১৬৮২

পরিচ্ছেদঃ ইসলামী দণ্ড বিধান প্রয়োগ না করার জন্য সুপারিশ করা হারাম

মহান আল্লাহ বলেছেন,

الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ وَلاَ تَأخُذْكُمْ بِهِمَا رَأفَةٌ فِي دِينِ اللهِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ

অর্থাৎ, ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী, এদের প্রত্যেককে একশো করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান প্রয়োগ করার সময় তাদের প্রতি কোন দয়া যেন তোমাদেরকে অভিভূত না করে; যদি (সত্যিকারে) তোমরা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান এনে থাক। (সূরা নূর ২)


(১৬৮২) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, চুরির অপরাধে অপরাধিণী মাখযূম গোত্রের একজন মহিলার ব্যাপার কুরাইশ বংশের লোকেদের খুব দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। সাহাবীগণ বললেন, ’ওর ব্যাপারে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কে কথা বলতে পারবে?’ তাঁরা বললেন, ’রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয়পাত্র উসামা ইবনে যায়েদ ছাড়া কেউ এ সাহস পাবে না।’ সুতরাং উসামা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বলে উঠলেন, ’’তুমি আল্লাহর এক দণ্ডবিধান (প্রয়োগ না করার) ব্যাপারে সুপারিশ করছ?’’ পরক্ষনেই তিনি দাঁড়িয়ে খুৎবাহ দিলেন এবং বললেন, (হে লোক সকল!) নিশ্চয় তোমাদের পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের লোকেরা এ জন্য ধ্বংস হয়েছিল যে, যখন তাদের কোন সম্মানিত ব্যক্তি চুরি করত, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন তাদের কোন দুর্বল লোক চুরি করত, তখন তার উপর শরীয়তের শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত, তাহলে অবশ্যই আমি তার হাতও কেটে দিতাম। (বুখারী ৩৪৭৫, মুসলিম ৪৫০৫)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, (উসামার সুপারিশে) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা রঙিন (লাল) হয়ে গেল। তিনি বললেন, তুমি কি আল্লাহর এক দণ্ডবিধান (কায়েম না করার) ব্যাপারে সুপারিশ করছ?! উসামা বললেন, ’আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন, হে আল্লাহর রসূল!’ বর্ণনাকারী বলেন, ’অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ দিলে ঐ মহিলার হাত কেটে দেওয়া হল।’ (বুখারী ৪৩০৪, মুসলিম ৪৫০৬)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا : أَنَّ قُرَيْشاً أَهَمَّهُمْ شَأْنُ المَرْأَةِ المَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا : مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللهِ ﷺ ؟ فَقَالُوا : وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺأَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ تَعَالَى ثُمَّ قَامَ فاخْتَطَبَ، ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيِهمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الحَدَّ وَأَيْمُ اللهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا متفق عَلَيْهِ
وَفِيْ رِوَايَةٍ : فَتَلوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ فَقَالَ أُسَامَةُ: اسْتَغْفِرْ لِي يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ : ثُمَّ أَمَرَ بِتِلْكَ المَرْأَةِ فَقُطِعَتْ يَدُهَا

وعن عاىشة رضي الله عنها ان قريشا اهمهم شان المراة المخزومية التي سرقت فقالوا من يكلم فيها رسول الله ﷺ فقالوا ومن يجترى عليه الا اسامة بن زيد حب رسول الله ﷺ فكلمه اسامة فقال رسول الله ﷺاتشفع في حد من حدود الله تعالى ثم قام فاختطب ثم قال انما اهلك الذين قبلكم انهم كانوا اذا سرق فيهم الشريف تركوه واذا سرق فيهم الضعيف اقاموا عليه الحد وايم الله لو ان فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها متفق عليهوفي رواية فتلون وجه رسول الله ﷺ فقال اتشفع في حد من حدود الله فقال اسامة استغفر لي يا رسول الله قال ثم امر بتلك المراة فقطعت يدها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি