় বিচারক এমন ফায়সালা দিয়েছেন। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৪৭২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)