পরিচ্ছেদঃ
৪৬৭। যে ব্যক্তি মাগরীব এবং এশার মধ্যে বিশ রাকায়াত সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু মাজাহ (১/৪১৪) এবং ইবনু শাহীন “আত-তারগীব ওয়াত তারহীব” গ্রন্থে (কাফ ১৭২/১, ২৭৭-২৭৮) ইয়াকুব ইবনু ওয়ালীদ মাদীনীর সূত্রে হিশাম ইবনু উরওয়া হতে ... বর্ণনা করেছেন।
বুসয়র “আয-যাওয়াইদ” গ্রন্থে (কাফ ৮৫/১) বলেনঃ এটির সনদে ইয়াকুব ইবনুল ওয়ালীদ রয়েছেন। তিনি দুর্বল এ ব্যাপারে সকলেই একমত। তার সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি বড় বড় মিথ্যুকদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি হাদীস জাল করতেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু মাঈন এবং আবু হাতিমও তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সুয়ূতী তার এ হাদীসটিকে "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। জেনে রাখুনঃ মাগরীব এবং এশার মধ্যে রাকা’য়াতের সংখ্যা উল্লেখ করে সালাত আদায়ে উৎসাহিত করে যে সব হাদীস এসেছে সেগুলোর কোনটিই সহীহ নয়। বরং একটি অন্যটির চেয়ে বেশী দুর্বল। এ সময়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাকায়াতের সংখ্যা নির্দিষ্ট না করে সালাত আদায় করেছেন তা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তবে
তার বাণী হিসাবে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে তা নিতান্তই দুর্বল। তার উপর আমল করা জায়েয হবে না।
من صلى بين المغرب والعشاء عشرين ركعة بنى الله له بيتا في الجنة
موضوع
-
أخرجه ابن ماجه (1 / 414) وابن شاهين في " الترغيب والترهيب " (ق 172 / 1 و277 - 278) من طريق يعقوب بن الوليد المديني عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة مرفوعا
قال البوصيري: في " الزوائد " (ق 85 / 1) : في إسناده يعقوب بن الوليد اتفقوا على ضعفه، وقال فيه الإمام أحمد: من الكذابين الكبار، وكان يضع الحديث
قلت: وقد كذبه أيضا ابن معين وأبو حاتم، ومع هذا فقد أورد حديثه هذا السيوطي في " الجامع الصغير "
واعلم أن كل ما جاء من الأحاديث في الحض على ركعات معينة بين المغرب والعشاء لا يصح وبعضه أشد ضعفا من بعض، وإنما صحت الصلاة في هذا الوقت من فعله صلى الله عليه وسلم دون تعيين عدد، وأما من قوله صلى الله عليه وسلم فكل ما روي عنه واه لا يجوز العمل به