২৮০২

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয়ে পছন্দের স্বাধীনতা (অবকাশ থাকা)

২৮০২-[২] হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতা একজন অপরজন হতে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত উভয়ের জন্যই ক্রয়-বিক্রয়কে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ থাকবে। তারা যদি সততার সাথে ক্রয়-বিক্রয় করে ও পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দেয় তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে বরকত দান করা হবে। আর যদি তারা পণ্যের দোষ-ত্রুটি গোপন করে রাখে ও মিথ্যায় আশ্রয় নেয়, তাহলে তাদের (দোষ-ত্রুটির কারণে) ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দূর করে দেয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْخِيَارِ

وَعَن حَكِيم بن حزَام قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُوِرَكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا»

وعن حكيم بن حزام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم البيعان بالخيار ما لم يتفرقا فان صدقا وبينا بورك لهما في بيعهما وان كتما وكذبا محقت بركة بيعهما

ব্যাখ্যা: (فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا) ‘‘যদি তারা সত্য বলে এবং বর্ণনা করে’’ অর্থাৎ বিক্রেতা দ্রব্যের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে এবং এক্ষেত্রে সত্য বলে। আর ক্রেতা তার দেয় মূল্যের মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকলে অর্থাৎ ক্রেতার প্রদানকৃত মুদ্রার মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকলে তা বর্ণনা করে এবং বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যাশ্রয়ী হয়।

(بُوِرَكَ لَهُمَا فِىْ بَيْعِهِمَا) ‘‘তবে তাদের বেচা-কেনার চুক্তিতে বরকত দেয়া হয়।’’

(وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا) ‘‘ক্রেতা ও বিক্রেতা যদি মিথ্যা বলে এবং গোপন করে’’ অর্থাৎ উভয়েই তার দেয় পণ্য ও মূলের মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকলে মিথ্যা বলে ও প্রকৃত ব্যাপার গোপন করে।

(مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا) ‘‘তাহলে তাদের বেচা-কেনার বরকত দূর করে দেয়া হয়’’ অর্থাৎ এ বেচা-কেনার মধ্যে লাভ হয় না। অর্থাৎ ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে ঠকার কারণে লাভবান হতে পারে না। আর বিক্রেতা ও ক্রেতাকে ঠকানোর কারণে তার উপার্জন হারামে পরিণত করে। আর হারাম উপায়ে অর্জিত মাল তার জীবনের কোনো ক্ষেত্রের জন্যই কল্যাণকর নয়। (শারহে মুসলিম ৯/১০ খন্ড, হাঃ ১৫৩২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)