২৮১৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সুদ

২৮১৬-[১০] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো খুরমার স্তূপের পরিমাণ না জেনে পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে লেনদেন করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ الرِّبَا

وَعَنْهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الصُّبْرَةِ مِنَ التَّمْرِ لَا يُعْلَمُ مَكِيلَتُهَا بِالْكَيْلِ الْمُسَمَّى مِنَ التَّمْرِ. رَوَاهُ مُسلم

وعنه قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن بيع الصبرة من التمر لا يعلم مكيلتها بالكيل المسمى من التمر رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (نَهٰى رَسُوْلُ اللّٰهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الصُّبْرَةِ مِنَ التَّمْرِ) ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন স্তূপকৃত খেজুর বিক্রয় করতে যার পরিমাণ জানা নেই ঐ খেজুরের বিনিময়ে যার পরিমাণ সুনিশ্চিত।’’ অর্থাৎ সুদ কার্যকর এমন বস্তুর বিনিময় করতে উভয়পক্ষের বস্তু সমান হওয়া জরুরী। যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে উভয়পক্ষের দ্রব্য সমপরিমাণ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়। হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতিতে যেহেতু একপক্ষের দ্রব্যের পরিমাণ জানা যায় কিন্তু অন্যপক্ষের দ্রব্যের পরিমাণ অজ্ঞাত, তাই এ ধরনের বেচা-কেনা অবৈধ।

হাদীসের শিক্ষা:

(১) সুদ কার্যকর এমন বস্তু অনুমানের ভিত্তিতে বেচা-কেনা অবৈধ।

(২) একপক্ষের দ্রব্যের পরিমাণ জানা কিন্তু অপরপক্ষের দ্রব্যের পরিমাণ অজ্ঞাত, এমন বেচা-কেনাও হারাম। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৫৩০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)